কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা

অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবারের তালিকা

খাবারের অ্যালার্জি সাধারণত তখনই হয় যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছু খাবারকে ক্ষতিকারক বলে মনে করে এবং অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। নিচে কিছু সাধারণ খাবারের তালিকা দেওয়া হল যেগুলো থেকে অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে:

১. ডিম

  • সাধারণত সাদা অংশ বেশি অ্যালার্জিযুক্ত।
  • শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

২. গরুর দুধ

  • ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা এবং দুধের অ্যালার্জি এক নয়।
  • শিশুদের মধ্যে সাধারণ, কিন্তু অনেকেরই বড় হওয়ার পরেও এই অ্যালার্জি থাকে।

৩. বাদাম

  • বিশেষ করে চিনাবাদাম অ্যালার্জির অন্যতম বড় কারণ।
  • তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে (অ্যানাফিল্যাক্সিস)।

৪. ট্রি নাটস

  • যেমন কাজু, আখরোট, পেস্তা, হ্যাজেলনাট ইত্যাদি।
  • অনেকের এই বাদামের অ্যালার্জি রয়েছে।

৫. সামুদ্রিক মাছ

  • টুনা, স্যামন, ইলিশ, ম্যাকেরেল ইত্যাদি।
  • বিশেষ করে প্রোটিন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

৬. শেলফিশ বা ক্রাস্টেসিয়ান

  • যেমন চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, স্কুইড, অক্টোপাস ইত্যাদি।
  • প্রোটিন অ্যালার্জি এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

৭. গম

  • গ্লুটেন অ্যালার্জি বা গ্লুটেন সংবেদনশীলতা এর মধ্যে রয়েছে।
  • অনেকের হজমের সমস্যা বা ত্বকে ফুসকুড়ি হয়।

৮. সয়াবিন

  • শিশুদের মধ্যে সয়াবিনের অ্যালার্জি বেশি দেখা যায়।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রায়শই সয়া থাকে।

৯. কিছু ফল এবং শাকসবজি

  • যেমন স্ট্রবেরি, কিউই, আনারস, পীচ, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি।
  • প্রাকৃতিক প্রোটিন বা এনজাইমের প্রতি অ্যালার্জি সাধারণ।

১০. খাবারে প্রিজারভেটিভ

  • যেমন: সালফাইট, খাবারের রঙ, স্বাদের এজেন্ট
  • প্রক্রিয়াজাত খাবারে বেশি ব্যবহৃত হয়।

লক্ষণ:

চুলকানি, ফুসকুড়ি, ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট, গলা শক্ত হয়ে যাওয়া, বমি, ডায়রিয়া

গুরুতর ক্ষেত্রে, অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে - যা জীবন-হুমকিস্বরূপ

টিপস:

সবসময় খাবারের লেবেল পড়ুন

যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার খাদ্য পরিকল্পনা করুন