জ্বর হলে কী করবেন?

জ্বর হলে কী করবেন?

জ্বর হলে করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আছে যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত সুস্থ হতে পারেন এবং জটিলতা এড়াতে পারবেন। জ্বর হলে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন প্রচুর পানি পান করা, বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রয়োজনে প্যারাসিটামল খাওয়া। যদি জ্বর না কমে বা অন্য কোনও লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।


জ্বর হলে আপনি যা করতে পারেন:

প্রচুর পানি পান করুন:

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে, আপনি ফলের রস, ডাবের পানি, অথবা ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) পান করতে পারেন।


বিশ্রাম:

জ্বর হলে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম শরীরকে দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করবে।


ঠান্ডা পানি কম্প্রেস:

আপনি কপালে বা শরীরের অন্যান্য অংশে ঠান্ডা পানি কম্প্রেস লাগাতে পারেন। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।


হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল:

আপনার জ্বর হলে, আপনি হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এটি শরীরকে শিথিল করবে এবং তাপমাত্রা কমাবে।


ঔষধ গ্রহণ:

আপনি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ (যেমন ক্রোসিন, অ্যাসেরিন) খেতে পারেন। তবে ওষুধের মাত্রা সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।


হালকা খাবার খান:

সহজে হজম হয় এমন খাবার খান। যেমন: স্যুপ, দই, ভাত, ফল ইত্যাদি।


ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন:

যদি জ্বর না কমে বা অন্য কোনও লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।


জ্বর হলে কী করবেন না:

এমন কিছু করা এড়িয়ে চলুন যা আপনার ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে।


অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত মশলাদার বা তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।


অকারণে আতঙ্কিত হবেন না, শান্ত থাকুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে জ্বর শুধুমাত্র একটি রোগের লক্ষণ। অতএব, জ্বরের কারণ নির্ণয় করা উচিত এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা উচিত।



নিচে ধাপে ধাপে জ্বর হলে কী করবেন তা বিস্তারিত দেওয়া হলো:


জ্বর হলে কী করবেন?

১. জ্বরের মাত্রা মাপুন

থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করুন।


সাধারণত:

১০০.৪°F (৩৮°C) বা তার বেশি হলে জ্বর বলে ধরা হয়।


২. বিশ্রাম নিন

বেশি কাজ বা কসরত এড়িয়ে চলুন।

শরীরের শক্তি রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করতে দিন।


৩. পর্যাপ্ত পানি ও তরল পান করুন

জ্বরের সময় শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়, তাই পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) এড়াতে:

পানি

স্যালাইন

ডাবের পানি

স্যুপ ইত্যাদি খান।


৪. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান

জ্বরের সময় ভারী খাবার পরিহার করে:

ভাত-মুড়ি

খিচুড়ি

সবজি-সিদ্ধ

ডিম সেদ্ধ ইত্যাদি খেতে পারেন।


৫. জ্বর কমাতে ওষুধ সেবন করুন (ডাক্তারের পরামর্শে)

সাধারণত ব্যবহৃত ওষুধ:

প্যারাসিটামল (Paracetamol) – জ্বর ও ব্যথা কমাতে সহায়ক

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়।


৬. জ্বর বেশি হলে গা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছুন

কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে শরীর মুছলে জ্বর কিছুটা কমে।


কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?

জ্বরের সাথে নিচের কোনো উপসর্গ থাকলে দেরি না করে ডাক্তার দেখান:

জ্বর ৩ দিনের বেশি থাকলে: ভাইরাল জ্বর সাধারণত ২-৩ দিনের বেশি থাকে না

ঘন ঘন বমি বা পেট খারাপ: ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি

খুব বেশি দুর্বলতা বা অজ্ঞান ভাব: জটিল সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে

ত্বকে র‍্যাশ বা লাল দাগ: ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা টাইফয়েড ইত্যাদির সম্ভাবনা

শ্বাস নিতে কষ্ট হলে: গুরুতর অবস্থা হতে পারে


অতিরিক্ত পরামর্শ:

নিজের ও অন্যের মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন (যদি সংক্রমণজনিত জ্বর হয়)।

ঘর ভালভাবে বাতাস চলাচলযোগ্য রাখুন।

নিজের ও আশপাশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।