এলার্জি-বিহীন খাদ্য তালিকা

অ্যালার্জিমুক্ত খাবারের তালিকা

অ্যালার্জিমুক্ত খাবার বলতে সেইসব খাবারকে বোঝায় যেগুলোতে সাধারণত কোনও অ্যালার্জেন থাকে না বা খুব কম লোকের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অবশ্যই, এটি ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে নীচের তালিকাটি বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং অ্যালার্জিমুক্ত বলে বিবেচিত হয়।

অ্যালার্জিমুক্ত নিরাপদ খাদ্য তালিকা

শাকসবজি

  • মিষ্টি কুমড়া
  • লাউ
  • পুঁটি পাতাযুক্ত সবজি
  • মূলা
  • গাজর
  • ঢেঁড়স
  • পালং শাক
  • চিংড়ি
  • শিম
  • শসা


ফল

  • আপেল 
  • কলা
  • আম
  • তরমুজ
  • পেঁপে
  • আঙ্গুর
  • আনারস
  • জামরুল
  • নাশপাতি


শস্য ও দানাশস্য

  • ভাত সিদ্ধ করুন (সাধারণত নাজিরশাইল, বাসমতি)
  • লাল ভাত
  • চালের গুঁড়া
  • ভুট্টা
  • ওটস (যদি গ্লুটেন-মুক্ত থাকে)
  • সুজি (যদি গমের প্রতি অ্যালার্জি না থাকে)


ডাল

  • মসুর ডাল
  • মুগ ডাল (ভাজা হলে হজম করা সহজ)
  • খেসারির ডাল (সীমিত পরিমাণে)
  • মাসাকলাই (সাবধানতার সাথে ব্যবহার করুন - কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে) (পান)


প্রাণীজ উৎস

  • দেশি মুরগির মাংস
  • গরুর মাংস (ভালোভাবে রান্না করা)
  • ডিম (যদি ডিম থেকে অ্যালার্জি না থাকে)
  • বেকড বা গ্রিল করা সাদা মাছ (যেমন, রুই, তেলাপিয়া)


তেল এবং চর্বি

  • নারকেল তেল
  • জলপাই তেল (যদি পরিশোধিত হয়)
  • সরিষার তেল 


অন্যান্য

  • লবণ
  • চিনি
  • হলুদ
  • আদা
  • রসুন
  • দারুচিনি
  • লবঙ্গ


মনে রাখবেন

সবার একই রকম অ্যালার্জি থাকে না। কিছু লোক আপেল থেকে অ্যালার্জি করে, কিছু লোক কলা থেকে অ্যালার্জি করে। তাই অল্প পরিমাণে নতুন খাবার দিয়ে শুরু করুন এবং পরীক্ষা করুন।

শিশুদের খাবার খাওয়ানোর সময় সর্বদা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

যদি কারও গ্লুটেন, দুগ্ধজাত পণ্য বা বাদাম থেকে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তাদের জন্য প্রস্তুত বিশেষ খাদ্য তালিকা আলাদা হতে হবে।