মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কী খাবেন

মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কী খাবেন

মাইগ্রেনের ব্যথা উপশমের জন্য কিছু খাবার উপকারী হতে পারে। এগুলি মাথাব্যথা উপশম করতে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং শারীরিক শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। যাইহোক, মাইগ্রেনের জন্য নির্দিষ্ট খাবার ছাড়াও জল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় উপকারী হতে পারে।


মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য উপকারী খাবার ও পানীয়:


পানি পান:

ডিহাইড্রেশন মাইগ্রেনের একটি সাধারণ কারণ, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। দিনের বেলায় নিয়মিত পানি পান করলে ব্যথা কিছুটা কমে যায়।


আদা:

নির্যাসটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ আদা চা মাইগ্রেনের সময় উপশম দিতে পারে।


পেপারমিন্ট বা ক্যামোমাইল চা:

ক্যামোমাইল এবং পেপারমিন্ট চা প্রদাহ কমাতে এবং মানসিক চাপ উপশমে কার্যকর। এটি ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।


ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার:

ম্যাগনেসিয়াম মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এর জন্য আপনি বাদাম (বিশেষ করে আখরোট এবং বাদাম), সবজি, কলা এবং অ্যাভোকাডো খেতে পারেন।


দই বা দই জাতীয় খাবার:

দইয়ে রয়েছে রিবোফ্লাভিন, যা মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে। ব্যথার সময় দই খেলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।


সবুজ শাকসবজি:

পালং শাক, ব্রকলি এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া বেশ কিছু পুষ্টি মাইগ্রেনের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এগুলো শরীরে ভিটামিন বি ও ফাইবারের ঘাটতি পূরণ করে।


ফলমুল:

মাইগ্রেনের সময় কলা এবং আপেল বিশেষ উপকারী। কলায় থাকা পটাসিয়াম মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে এবং আপেলে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।


মধু:

এক চামচ মধু বা গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমে যায়। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা যা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।


মুরগির ঝোল বা স্যুপ:

মাইগ্রেনের সময় হালকা স্যুপ বা মুরগির ঝোল খাওয়া শরীরকে সতেজ রাখে এবং পানিশূন্যতা রোধ করে।


গোটা শস্য:

ওটস, বাদামী চাল বা গোটা শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া তাদের মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

মাইগ্রেনের সময় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে:

চকোলেট, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার এবং পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

ভালো খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি পান এবং হালকা ব্যায়াম মাইগ্রেনের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে ঘন ঘন মাইগ্রেন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।