মাইগ্রেনের ব্যথা হলে যা করা উচিত নয়

মাইগ্রেন হলে কী করবেন না


মাইগ্রেন হওয়ার সময় কিছু জিনিস এড়ানো উচিত, কারণ সেগুলি ব্যথাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। মাইগ্রেনের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।


মাইগ্রেনের ব্যথায় যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে:


উজ্জ্বল আলো এবং উচ্চ শব্দ এড়িয়ে চলা:

উজ্জ্বল আলো এবং উচ্চ শব্দ মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ব্যথার সময় হালকা বা অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।


ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন:

ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যদি নিয়মিত বা উচ্চ মাত্রায় সেবন করা হয়।


অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ গ্রহণ এড়িয়ে চলুন:

ব্যথা উপশম করার জন্য অত্যধিক বা অনিয়ন্ত্রিত ব্যথা নিরাময়কারী গ্রহণ করা পরবর্তীতে ড্রাগ নির্ভরতা বিকাশ করতে পারে এবং মাথাব্যথা রিবাউন্ড হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন:

মাইগ্রেনের সময় ব্যায়াম করলে ব্যথা আরও খারাপ হতে পারে। তাই এমন সময়ে ভারী কাজ বা ব্যায়াম না করে বিশ্রাম নেওয়াই ভালো।


হালকা খাবারের পরিবর্তে ভারী খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন:

মাইগ্রেনের সময় ভারী খাবার খেলে পেট ভারী হতে পারে এবং বমি বমি ভাব বেড়ে যেতে পারে। হালকা খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা ভালো।


দীর্ঘ স্ক্রীন টাইম এড়িয়ে চলুন:

মাইগ্রেনের সময় টিভি, কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকাবেন না। উজ্জ্বল আলো এবং স্ক্রিন থেকে বিকিরণ মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।


গাড়িতে ভ্রমণ বা ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন:

মাইগ্রেনের আক্রমণের সময় গাড়ি বা বাসে ভ্রমণ করলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ব্যথা আরও খারাপ হতে পারে।


পর্যাপ্ত পানি পান না করাঃ

ডিহাইড্রেশন মাইগ্রেনের ব্যথাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। তাই ব্যথার সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত নয়।


সুগন্ধি প্রসাধনী বা ধোঁয়া এড়িয়ে চলুন:

তীব্র গন্ধ, যেমন পারফিউম, সিগারেটের ধোঁয়া বা রান্নার তীব্র গন্ধ মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ধরনের গন্ধ থেকে দূরে থাকাই ভালো।


মানসিক চাপ নেওয়া:

স্ট্রেস মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ব্যথার সময়, সম্ভব হলে শিথিলকরণ কৌশল বা ধ্যানের মাধ্যমে চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

এই সতর্কতা অবলম্বন করে, মাইগ্রেনের ব্যথা কিছুটা কমানো যেতে পারে এবং এমনকি এর ফ্লেয়ার-আপ থেকে মুক্তি পাওয়াও সম্ভব হতে পারে।