মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কী করবেন ?

মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কী করবেন ?


মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং অভ্যাস অনুসরণ করা যেতে পারে। যদিও মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে অবিলম্বে উপশম পাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না, তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্যথা অনেকটাই কমানো যায়।


মাইগ্রেনের ব্যথা হলে যা করবেন:


একটি অন্ধকার এবং শান্ত জায়গায় বিশ্রাম করুন:

মাইগ্রেনের সময় আলো এবং শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, তাই অন্ধকার এবং শান্ত ঘরে বিশ্রাম নিলে স্বস্তি পাওয়া যায়।


ঠান্ডা পানীয় ব্যবহার করুন:

কপালে একটি ঠান্ডা কম্প্রেস (ঠান্ডা জল বা বরফের প্যাক) মাথার রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করতে পারে এবং ব্যথা থেকে কিছুটা উপশম দিতে পারে।


হাইড্রেটেড থাকুন:

পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। ডিহাইড্রেশন মাইগ্রেনের ব্যথাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে, তাই ব্যথা শুরু হলে ধীরে ধীরে পানি পান করুন।


ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় গ্রহণ করুন (পরিমিত পরিমাণে):

মাইগ্রেনের প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প পরিমাণে ক্যাফিনযুক্ত পানীয় (যেমন কফি বা চা) পান করা কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। যাইহোক, অতিরিক্ত ক্যাফেইন পরবর্তীতে সমস্যাকে আরও খারাপ করতে পারে, তাই পরিমিত পরিমাণে সেবন করুন।


শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং শিথিলকরণ কৌশল ব্যবহার করুন:

গভীর শ্বাস, ধ্যান বা মননশীলতা ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে শিথিল করে এবং ব্যথা উপশম করতে পারে।


ম্যাসেজ:

কপাল, ঘাড় এবং মাথার পিছনে আলতোভাবে ম্যাসেজ করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। এটি রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে এবং মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।


আদা বা আদা চা পান করুন:

আদা মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব কমাতে সহায়ক। এক কাপ গরম আদা চা মাইগ্রেনের উপশমে সহায়ক হতে পারে।


ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবন (ডাক্তারের পরামর্শে):

ব্যথা উপশমকারী যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন (ডাক্তার দ্বারা নির্দেশিত) মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে পারে।


পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিন:

ঘুমের অভাব মাইগ্রেনকেও ট্রিগার করতে পারে, তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক ঘুম নিশ্চিত করুন।


মাইগ্রেন প্রতিরোধে করণীয়ঃ

পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।

মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত যোগব্যায়াম বা ধ্যানের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলি অনুশীলন করুন।

মাইগ্রেন ট্রিগার করে এমন খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন।

মাইগ্রেনের সমস্যা তীব্র বা ঘন ঘন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।