চশমার পাওয়ার কত হলে স্বাভাবিক
চশমার পাওয়ার কত হলে স্বাভাবিক, তার উত্তর নির্ভর করে চোখের পাওয়ার স্বাভাবিক কিনা তার উপর। সাধারণত, চশমার পাওয়ার "-০.২৫ থেকে +০.২৫" এর মধ্যে থাকলে তাকে স্বাভাবিক ধরা হয়। এই পাওয়ারকে "0.00" বা "20/20" দৃষ্টিশক্তি হিসেবেও ধরা হয়। এর মানে হলো, একজন স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির মানুষ যা দেখতে পারে, আপনিও ততটাই স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন। যদি পাওয়ার এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেটি চশমার প্রয়োজন নির্দেশ করে।
এখানে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:
ডায়াপ্টার (Diopter):
চশমার পাওয়ার ডায়াপ্টার দিয়ে মাপা হয়। "+" চিহ্নযুক্ত পাওয়ার হলো দূরদৃষ্টি (hyperopia) এবং "-" চিহ্নযুক্ত পাওয়ার হলো ক্ষীণদৃষ্টি (myopia) নির্দেশ করে।
স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি:
"20/20" বা "6/6" দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। এর মানে হলো, আপনি 20 ফুট (বা 6 মিটার) দূর থেকে যা দেখতে পাচ্ছেন, একজন স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির মানুষও তাই দেখতে পারবে।
পাওয়ারের পরিবর্তন:
চোখের পাওয়ার বয়স বা অন্যান্য কারণে পরিবর্তন হতে পারে, তাই নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত।
যদি আপনার চশমার পাওয়ার "-০.২৫ থেকে +০.২৫" এর মধ্যে না থাকে, তাহলে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চশমার পাওয়ার + / - বোঝার উপায়
চশমার পাওয়ার বোঝার জন্য, চশমার প্রেসক্রিপশন বা লেন্সে উল্লিখিত সংখ্যা এবং চিহ্নগুলি দেখতে হবে। "প্লাস" (+) চিহ্ন মানে হল দূরদৃষ্টির সমস্যা (হাইপারোপিয়া), এবং "মাইনাস" (-) চিহ্ন মানে হল ক্ষীণদৃষ্টি (মায়োপিয়া)। সংখ্যার মান যত বেশি, পাওয়ার তত বেশি। "সিলিন্ডার" এবং "অ্যাক্সিস" থাকলে, এটি অ্যাস্টিগমাটিজমের সমস্যা নির্দেশ করে।
চশমার পাওয়ার বোঝার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লক্ষ্য করুন:
প্লাস (+) এবং মাইনাস (-) চিহ্ন:
প্লাস (+) চিহ্ন নির্দেশ করে যে আপনার দূরদৃষ্টির সমস্যা আছে এবং কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়।
মাইনাস (-) চিহ্ন নির্দেশ করে যে আপনার ক্ষীণদৃষ্টির সমস্যা আছে এবং দূরের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়।
সংখ্যার মান:
সংখ্যার মান যত বেশি, পাওয়ার তত বেশি। যেমন, -2.00D (ডায়াপ্টার) পাওয়ার -1.00D পাওয়ার থেকে বেশি শক্তিশালী।
সিলিন্ডার এবং অ্যাক্সিস:
যদি আপনার প্রেসক্রিপশনে "সিলিন্ডার" এবং "অ্যাক্সিস" উল্লেখ থাকে, তাহলে এটি অ্যাস্টিগমাটিজমের সমস্যা নির্দেশ করে। এখানে, সিলিন্ডার লেন্সের পাওয়ার এবং অ্যাক্সিস লেন্সটিকে কত ডিগ্রী কোণে ঘোরাতে হবে তা নির্দেশ করে।
অন্যান্য চিহ্ন:
কিছু প্রেসক্রিপশনে "Add" (অ্যাডিশন) শব্দটি ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য রিডিং পাওয়ার নির্দেশ করে।
"PD" (পিপিলারি ডিস্টেন্স) শব্দটি চোখের তারার মধ্যকার দূরত্ব নির্দেশ করে, যা চশমা তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার চশমার পাওয়ার সঠিকভাবে বুঝতে, একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
চশমার পাওয়ার কত থেকে শুরু
চশমার পাওয়ার সাধারণত 0.00 (শূন্য) থেকে শুরু হয় এবং এটি "+" বা "-" চিহ্ন দিয়ে নির্দেশিত হয়, যা চোখের ত্রুটি নির্দেশ করে। 0.00 মানে স্বাভাবিক দৃষ্টি, এবং "+" বা "-" চিহ্ন সহ সংখ্যা যত বেশি হবে, চোখের সমস্যা তত বেশি।
সাধারণত, চোখের পাওয়ার "-0.25" থেকে শুরু হয়, যা হালকা মায়োপিয়া (নিকট দৃষ্টি) নির্দেশ করে। অন্যদিকে, "+0.25" থেকে শুরু হওয়া পাওয়ার হালকা হাইপারোপিয়া (দূরদৃষ্টি) নির্দেশ করে।
চশমার পাওয়ার কত থেকে শুরু হবে, তা নির্ভর করে ব্যক্তির চোখের সমস্যার উপর। কিছু ক্ষেত্রে, পাওয়ার 0.00 থেকে শুরু হতে পারে, যা স্বাভাবিক দৃষ্টি নির্দেশ করে। আবার কারো ক্ষেত্রে, পাওয়ার -0.25 বা +0.25 থেকে শুরু হতে পারে, যা হালকা চোখের সমস্যা নির্দেশ করে।
পাওয়ার যত বেশি হবে, চোখের সমস্যা তত বেশি এবং চশমার পাওয়ার তত বেশি প্রয়োজন হবে।
উদাহরণস্বরূপ:
যদি আপনার চোখের পাওয়ার "-2.50" হয়, তবে এটি মাঝারি মায়োপিয়া নির্দেশ করে এবং এর জন্য চশমা পরার প্রয়োজন হতে পারে।
যদি আপনার চোখের পাওয়ার "+1.25" হয়, তবে এটি হালকা হাইপারোপিয়া নির্দেশ করে এবং কিছু ক্ষেত্রে চশমা পরার প্রয়োজন হতে পারে।
আপনার চোখের পাওয়ার কত, তা জানতে হলে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চোখের স্বাভাবিক পাওয়ার কত
স্বাভাবিক চোখের পাওয়ার বলতে সাধারণত 20/20 দৃষ্টি বোঝায়, যা "স্বাভাবিক চাক্ষুষ তীক্ষ্ণতা" নামেও পরিচিত। এর মানে হলো, একজন ব্যক্তি ২০ ফুট দূর থেকে যা দেখতে পারেন, স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিও সেই একই বস্তু ২০ ফুট দূর থেকে স্পষ্ট দেখতে পান। এটিকে ইংরেজিতে "20/20 vision" বলা হয়.
আরও সহজভাবে, যদি কোনো ব্যক্তি 20/40 দৃষ্টিসম্পন্ন হন, তাহলে তার মানে হল, তিনি ২০ ফুট দূর থেকে যা দেখতে পারেন, তা একজন স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি ৪০ ফুট দূর থেকে দেখতে পান।
দৃষ্টিশক্তির এই পরিমাপকে "চাক্ষুষ তীক্ষ্ণতা" বলা হয়, এবং এটি চোখের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। চোখের পাওয়ার বা দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়, যেমন চাক্ষুষ তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা (visual acuity test), যেখানে একটি চার্ট ব্যবহার করে চোখের দেখার ক্ষমতা মাপা হয় according to eye doctors।
যদি চোখের পাওয়ার স্বাভাবিক না থাকে, তাহলে চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে অথবা কিছু ক্ষেত্রে লেজার সার্জারির মাধ্যমে দৃষ্টি সংশোধন করা যেতে পারে
কত বছর বয়স পর্যন্ত চোখের পাওয়ার বাড়ে
সাধারণত চোখের পাওয়ার ২০ থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ১৮ বছর বয়সের মধ্যে পাওয়ার স্থিতিশীল হয়ে যায়, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।
আরও বিস্তারিতভাবে:
বৃদ্ধি সাধারণত বন্ধ হয়:
চোখের বৃদ্ধি সাধারণত ২০ বছর বয়সের কাছাকাছি সময়ে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু চোখের পাওয়ার পুরো জীবন জুড়েই অল্প অল্প করে পরিবর্তন হতে পারে।
নিয়মিত ফলোআপ:
২০ বছর বয়সের পর চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক, তাই নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখিয়ে পাওয়ার পরীক্ষা করানো উচিত, বিশেষ করে প্রতি ৪ থেকে ৬ মাস অন্তর, প্রথম আলো থেকে জানা যায়।
স্থায়ীত্ব:
কিছু মানুষের ক্ষেত্রে, ১৮ বছর বয়সের মধ্যে পাওয়ার স্থিতিশীল হয়ে যায়, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে, যেমন ২২ বছর বয়স পর্যন্ত।
অন্যান্য কারণ:
চোখের পাওয়ার পরিবর্তনের জন্য বয়স ছাড়াও অন্যান্য কারণও দায়ী, যেমন চোখের রোগ বা চোখের গঠনগত ত্রুটি।
প্রেসবায়োপিয়া:
৪০ বছর বয়সের পর চোখের লেন্স শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে, একে প্রেসবায়োপিয়া বলা হয়, Institut Català de Retina থেকে জানা যায়।
আপনার চোখের পাওয়ার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2025 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.