causes of migraine-মাইগ্রেন হওয়ার কারণ

মাইগ্রেনের কারণ

মাইগ্রেন হল এক ধরনের গুরুতর মাথাব্যথা, সাধারণত মাথার একপাশে অনুভূত হয়। এটি ঘন ঘন মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং আলো বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। মাইগ্রেনের সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে কিছু কারণ এবং ট্রিগার মাইগ্রেনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।


মাইগ্রেনের কিছু কারণ হল:


জেনেটিক বা বংশগত কারণ:

মাইগ্রেন বংশগত হতে পারে। মাইগ্রেনের ইতিহাস সহ পরিবারের সদস্যদের মাইগ্রেনের ঝুঁকি বেশি থাকে।


স্নায়বিক পরিবর্তন:

মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন, বিশেষ করে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিকের মাত্রার ওঠানামা, মাইগ্রেনের সম্ভাবনা বাড়ায়। সেরোটোনিনের মাত্রা কমে গেলে মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলি ফুলে যেতে পারে এবং মাইগ্রেন শুরু করতে পারে।


হরমোনের পরিবর্তন:

মহিলাদের ক্ষেত্রে, হরমোনের পরিবর্তনগুলি (যেমন মাসিক চক্রের আগে বা গর্ভাবস্থায়) মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে পারে। ইস্ট্রোজেন হরমোনের ওঠানামা মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে পারে।


মানসিক চাপ বা মানসিক চাপ:

অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের চাপ মাথাব্যথার কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।


ডায়েট:

কিছু খাবার মাইগ্রেনের ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, চকোলেট, পনির, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং খাবারে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG) মাইগ্রেনের ট্রিগার করতে পারে।


পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব:

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুম, উভয়ই মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। ঘুমের সঠিক নিয়ম না মানলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ে।


পরিবেশগত কারণসমূহ:

আবহাওয়ার পরিবর্তন, উচ্চ তাপমাত্রা, অত্যধিক আলো, তীব্র গন্ধ বা অত্যধিক শব্দ মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে পারে।


শরীরের আর্দ্রতার অভাব:

পর্যাপ্ত পানি পান না করা এবং পানিশূন্যতা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ হতে পারে।


মাইগ্রেন প্রতিরোধে যা করবেন:

স্ট্রেস পরিচালনা করতে শিথিলকরণ কৌশল অনুসরণ করুন।

পর্যাপ্ত এবং সঠিক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

প্রচুর পানি পান করুন এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।

আপনার খাদ্যের প্রতি সতর্ক থাকুন এবং মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং জীবনধারা নিয়ন্ত্রণ।

মাইগ্রেনের প্রকৃতি এবং কারণ ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সমস্যাটি গুরুতর হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।