পেটের চর্বি কমানোর ৫ উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ৫ উপায়
সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক শরীরের ওজন বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেটে চর্বি জমে যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। বিশেষ করে পেটের চর্বি বিভিন্ন সমস্যা ও রোগের কারণ হতে পারে। যখন পেটে চর্বি জমে, তখন এটি লিভার এবং অন্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে ঘিরে ফেলে। এতে এসব অঙ্গের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। পেটের চর্বি কমানোর কিছু উপায়:
- জীবনধারা: সুস্থ থাকা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার বিকল্প নয়। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। এর জন্য আলাদাভাবে ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর মতো দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমেও শরীরকে সক্রিয় রাখা যায়।
- পানি পান: শরীরকে সুস্থ, যেকোনো ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পানি একটি পূর্বশর্ত। আমাদের শরীরের ৭০% পানি, তাই পানি আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। হজম থেকে শুরু করে চর্বি কমানো সব কিছুতেই পানি পান কার্যকর।
- ডায়েট: ডায়েট শরীরে এবং পেটে চর্বি জমার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। পেটের চর্বি সাধারণত শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় আগে জমতে শুরু করে। এই সমস্যা এড়াতে যতটা সম্ভব পুরো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন আস্ত ফল, শাকসবজি, শস্যজাতীয় খাবার ইত্যাদি। এছাড়া চর্বিযুক্ত মাংস, চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবার, প্যাকেটজাত খাবার কমাতে হবে।
- ঘুম: প্রতিদিন ৮ ঘন্টা বিশ্রামের ঘুম মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে পেটে মেদ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জমতে শুরু করে।
- মানসিক অবস্থা: পেটের চর্বি জমে হরমোন ভূমিকা রাখে। করটিসল নামক একটি হরমোন এর জন্য দায়ী। মূলত, আপনি যখন মানসিক চাপে থাকেন, তখন এই হরমোনের প্রবাহ বেড়ে যায়। এজন্য মনকে শান্ত করার অভ্যাস করা প্রয়োজন। মনকে শান্ত করার জন্য যোগব্যায়াম বা ধ্যান অনুশীলন করা উচিত।