ঘুম না আসলে কী করবেন?

ঘুম না আসলে কী করবেন?

ঘুম না আসলে আপনি কিছু সহজ পদক্ষেপ নিতে পারেন, যেমন একটি আরামদায়ক রুটিন তৈরি করা, ঘুমের পরিবেশ উন্নত করা এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা। এছাড়াও, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা এবং হালকা গরম গোসল করা উপকারী হতে পারে। যদি সমস্যাটি তীব্র হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।


নিদ্রাহীনতার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে, যেমন:

মানসিক চাপ:

মানসিক চাপ বা উদ্বেগ ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা:

অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচী, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ, বা ব্যায়ামের অভাব ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

শারীরিক সমস্যা:

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, হৃদরোগ, বা অস্থির পায়ের সিন্ড্রোমের মতো কিছু শারীরিক অসুস্থতা ঘুমের অভাবের কারণ হতে পারে।

অন্যান্য কারণ:

কিছু ওষুধ, নিকোটিন বা অ্যালকোহলও ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


ঘুম না আসলে কী করবেন?

অনিদ্রা একটি খুবই সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যা। যদি এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে এটি মানসিক চাপ, ক্লান্তি এবং স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়। তবে, ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে ঘুমের উন্নতি করা প্রায়শই সম্ভব।


ঘুম না আসলে করণীয় (প্রাকৃতিক এবং সহজ উপায়):


নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন: প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন—এমনকি ছুটির দিনেও। 

ঘুমানোর আগে স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন: মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি—এই সবের নীল আলো মস্তিষ্কে ঘুমের হরমোন (মেলাটোনিন) কমিয়ে দেয়। ঘুমানোর ১ ঘন্টা আগে এগুলো বন্ধ করে দিন।

ঘুমানোর আগে আরাম করুন: হালকা সঙ্গীত, প্রার্থনা, ধ্যান বা বই পড়া ভালো। 

কিছু গভীর শ্বাস (শ্বাস) বা "৪-৭-৮" পদ্ধতি: ৪ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস নিন → ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন → ৮ সেকেন্ডের মধ্যে ছেড়ে দিন।

সন্ধ্যার পরে ক্যাফেইন / চা / কফি এড়িয়ে চলুন: এগুলি স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। বিকাল ৫ টার পরে এগুলি না খাওয়াই ভালো।

মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন:যোগব্যায়াম, ধ্যান, অথবা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।

দিনের বেলায় ব্যায়াম করুন: কিন্তু শোবার আগে ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন।

খাওয়া: হালকা খাবার খান এবং শোবার আগে ভারী খাবার খাবেন না।

ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধ বা ভেষজ চা পান করুন বিছানা: গরম দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা ঘুমের হরমোন বাড়ায়। ক্যামোমাইল চা বা তুলসী পাতার চা ঘুমাতে সাহায্য করে

ব্যায়াম (কিন্তু রাতে নয়): সকালে বা বিকেলে ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা ঘুমের উন্নতি করে। রাতে ভারী ব্যায়াম ঘুমানোর আগে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।

শোবার ঘর ঘুমের জন্য উপযুক্ত করে তুলুন: ঘর ঠান্ডা, অন্ধকার এবং শান্ত রাখুন। মোবাইল দূরে রাখুন, কেবল ঘুমের জন্য বিছানা ব্যবহার করুন।

দিনে ২০-৩০ মিনিটের বেশি ঘুমাবেন না: দিনে যদি আপনি খুব বেশি ঘুমান, তাহলে রাতে ঘুম নষ্ট হতে পারে।


যদি আপনার ঘুমের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়

যদি আপনি ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘুম না পান। যদি আপনি চাপ বা উদ্বিগ্ন থাকেন। তাহলে একজন ডাক্তার বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।