মাইগ্রেনের ব্যথা হলে যা খাবেন না

মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কী খাবেন না


মাইগ্রেনে ভুগলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো ব্যথাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।


মাইগ্রেনের ব্যথায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে:


চকোলেট:

চকোলেটে ক্যাফেইন এবং টাইরামিন থাকে, যা মাইগ্রেনের ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে।


প্রক্রিয়াজাত মাংস:

প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন সসেজ, সালামি, হট ডগ ইত্যাদিতে নাইট্রেট থাকে, যা রক্তনালী প্রসারিত করতে পারে এবং মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে।


পনির এবং দুগ্ধজাত পণ্য:

বিশেষ করে বয়স্ক চিজে টাইরামাইন থাকে, যা একটি সাধারণ মাইগ্রেন ট্রিগার হিসাবে পরিচিত।


ক্যাফেইন:

অতিরিক্ত ক্যাফেইন মাইগ্রেনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই কফি, চা, কোমল পানীয় কমাতে হবে।


অ্যালকোহল:

টাইরামিন এবং অ্যালকোহলের ডিহাইড্রেটিং প্রভাব, বিশেষত রেড ওয়াইনে, মাইগ্রেনের ব্যথাকে তীব্র করতে পারে।


মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG):

প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চাইনিজ খাবারে প্রায়ই MSG থাকে, যা মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে পারে।


আচার এবং প্রিজারভেটিভ সমৃদ্ধ খাবার:

আচার এবং প্রিজারভেটিভগুলিতে টাইরামিন এবং সোডিয়াম থাকে, যা মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।


সাইট্রাস ফল:

কমলা, লেবু এবং টমেটোর মতো খাবারের কিছু রাসায়নিক মাইগ্রেনের ব্যথাকে উদ্দীপিত করতে পারে।


উচ্চ লবণযুক্ত খাবার:

অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা মাইগ্রেনের ব্যথায় অবদান রাখতে পারে।


প্রচুর মিষ্টি খাবার:

উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে, যা মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।


মাইগ্রেন প্রতিরোধে যা করবেন:

পর্যাপ্ত পানি পান করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম মাইগ্রেন প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। তবে ঘন ঘন মাইগ্রেন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।