লো ব্লাড প্রেসার আর হাই ব্লাড প্রেসারের সময় খাবার ও দৈনন্দিন যত্নের তালিকা

লো ব্লাড প্রেসার আর হাই ব্লাড প্রেসারের সময় খাবার ও দৈনন্দিন যত্নের তালিকা

লো ব্লাড প্রেসার (Hypotension) আর হাই ব্লাড প্রেসার (Hypertension) – দুই অবস্থাতেই খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন করলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিচে আলাদা করে তালিকা দিলাম:


লো ব্লাড প্রেসার (Hypotension)

কী খাবেন

লবণযুক্ত খাবার: হালকা পরিমাণে লবণ (কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শে)

পানি ও তরল: দিনে ৮–১০ গ্লাস পানি, নারকেলের পানি, লেবু পানি, স্যুপ

শর্করা ও শক্তিদায়ক খাবার: ভাত, রুটি, ওটস, আলু, মিষ্টি আলু

প্রোটিন: ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল, দুধ

আয়রন ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স: খেজুর, কিশমিশ, কলা, ডালিম, পালং শাক

কফি বা চা: রক্তচাপ সাময়িকভাবে বাড়াতে সাহায্য করে


এড়িয়ে চলুন

অ্যালকোহল

দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকা


জীবনধারার যত্ন

হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাবেন না (চেয়ারে বা বিছানায় বসে ধীরে উঠুন)

দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলুন

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন


হাই ব্লাড প্রেসার (Hypertension)

কী খাবেন

লো-সোডিয়াম ডায়েট (কম লবণ)

ফল ও শাকসবজি: কলা, কমলা, পেয়ারা, আপেল, পালং শাক, লাউ, করলা

হোলগ্রেইন: ব্রাউন রাইস, ওটস, আটার রুটি

প্রোটিন: মাছ, ডাল, মুরগি (চামড়া ছাড়া), সয়াবিন

স্বাস্থ্যকর চর্বি: অলিভ অয়েল, বাদাম, আখরোট

ড্যাশ ডায়েট (DASH Diet): বেশি শাকসবজি, ফল, দই, দুধ, ফাইবারযুক্ত খাবার


এড়িয়ে চলুন

অতিরিক্ত লবণ ও লবণযুক্ত খাবার (আচার, ফাস্ট ফুড, চিপস)

তেল-চর্বি বেশি খাবার (ভাজাপোড়া, লাল মাংস)

ধূমপান, অ্যালকোহল, অতিরিক্ত কফি


জীবনধারার যত্ন

নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম

মানসিক চাপ কমানো (ধ্যান, যোগ, শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যায়াম)

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়া (যদি ডাক্তার দেন)


গুরুত্বপূর্ণ

হঠাৎ মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা – সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে হবে।

ডায়েট ও যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপা জরুরি।