রক্তচাপ (Blood Pressure) কতটা স্বাভাবিক?

রক্তচাপ (Blood Pressure) কতটা স্বাভাবিক?

রক্তচাপ (Blood Pressure) আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। স্বাভাবিক রক্তচাপ বয়স ও শারীরিক অবস্থার ওপর কিছুটা নির্ভর করে, তবে সাধারণভাবে চিকিৎসকরা একটি নির্দিষ্ট সীমাকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলে ধরে নেন।

স্বাভাবিক রক্তচাপের মান (বয়স্কদের জন্য)

সিস্টোলিক (উপরের সংখ্যা): 90 – 120 mmHg

ডায়াস্টোলিক (নিচের সংখ্যা): 60 – 80 mmHg

অর্থাৎ স্বাভাবিক রক্তচাপ সাধারণত 120/80 mmHg এর কাছাকাছি।


রক্তচাপের স্তর অনুযায়ী বিভাগ

স্তর: সিস্টোলিক (উপরের সংখ্যা)-ডায়াস্টোলিক (নিচের সংখ্যা)

স্বাভাবিক (Normal):90 – 120-60 – 80

প্রি-হাইপারটেনশন (Elevated):120 – 129-< 80

হাইপারটেনশন – ১ম ধাপ: 130 – 139-80 – 89

হাইপারটেনশন – ২য় ধাপ: 140 বা বেশি-90 বা বেশি

বিপজ্জনক/ক্রাইসিস: 180 এর বেশি-120 এর বেশি


শিশু ও কিশোরদের রক্তচাপ

শিশুদের স্বাভাবিক রক্তচাপ বয়স, উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী ভিন্ন হয়।

সাধারণত ৮–১২ বছরের শিশুদের জন্য 100/65 mmHg এর মতো চাপকে স্বাভাবিক ধরা হয়।


স্বাভাবিক রক্তচাপ সাধারণত ১২০/৮০ mmHg-এর নিচে থাকে, যেখানে ১২০ হলো সিস্টোলিক (হৃদস্পন্দনের সময় সর্বোচ্চ চাপ) এবং ৮০ হলো ডায়াস্টোলিক (হৃদস্পন্দনের মাঝে সর্বনিম্ন চাপ)। ১৪০/৯০ mmHg-এর উপরে গেলে তা উচ্চ রক্তচাপ নির্দেশ করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বয়স এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে স্বাভাবিক রক্তচাপের তারতম্য হতে পারে, তাই সঠিক তথ্যের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 


স্বাভাবিক রক্তচাপের সাধারণ মাত্রা: 

সিস্টোলিক (উপরের সংখ্যা): ১২০ mmHg এর নিচে।

ডায়াস্টোলিক (নিচের সংখ্যা): ৮০ mmHg এর নিচে।


উচ্চ রক্তচাপ: 

যদি রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা এর উপরে হয়, তবে তা উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা।


গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

রক্তচাপ পরিমাপের সময় সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক উভয় সংখ্যাই গুরুত্বপূর্ণ। 

বয়স, লিঙ্গ এবং সামগ্রিক শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে স্বাভাবিক রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। 

আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক আছে কিনা তা জানতে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা সবচেয়ে ভালো। 


মনে রাখবেন

সকালে বিশ্রামের সময় মাপা রক্তচাপ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।

কফি, ধূমপান, ব্যায়াম বা মানসিক চাপ রক্তচাপ সাময়িকভাবে বাড়াতে পারে।

নিয়মিত হাই/লো ব্লাড প্রেসার থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।