হজমশক্তি উন্নত করার উপায় কী?

হজমশক্তি উন্নত করার উপায় কী?

হজমশক্তি উন্নত করার জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন ফল, শাকসবজি এবং শস্য। এছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।


হজমশক্তি উন্নত করার জন্য করণীয়:

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ফাইবার হজমে সাহায্য করে। নাশপাতি, স্ট্রবেরি, কলা, আপেল, অ্যাভোকাডো এবং বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি এবং ডাল ফাইবার সমৃদ্ধ।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।

ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: ভাজা খাবার হজম করা কঠিন এবং পেটে ব্যথা এবং অম্বল হতে পারে। পরিবর্তে ভাজা বা সিদ্ধ খাবার খান।

নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।

প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক: দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক এবং কলার মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (প্রিবায়োটিক) হজমশক্তি উন্নত করতে পারে।

হজম সহায়ক পানীয়: লেবু, আদা চা, বা পুদিনা চা দিয়ে গরম পানি খাওয়ার পরে পান করা যেতে পারে।

ধীরে ধীরে খান: খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।


হজমশক্তি ভালো রাখা বা বৃদ্ধি করার অর্থ হল কেবল খাবার সঠিকভাবে হজম করা নয়, বরং শরীর থেকে পুষ্টি সঠিকভাবে শোষণ করা। নীচে কিছু সহজ প্রাকৃতিক উপায় এবং খাবারের তালিকা দেওয়া হল যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে


১. আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন

ধীরে ধীরে খান — তাড়াহুড়ো করে খেলে খাবার ঠিকমতো চিবানো যায় না, ফলে হজমে সমস্যা হয়।

নিয়মিত খান — প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খেলে পাচনতন্ত্র ছন্দে কাজ করতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন — বেশি খেলে পেটের উপর চাপ পড়ে।


২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

সকালে খালি পেটে গরম পানি হজমে খুবই সহায়ক।

খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি পান করার চেয়ে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা ১ ঘন্টা পরে পানি পান করা ভালো।


৩. হজমে সাহায্য করে এমন খাবার

দই বা ঘি — এতে প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজমে সাহায্য করে।

আদা — পাচক এনজাইম সক্রিয় করে, গ্যাস কমায়।

জিরা, ধনে, মৌরি, তেজপাতা - হজমের জন্য উপকারী মশলা।

পেঁপে এবং আনারসে এনজাইম (পেপেইন, ব্রোমেলেন) থাকে, যা প্রোটিন হজমে সাহায্য করে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার - ফল, শাকসবজি, ওটস, গোটা শস্য পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে।


৪. জীবনযাত্রার পরিবর্তন

খাওয়ার পর হালকা হাঁটা - খাবার দ্রুত হজম হয়।

পর্যাপ্ত ঘুম - রাতে পরিপাকতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।

মানসিক চাপ কমানো - মানসিক চাপ হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন - এগুলি পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভারসাম্য নষ্ট করে।


৫. প্রয়োজনে ঘরোয়া প্রতিকার

খাওয়ার পর এক চা চামচ আদার রস + মধু খান।

সকালে খালি পেটে লেবুর রস + হালকা গরম পানিতে এক চিমটি লবণ পান করা যেতে পারে।


আরো টিপস-

হজমশক্তি উন্নত করার জন্য কিছু অভ্যাস এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন অপরিহার্য। খাবার ভালো করে চিবানো, পর্যাপ্ত পানি পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, মানসিক চাপ কমানো এবং ফল, শাকসবজি এবং দইয়ের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

খাবার ভালো করে চিবানো হজমের রস নিঃসরণ উন্নত করে, যা হজমে সাহায্য করে।

প্রচুর পানি পান করুন, পানি শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে এবং হজমে সাহায্য করে।

হাঁটা বা যোগব্যায়ামের মতো হালকা ব্যায়াম হজমের জন্য উপকারী।

চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন, চাপ হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে, তাই চাপ এড়িয়ে চলুন।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ফল (তরমুজ, বেরি) এবং শাকসবজি, হজমে সাহায্য করে।

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার দই, পনির এবং অন্যান্য গাঁজানো খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

প্রোটিন খাবার মুরগি, টার্কি এবং মাছের মতো সহজে হজমযোগ্য প্রোটিন বেছে নিন।

চর্বিযুক্ত এবং মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত, মশলাদার বা প্রক্রিয়াজাত খাবার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


অন্যান্য প্রতিকার

আদা, পুদিনা অথবা মৌরি: আদা হজম প্রশমিত করতে পারে, এবং পুদিনা ও মৌরি হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণ হজমে প্রভাব ফেলতে পারে।