পাকস্থলীর ইনফেকশন কী? লক্ষণ

পাকস্থলীর ইনফেকশন কী? 

পাকস্থলীর ইনফেকশন হল পাকস্থলী এবং পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ, যা সাধারণত H. pylori এর মতো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, বদহজম এবং অ্যাসিডিটি। গুরুতর ক্ষেত্রে, বমি বা মলে রক্ত ​​এবং ওজন হ্রাসের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

পাকস্থলীর ইনফেকশন সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা। এছাড়াও, জ্বর, দুর্বলতা এবং পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। পেটের সংক্রমণকে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয় এবং সাধারণত দুই সপ্তাহেরও কম সময় স্থায়ী হয়। কিছু ক্ষেত্রে, সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যার লক্ষণগুলি আরও তীব্র হতে পারে।


সাধারণ লক্ষণ

বমি এবং ডায়রিয়া: বমি এবং আলগা মল পেটের সংক্রমণের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে।

পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি: পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি, বিশেষ করে খাওয়ার পরে, অনুভূত হতে পারে।

জ্বর এবং দুর্বলতা: সংক্রমণ জ্বরের কারণ হতে পারে এবং ক্লান্তি বা দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।

ক্ষুধা হ্রাস: একটি সাধারণ লক্ষণ হল ক্ষুধা হ্রাস।

পেট ফাঁপা: অনেকের পেটে পূর্ণতা বা পেট ফুলে যাওয়ার অনুভূতি হতে পারে।


গুরুতর লক্ষণ

রক্ত বমি: রক্ত ​​বমি করা একটি গুরুতর লক্ষণ।

কালো বা টলটলে মল: কালো বা টলটলে মলও একটি গুরুতর লক্ষণ, যা পেটের আলসারের কারণে হতে পারে।

অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস: কোনও কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাসও একটি উদ্বেগের বিষয়।

গিলতে অসুবিধা: খাবার গিলতে অসুবিধা বা ডিসফ্যাগিয়া হতে পারে।

জন্ডিস: চোখ বা ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া একটি গুরুতর লক্ষণ।


কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন

বমি বা ডায়রিয়ার কারণে যদি আপনার শরীর থেকে খুব বেশি জল কমে যায় (ডিহাইড্রেশন)।

যদি আপনার মলে রক্ত ​​থাকে বা রক্ত ​​বমি হয়।

যদি আপনার ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

যদি আপনার পেটে ব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।

যদি আপনার খাবার গিলতে সমস্যা হয়।

মনে রাখবেন, পেটের সংক্রমণের অনেক কারণ থাকতে পারে এবং সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।