স্ট্রেস কমানোর খাবার-stress komanur khabar

স্ট্রেস কমানোর খাবার

টেনশন বা মানসিক চাপ কমাতে পুষ্টিকর খাবার যেমন শাক-সবজি, তাজা ফল, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ (স্যামন), এবং গ্রিন টি উপকারী; পাশাপাশি পর্যাপ্ত ব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও শখের কাজ করাও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা শরীরকে শিথিল ও মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। 

যেসব খাবার টেনশন কমাতে সাহায্য করতে পারে:

শাক-সবজি ও ফল: পালংশাক, ব্রোকলি, সাইট্রাস ফল (কমলা, লেবু) ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। 

বাদাম ও বীজ: কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম দেয়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। 

ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার: স্যামন, সার্ডিন, টুনা মাছ, এবং ফ্ল্যাক্স সিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় ও উদ্বেগ কমায়। 

আস্ত শস্যদানা (Whole Grains): ব্রাউন রাইস, ওটস, বার্লি ইত্যাদি স্লো রিলিজ এনার্জি দেয় এবং মন ভালো রাখে। 

ভেষজ চা: ক্যামোমাইল বা গ্রিন টি প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলে। 

কলা: এতে থাকা পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে। 

রসুন: এটি স্ট্রেস হরমোন কমাতে কার্যকর। 

জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার: ঝিনুক, ডিমের কুসুম, কলিজা উদ্বেগ কমাতে পারে। 


স্ট্রেস কমাতে খাবারের বড় ভূমিকা আছে। নিয়মিত সঠিক খাবার খেলে শরীরের হরমোন ব্যালান্স থাকে এবং মনও শান্ত হয়। নিচে কিছু কার্যকর **স্ট্রেস কমানোর খাবার** দেওয়া হলো—


ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার

* পালং শাক, ব্রকলি

* কলা

* অ্যাভোকাডো

এগুলোতে ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি থাকে, যা নার্ভ শান্ত রাখতে সাহায্য করে।


ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার

* স্যামন, সার্ডিন মাছ

* আখরোট

* চিয়া বীজ

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উদ্বেগ কমাতে ও মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে।


মন ভালো করার খাবার

* ডার্ক চকলেট (অল্প পরিমাণ)

* দই

* গ্রিন টি

এগুলো সেরোটোনিন বাড়ায়, যা স্বাভাবিকভাবে স্ট্রেস কমায়।


 অতিরিক্ত টিপস

* অতিরিক্ত চিনি ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন

* পর্যাপ্ত পানি পান করুন

* নিয়মিত সময়মতো খাবার খান


খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য অভ্যাস:

ব্যায়াম: নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে, যা মনকে সতেজ রাখে। 

গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Deep Breathing): এটি স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে। 

পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাব মানসিক চাপ বাড়ায়, তাই পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। 

শখ ও বিনোদন: ছবি আঁকা, গান শোনা বা পছন্দের কাজ করা মনকে বিক্ষিপ্ত হতে দেয় না। 

যা এড়িয়ে চলবেন: 

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল মানসিক চাপ বাড়াতে পারে।