অ্যালার্জি হলে কী করবেন?

অ্যালার্জি হলে কী করবেন?

অ্যালার্জি হলে প্রথমে অ্যালার্জেন পরিহার করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। অ্যালার্জির লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান। ঘরোয়া উপায় হিসেবে আদা চা পান করতে পারেন। গুরুতর অ্যালার্জির ক্ষেত্রে (যেমন অ্যানাফিল্যাক্সিস), দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন। 


করণীয় পদক্ষেপ

অ্যালার্জেন শনাক্ত করুন ও পরিহার করুন:

যে কারণে অ্যালার্জি হচ্ছে (যেমন পরাগ, ধুলো, নির্দিষ্ট খাবার বা কোনো ওষুধ), সেটি খুঁজে বের করে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। 

পর্যাপ্ত পানি পান করুন:

শরীরকে হাইড্রেটেড রাখলে অ্যালার্জেন শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং গলা ও নাককে আরাম দেয়। 

বিশ্রাম নিন:

অ্যালার্জির সময় শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যদি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা হাঁপানির মতো সমস্যা থাকে। 


ঘরোয়া উপায় ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন

আদা চা:

আদা, দারচিনি ও এলাচ দিয়ে তৈরি চা পান করলে গলার অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্টে উপকার পাওয়া যায়। 

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল:

ভিটামিন সি-যুক্ত ফল যেমন কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ প্রদাহবিরোধী ক্ষমতা সম্পন্ন, যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করে। 

গরম পানির ভাপ:

যদি নাকে ব্লক থাকে, তবে গরম পানির ভাপ নিলে আরাম পেতে পারেন।

অ্যালার্জেন তালিকা তৈরি:

কোন কোন বস্তুতে আপনার অ্যালার্জি হয়, তার একটি তালিকা তৈরি করে রাখুন।


চিকিৎসকের পরামর্শ

ওষুধ সেবন:

ত্বকের অ্যালার্জি, র‍্যাশ বা চুলকানি কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ  নিন। 

চিকিৎসকের কাছে যান:

যদি অ্যালার্জির উপসর্গ তীব্র হয়, যেমন শ্বাসকষ্ট, শরীর ফুলে যাওয়া, বা অ্যানাফিল্যাক্সিসের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন। 

ওষুধের অ্যালার্জি:

যদি কোনো ওষুধ খাওয়ার পর অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধটি বন্ধ করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন এবং ওষুধের নাম লিখে রাখুন। 


অ্যালার্জি হলে করণীয় অনেকটাই নির্ভর করে অ্যালার্জির ধরন ও তীব্রতার ওপর। তবে সাধারণভাবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা উচিত:

১. অ্যালার্জির উৎস এড়ানো

অ্যালার্জির কারণ চিহ্নিত করুন (যেমন ধুলো, পরাগকণ, খাবার, পশুর লোম)।

ওই উৎস থেকে দূরে থাকুন বা সংস্পর্শ সীমিত করুন।

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন: ধুলোমুক্ত ঘর, নিয়মিত কাপড়-চাদর ধোয়া, HEPA ফিল্টার ব্যবহার ইত্যাদি।


২. উপসর্গ উপশম করা

হালকা রিঅ্যাকশন (কাশি, হাঁচি, চোখ বা নাক লাল হওয়া):

ঠান্ডা পানি বা স্যালাইন নাক ধোয়া।

চোখে লালা বা কৃত্রিম চোখের পানি ব্যবহার।

চামড়ার চুলকানি বা দানা:

ঠান্ডা প্যাক প্রয়োগ।

হালকা স্টেরয়েড ক্রিম ডাক্তার পরামর্শে।


৩. গুরুতর অ্যালার্জি (অ্যানাফাইল্যাক্সিস)

লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, মুখ/গলা ফুলে যাওয়া, তীব্র চামড়া ফুসকুড়ি, মাথা ঘোরা।

তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতালে যান।

যদি ডাক্তার আগে ইপিনেফ্রিন (EpiPen) লিখে দিয়ে থাকেন, তা ব্যবহার করুন।

শ্বাসপ্রশ্বাস সমস্যার জন্য দ্রুত অক্সিজেন বা শ্বাসনালী খোলার ব্যবস্থা জরুরি।


৪. খাদ্য সংক্রান্ত অ্যালার্জি

যেকোনো সন্দেহজনক খাবার খাওয়া এড়ানো।

লেবেল পড়ে খাবার নির্বাচন করুন।


৫. পরবর্তী ব্যবস্থাপত্র

যদি অ্যালার্জি নিয়মিত হয়, অ্যালার্জি পরীক্ষা (skin prick test বা blood test) করানো ভালো।

দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপত্রের জন্য ডাক্তারের পরামর্শে অ্যালার্জি ইমিউনোথেরাপি নেওয়া যেতে পারে।