কিডনিতে পাথর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

কিডনিতে পাথর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

কিডনিতে খাবার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিছু খাবার পাথর বড় করতে বা নতুন পাথর তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর, তাহলে আপনার অক্সালেট, লবণ এবং প্রাণীজ প্রোটিন, সেইসাথে চিনিযুক্ত পানীয় এবং অ্যালকোহল রয়েছে এমন খাবার খাওয়া সীমিত করা উচিত। এছাড়াও, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ক্যাফিন সম্পর্কে সচেতন থাকুন, কারণ তারা আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে।

সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে, যা ক্যালসিয়াম-ভিত্তিক কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, টিনজাত স্যুপ, ফাস্ট ফুড এবং লবণাক্ত খাবার সীমিত করা উচিত। অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার কিডনিতে পাথর অক্সালেট থেকে তৈরি।

কিডনিতে পাথর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত তার তালিকা নিচে দেওয়া হল:

কিডনিতে পাথর তৈরি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন:

১. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার

(বিশেষ করে যদি ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর হয়)

  • পালং শাক
  • বিট
  • চকলেট
  • বাদাম (বিশেষ করে আমন্ড, কাজু)
  • চা (বিশেষ করে কালো টি)
  • মিষ্টি আলু
  • বেগুন
  • মরিচ

এই খাবারগুলি শরীরে অতিরিক্ত অক্সালেট সরবরাহ করে, যা পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়।

২. অতিরিক্ত লবণ

  • অতিরিক্ত লবণ খেলে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা পাথর তৈরিতে সাহায্য করে।
  • এড়িয়ে চলুন: চিপস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, আচার, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ইত্যাদি।

৩. অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন

  • লাল মাংস (গরু, খাসি)
  • অতিরিক্ত ডিম
  • মুরগি
  • চিংড়ি

এগুলি ইউরিক অ্যাসিড পাথর বা ক্যালসিয়াম পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪. কোমল পানীয় এবং সোডা

  • ঠান্ডা পানীয় এবং ফসফরিক অ্যাসিড
  • এগুলি ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম পাথরের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

৫.  চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার

  • মিষ্টি, মিষ্টি শরবত, কেক, ক্যান্ডি
  • কিডনি ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৬. অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন

  • অতিরিক্ত অ্যালকোহল প্রস্রাবে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি করে
  • অতিরিক্ত কফিও পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে

পরিপূরক সতর্কতা

অতিরিক্ত ভিটামিন সি (পরিপূরক আকারে) শরীরে আরও অক্সালেট তৈরি করতে পারে

ক্যালসিয়াম পরিপূরক শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে খাবেন

পরামর্শ:

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন

লেবু ফল বা লেবুর পানি খেতে পারেন

প্রস্রাব কম হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন