দৈনন্দিন জীবনে যেসব পরিবর্তন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন
বর্তমানে, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, কিছু সহজ পরিবর্তন করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন (স্বাস্থ্যকর খাদ্য)
কম চর্বিযুক্ত, পুষ্টিকর খাবার খান - যেমন শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন - এগুলো উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদপিণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট (স্যাচুরেটেড ফ্যাট) এবং ট্রান্স ফ্যাট বাদ দিন - ভাজা এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন।
রসুন এবং জলপাই তেল যোগ করুন - এগুলো রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন (নিয়মিত ব্যায়াম)
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটুন, দৌড়ান বা ব্যায়াম করুন।
হৃদরোগের ব্যায়াম (যেমন সাঁতার, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফানো) হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
অফিসে বা বাড়িতে দীর্ঘ সময় বসে থাকার পরিবর্তে, মাঝে মাঝে উঠে হাঁটুন।
উপকারিতা: রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমে।
৩. মানসিক চাপ কমানো (স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট)
প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট ধ্যান করুন বা যোগব্যায়াম করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম পান (৭-৮ ঘন্টা)।
কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখুন, অতিরিক্ত কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন।
পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটান, ইতিবাচক চিন্তা করুন।
উপকারিতা: কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা হৃদযন্ত্রকে রক্ষা করে।
৪. ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
ধূমপান ত্যাগ করুন - এটি ধমনী সংকুচিত করে এবং হৃদযন্ত্রে রক্ত প্রবাহ কমায়।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন - অতিরিক্ত অ্যালকোহল রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বাড়ায়।
উপকারিতা: ধমনীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
নিয়মিত আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখুন - কারণ এটি হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ।
পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন।
উপকারিতা: হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই সনাক্ত করা এবং প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
৬. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
শরীরে পানির অভাব থাকলে রক্ত ঘন হয়ে যায়, যা হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
উপকারিতা: রক্ত তরল থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন (বিশেষ করে পেটের চর্বি) হৃদপিণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
উপকারিতা: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়।
উপসংহার
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক চাপ কমানো এবং ধূমপান এড়িয়ে চলা - এগুলোই হৃদরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। অভ্যাসের ছোট ছোট পরিবর্তন এনে সুস্থ হৃদরোগ নিশ্চিত করা সম্ভব।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2025 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.