ঘাড় ব্যথার লক্ষণগুলি কী কী?

ঘাড় ব্যথার লক্ষণগুলি কী কী?

ঘাড় ব্যথা সাধারণত দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, ভুল অবস্থানে ঘুমানো বা অতিরিক্ত চাপের কারণে হয়। তবে এটি কিছু গুরুতর শারীরিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।


১. পেশীতে টান

কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের ক্রমাগত ব্যবহার ঘাড়ের পেশীতে চাপ সৃষ্টি করে।

ভুলভাবে ঘুমানো বা ভারী জিনিস বহন করার ফলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে।

লক্ষণ: ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, নড়াচড়া করার সময় ব্যথা।


২. সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিস

এটি ঘাড়ের হাড়ের অবক্ষয়ের কারণে সৃষ্ট একটি সমস্যা, যা বয়সের সাথে সাথে দেখা দেয়।

মেরুদণ্ডের হাড় এবং ডিস্কের অবনতি হলে ঘাড় ব্যথা হয়।

লক্ষণ: ঘাড় ব্যথার পাশাপাশি মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা বা বাহু ও পায়ে অসাড়তা দেখা দিতে পারে।


৩. সার্ভিকাল ডিস্ক হার্নিয়েশন

যখন ঘাড়ের কশেরুকার মধ্যবর্তী নরম ডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে।

লক্ষণ: ঘাড় থেকে কাঁধ, বাহু বা আঙ্গুলে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।


৪. মেনিনজাইটিস - গুরুতর কারণ

মেনিনজেস সংক্রামিত হলে ঘাড় শক্ত এবং বেদনাদায়ক হতে পারে।

লক্ষণ: জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব।

জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন!


৫. হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে

কিছু ক্ষেত্রে, হার্ট অ্যাটাকের আগেও ঘাড় বা কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

লক্ষণ: বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘাড় এবং বাম বাহুতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া।

জরুরি চিকিৎসা পরামর্শ নিন!


কখন আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত?

যদি ব্যথা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয় অথবা দিন দিন বাড়তে থাকে।

হাত-পা অসাড় হয়ে যায় অথবা শক্তি হারিয়ে ফেলে।

মাথা ঘোরা, ঝাপসা দৃষ্টি, অথবা কথা বলতে অসুবিধা।

ঘাড় ব্যথার সাথে জ্বর, বমি বা অতিরিক্ত ক্লান্তি থাকে।


উপসংহার

সাধারণত, ঘাড় ব্যথা দীর্ঘক্ষণ ধরে খারাপ ভঙ্গিতে বসে থাকার কারণে বা মানসিক চাপের কারণে হয়। তবে, যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তবে এটি হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্পন্ডিলোসিস বা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও হতে পারে। তাই প্রয়োজনে বিশ্রাম নিন, ব্যায়াম করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।