কাশি হলে যে খাবারগুলি এড়াতে হবে

কাশি হলে যা খাবেন না

কাশির সময় কিছু খাবার এড়ানো উচিত কারণ তারা গলা এবং শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টকে আরও জ্বালাতন করতে পারে বা শ্লেষ্মা বাড়াতে পারে। কাশির সময় যে খাবারগুলি এড়াতে হবে তার একটি তালিকা নীচে দেওয়া হল:

১. ঠান্ডা খাবার এবং পানীয়

আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় বা ঠান্ডা জল।

রেফ্রিজারেটর থেকে সরাসরি খাবার।

ঠান্ডা ফলের রস, বিশেষ করে কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা।

কারণ: ঠান্ডা খাবার গলার প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং শ্লেষ্মা জমতে সাহায্য করে।

২. অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার

খুব মশলাদার তরকারি বা খাবার।

লবঙ্গ, মরিচ বা খুব মশলাদার স্ন্যাকস।

কারণ: মশলাদার খাবার গলা এবং শ্বাসনালীতে জ্বালাতন করতে পারে।

৩. ভাজা এবং তৈলাক্ত খাবার

ভাজা খাবার যেমন চিপস, পুরি, সিঙ্গারা, সমুচা।

অতিরিক্ত ঘি বা তেল দিয়ে তৈরি খাবার।

কারণ: এই ধরনের খাবার শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে এবং পুষ্টির ঘাটতি ঘটাতে পারে।

৪. দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য (কিছু ক্ষেত্রে)

অতিরিক্ত দুধ, পনির বা মাখন।

কারণ: কিছু লোকের মধ্যে, দুধ শ্লেষ্মা বাড়ায়, যা কাশির সমস্যা বাড়ায়। তবে হালকা গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

৫. চিনি এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার

ক্যান্ডি, চকোলেট এবং সিরাপ।

মিষ্টি পানীয় বা সোডা।

কারণ: মিষ্টি আঁচিলের পরিমাণ বাড়ায় এবং গলা শুকিয়ে যায়।

৬. ক্যাফিনযুক্ত পানীয়

চা এবং কফি (অতিরিক্ত ক্যাফিন)।

কারণ: ক্যাফেইন গলা শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে।

৭.  অ্যালকোহল এবং ধূমপান

অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

তামাকজাত দ্রব্য বা ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে।

কারণ: এগুলো শ্বাসতন্ত্রকে আরও শুষ্ক ও স্ফীত করে।

উপসংহার

কাশির সময় ঠাণ্ডা, মশলাদার, তৈলাক্ত এবং শ্লেষ্মা তৈরিকারী খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে, উষ্ণ এবং পুষ্টিকর খাবার খান যা গলা প্রশমিত করে এবং আপনাকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে।