ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
পলিউরিয়া, বা ডায়াবেটিস, একটি গুরুতর, দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা যা ঘটে যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কারণ শরীর যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে না বা এটি কার্যকরভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না।
এই প্রোটিন ডায়াবেটিস রোগীদের জীবন বদলে দিতে পারে।
প্রোটিন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সঠিক প্রোটিন নির্বাচন করা এবং সঠিক পরিমাণে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
প্রোটিন কার্বোহাইড্রেটের মতো দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়ায় না। এটি ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সহায়তা করে।
পেশী শক্তিশালী রাখে:
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই পেশী ক্ষয় অনুভব করতে পারেন। প্রোটিন পেশী তৈরি এবং পুনর্নির্মাণ করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
প্রোটিন দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে, যার ফলে ক্ষুধা কম হয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।
ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়:
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রোটিন ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, যা টাইপ 2 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রোটিনের ভালো উৎস
১. উদ্ভিজ্জ প্রোটিন
ডাল ও ডাল: মসুর ডাল, মটরশুটি, ছোলা।
সয়াবিন এবং টফু: এতে প্রোটিন বেশি এবং চর্বি কম।
বাদাম এবং বীজ: বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ, শণের বীজ।
২. প্রাণিজ প্রোটিন
মুরগি (ত্বক ছাড়া), মুরগির মাংস: কম চর্বি এবং উচ্চ প্রোটিনের জন্য ভালো উৎস।
ডিম: বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশ।
মাছ: ফ্যাটি মাছ (যেমন স্যামন, টুনা), যা প্রোটিন এবং ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য: দই, দুধ, পনির।
৩. বিশেষ প্রোটিন পাউডার বা সম্পূরক (ডাক্তারের পরামর্শে)
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি কিছু প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট বাজারে পাওয়া যায়, যেগুলোতে কার্বোহাইড্রেট কম এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
সতর্কতা
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ এড়িয়ে চলুন: অত্যধিক প্রোটিন কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যদি একজন ডায়াবেটিস রোগীর কিডনির সমস্যা থাকে।
প্রোটিন উত্স চয়ন করুন: প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন সসেজ, সালামি) এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি প্রোটিন এড়িয়ে চলুন।
উপসংহার
প্রোটিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে, পেশী শক্তিশালী রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কিন্তু সঠিক উৎস এবং পরিমাণ নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রোটিন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2024 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.