দাঁতের জন্য যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত

দাঁতের জন্য যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে-Foods to avoid for teeth

দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কিছু খাবার এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি দাঁতের গহ্বর, এনামেল ক্ষয় এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে। নীচে দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক খাবারের তালিকা দেওয়া হল:


দাঁতের জন্য ক্ষতিকর খাবার


১. চিনি এবং মিষ্টি

চকোলেট, ক্যান্ডি, লজেঞ্জ: এগুলো দীর্ঘক্ষণ দাঁতে লেগে থাকে এবং ব্যাকটেরিয়ার পরিবেশ তৈরি করে, যার কারণে ক্যাভিটি হয়।

মিষ্টি বেকড আইটেম: কেক, পেস্ট্রি এবং কুকিতেও উচ্চ মাত্রায় চিনি থাকে।


২. সোডা এবং কোমল পানীয়

কার্বনেটেড পানীয়: তাদের অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে।

চিনিযুক্ত এবং অ্যাসিডিক পানীয়: সোডা বা এনার্জি ড্রিংক দাঁতের পৃষ্ঠকে দুর্বল করে এবং দাঁতের গহ্বরের ঝুঁকি বাড়ায়।


৩. অ্যাসিডিক খাবার এবং ফল

লেবু, কমলা এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফল: এই ফলগুলিতে উচ্চ মাত্রার অ্যাসিড থাকে যা দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে।

টমেটো এবং টমেটো সস: তাদের অ্যাসিড দাঁতের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে যদি নিয়মিত খাওয়া হয়।


৪. চিপস এবং স্টার্চি খাবার

আলুর চিপস, রুটি এবং পাস্তা: মুখের মধ্যে চিবানোর পর এগুলো চিনিতে ভেঙ্গে যায় এবং দাঁতের মাঝে আটকে যায়, যা ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করে।


৫. শুকনো ফল

কিশমিশ, খেজুর এবং শুকনো আপেল: শুকনো ফল আঠালো এবং সহজেই দাঁতের মাঝে আটকে যায়। এতে উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা ক্যাভিটিস সৃষ্টি করতে পারে।


৬. মিষ্টি পানীয়

চা এবং কফি (চিনি সহ): দীর্ঘ সময় ধরে দাঁতের উপরিভাগে রেখে দিলে এনামেল নষ্ট হয়ে যায় এবং দাঁতে দাগ পড়ে।

মিল্কশেক বা চিনিযুক্ত জুস: এই শর্করা দাঁতের ক্ষয় ঘটাতে পারে।


৭. আঠালো খাবার

জেলি, আঠা এবং টফি: এগুলো দাঁতে লেগে থাকে এবং দীর্ঘক্ষণ চিনির সংস্পর্শে থাকলে ক্ষতি হতে পারে।


৮. অ্যালকোহল

ওয়াইন এবং অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়: এই লালা শুকিয়ে যায়, যা প্রাকৃতিক দাঁত পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়।


৯. বরফ চিবানো

বরফ চিবানো দাঁতের এনামেলকে দুর্বল করে এবং দাঁত ভাঙার ঝুঁকি বাড়ায়।


১০. কঠিন বা কৃত্রিম মিষ্টি

হার্ড ক্যান্ডি দাঁতের এনামেল ভেঙ্গে দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।


দাঁতের ক্ষতি কমানোর টিপস

ক্ষতিকারক খাবার খাওয়ার পর পানি পান করুন: এটি মুখের অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।

খাওয়ার পর ব্রাশ বা ফ্লস: খাবারের কণা এবং ব্যাকটেরিয়া দ্রুত পরিষ্কার হয়।

শর্করার পরিবর্তে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন: যেমন আপেল, গাজর এবং ব্রোকলি, যা দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।


উপসংহার

উপরে উল্লিখিত খাবারের অতিরিক্ত সেবন দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত দাঁতের যত্ন দাঁত সুস্থ ও মজবুত রাখবে।