ombol dur korar upay-অম্বল প্রতিরোধে যা করবেন

অম্বল প্রতিরোধে যা করবেন


অম্বল বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স (গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ) হল সাধারণত পাকস্থলীর অ্যাসিড উপরে উঠে এবং বুকে অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। এটি খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে বুকজ্বালার সমস্যা কমানো যায়।


অম্বল প্রতিরোধের উপায়


খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাবেন না:

খাওয়ার অন্তত ২-৩ ঘন্টা পরে বিছানায় যান। খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে খাবার ও অ্যাসিড সহজেই উঠে আসে, যা বুকজ্বালা বাড়ায়।


অল্প পরিমাণে এবং ধীরে ধীরে খান:

একবারে বড় খাবার খাবেন না, ছোট এবং ঘন ঘন খাবার খান। ধীরে ধীরে খাওয়া হজমে সাহায্য করে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমায়।


অ্যাসিডিক এবং মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন:

লেবু, টমেটো, ভিনেগার, তেল এবং মশলা যুক্ত খাবার অম্বল বাড়াতে পারে। এ ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।


ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং চকলেট এড়িয়ে চলুন:

কফি, চা, চকলেট এবং অ্যালকোহল অম্বল বাড়ায়। এগুলো পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করতে সাহায্য করে, যা বুকজ্বালা বাড়ায়।


ধূমপান এড়িয়ে চলুন:

ধূমপান অম্বল বাড়ায় কারণ এটি খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর মধ্যবর্তী ভাল্বকে দুর্বল করে দেয়। ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে যায়।


ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন:

অতিরিক্ত ওজনের কারণে পাকস্থলী এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের উপর চাপ পড়তে পারে। ওজন কমানো অম্বল কমাতে সাহায্য করে।


উঁচু বালিশে ঘুমানো:

রাতে ঘুমানোর সময় মাথা ও বুক কিছুটা উঁচু রাখলে অ্যাসিড উঠতে পারে না এবং বুকজ্বালাও কম হয়।


চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:

ফাস্ট ফুড, ভাজা, চর্বিযুক্ত মাংস বুকজ্বালা বাড়ায়, তাই চর্বিযুক্ত খাবার কম খান।


পানি পান:

খাবারের আগে বা পরে পর্যাপ্ত পানি পান করলে অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে যায় এবং বুকজ্বালার অনুভূতি কমে যায়।


আদা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহারঃ

আদা এবং কাঁচা হলুদ হজমে সহায়ক এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে। তাই খাবার বা পানিতে মিশিয়ে খেলে বুকের অস্বস্তি কমে যায়।

এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, অম্বল অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ এবং উপশম করা যেতে পারে।