ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে কি হয় জেনে নিন
ফল বা শাকসবজি খাবারের যে শক্ত অংশ থেকে যায় তা হল ফাইবার। এই ফাইবার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খাদ্য হজম, শরীরে চিনির নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। খাবারগুলির মধ্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হল ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু কোনো খাবারই বেশি খাওয়া ভালো নয়। তাই এই প্রয়োজনীয় আঁশের মাত্রাতিরিক্ত সেবনে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অত্যধিক ফাইবার খেলে ফাইবার পাকস্থলীতে জমা হয় এবং পেট ভারী লাগে। এ কারণে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো হল পেট ফোলা, গ্যাস্ট্রিক এবং ডায়রিয়া।
ফাইবার হজমে ভূমিকা পালন করে। ফাইবার হজমের সময় খাবার জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কারণ এটি খাবারের কিউটিন অংশ যা এনজাইম দ্বারা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা যায় না। তাই এটি অন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থের সাথে জমা হয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন অন্ত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান অপসারণ করা ফাইবারের কাজ। এছাড়াও, ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। তবে অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার হজমের গতি ঠিক রাখতে পারে না এবং বিপাকীয় কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে না। এই অতিরিক্ত ফাইবারগুলি পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ দেয়। এটি স্বাভাবিক মলত্যাগে ব্যাঘাত ঘটায়।
ফাইবার গ্রহণের উপকারী মাত্রা বয়স, ক্যালরি গ্রহণ এবং লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ফাইবার গ্রহণের আনুমানিক স্বাভাবিক মাত্রা হল ২০ গ্রাম। সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন হোন।
আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
1. হজম: ফাইবার হজমের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একটি অপরিহার্য খাদ্য উপাদান। এই উপাদানটি কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিরোধ করতে পারে।
2. রক্তে শর্করা: ফাইবার রক্তে শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় না।
3. কোলেস্টেরল: এলডিএল হচ্ছে লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন অর্থাৎ কম ঘনত্বযুক্ত লিপোপ্রোটিন বা খারাপ কোলেস্টেরল। এটি রক্তবাহী নালীগুলোতে জমে গিয়ে রক্তনালীকে সংকুচিত করে ফেলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এই LDL এর পরিমাণ কমায়, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
4. ক্যান্সার: উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারের নির্দিষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধকারী খাবারের মধ্যে ব্রকলি, পালংশাক এবং মটরশুঁটির মতো স্টার্চি খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা পাকস্থলী এবং খাদ্যনালীর ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
5. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ফাইবার হল খাবারের উপাদান যা খাওয়া অস্বাস্থ্যকর ক্যালোরি গ্রহণ এবং অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2024 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.