ভিটামিন-কে এর অভাবের লক্ষণগুলি কী কী?- Symptoms of Vitamin K Deficiency

ভিটামিন-কে এর অভাবের লক্ষণগুলি কী কী?


আপনার শরীরে ভিটামিন-কে কম থাকলে কি হবে?

ভিটামিন-কে এর অভাব উল্লেখযোগ্য  রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে ঝুঁকি  হতে পারে, তবে শিশুরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। জন্মের আগে ভ্রূণে এবং বুকের দুধে ভিটামিন কে-এর অভাব ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভিটামিন-কে এর অভাবের অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে লিভারের সমস্যা দেখা দেওয়া।


ভিটামিন কে-এর অভাবের প্রধান উপসর্গ হল:

রক্তপাত। 

দুর্বল হাড়ের বিকাশ। 

ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করে। 

নাক বা মাড়ি থেকে পানি পড়া।

অস্ত্রোপচারের স্থান থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত।

ভারী মাসিক।

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে রক্তপাত।

প্রস্রাব এবং মলে রক্ত।

পেটে বা অন্ত্রে  ক্ষত রক্তক্ষরণ সঙ্গে বমিও হয়। 

প্রস্রাব বা মলে রক্ত ​​দেখা যেতে পারে।

অস্টিওপরোসিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।


আমার ভিটামিন কে প্রয়োজন কিনা আমি কিভাবে জানব?

ভিটামিন কে-এর ঘাটতির প্রধান লক্ষণ-রক্তপাত। কাটা বা ক্ষত স্থান ছাড়া অন্য জায়গায় রক্তপাত হতে পারে। ভিটামিন কে এর অভাবে রক্তক্ষরণ সমস্যা ঘটে। 


ভিটামিন কে এর অভাবের সবচেয়ে সাধারণ কারণ কী?

ভিটামিন কে-এর অপর্যাপ্ত গ্রহণ, চর্বি ম্যালাবশোরপশন। 


ভিটামিন কে এর অভাব কি ক্লান্তি সৃষ্টি করে?

ভিটামিন কে এর অভাব  দুর্বলতা, রক্তাল্পতা, অ্যানিমিয়া শরীরে দুর্বলতার কারণ এবং ফ্যাকাশে দেখাতে পারে।


কোন খাবারে ভিটামিন-কে সবচেয়ে বেশি থাকে?

কলার্ড গ্রিনস। 

পালং শাক।

কেল। 

সরিষার শাক। 

সুইস চার্ড। 


ডিমে কি ভিটামিন-কে বেশি থাকে?

ডিম  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারটি এতে ভিটামিন কে রয়েছে। একটি ডিমের কুসুমে ০.১ ১৯ mcg ভিটামিন K থাকে।


আমি কিভাবে আমার ভিটামিন-কে মাত্রা বাড়াতে পারি?

ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খেয়ে আপনি আপনার ভিটামিন-কে মাত্রা বাড়াতে পারবেন।

ভিটামিন কে জাতীয় খাদ্য উৎস:

কলার্ড গ্রিনস

শালগম, 

কেল, 

পালং শাক, 

ব্রকলি, 

ব্রাসেলস স্প্রাউট, 

বাঁধাকপি, 

লেটুস,

সবুজ শাক সবজি

সয়াবিন 

ক্যানোলা তেল

সালাদ।


কি ভিটামিন-কে শোষণ সাহায্য করে?

চর্বি ভিটামিন-কে শোষণ বাড়ায়। জলপাই তেল, সালাদ উভয়ই ভিটামিন-কে সরবরাহ করে এবং শরীরকে শোষণ করতে সহায়তা করবে।


আপনি যদি খুব বেশি ভিটামিন-কে গ্রহণ করেন তবে কী হবে?

ভিটামিন কে একটি চর্বি-দ্রবণীয় পুষ্টি যা রক্ত ​​​​জমাট বাঁধা, সুস্থ হাড় এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে। যদি আপনি ভিটামিন কে-এর মাত্রাতিরিক্ত পরিপূরক গ্রহণ করেন, তবে রক্ত ​​​​জমাট বাঁধা, যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হতে পারে।