ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
ফ্যাটি লিভার সাধারণত অতিরিক্ত চর্বি এবং বিষাক্ত পদার্থের কারণে হয়। এটি প্রতিরোধে সঠিক খাবার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত তার তালিকা দেওয়া হল—
১. উচ্চ চর্বিযুক্ত এবং ভাজা খাবার
গভীর ভাজা খাবার (পুরি, সমুচা, পাকোড়া)
ফাস্ট ফুড (বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই)
অতিরিক্ত তেল এবং ঘি দিয়ে রান্না করা খাবার
কারণ: এই খাবারগুলিতে অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারে জমা হয়, যা ফ্যাটি লিভারকে আরও খারাপ করে তোলে।
২. প্রক্রিয়াজাত এবং লাল মাংস
গরুর মাংস এবং খাসির মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংস (সসেজ, সালামি, বেকন)
কারণ: এতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে।
৩. অতিরিক্ত চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট
চিনি এবং চিনিযুক্ত খাবার (মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, কোমল পানীয়)
সাদা ভাত, আটার রুটি, পাস্তা
মিষ্টি সিরাপযুক্ত খাবার (প্যাকেট জুস, কেক, বিস্কুট)
কারণ: অতিরিক্ত চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট গ্লুকোজকে চর্বিতে রূপান্তরিত করে, যা লিভারে জমা হয় এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ায়।
৪. কোমল পানীয় এবং অ্যালকোহল
ঠান্ডা পানীয়, এনার্জি ড্রিংকস
অ্যালকোহল (যেকোনো ধরণের)
কারণ: অ্যালকোহল এবং উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ সরাসরি লিভারের ক্ষতি করে এবং ফ্যাটি লিভার বাড়ায়।
৫. অতিরিক্ত লবণ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার
অতিরিক্ত লবণ এবং সোডিয়ামযুক্ত খাবার (আচার, চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস)
প্যাকেজজাত খাবার (প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার, টিনজাত খাবার)
কারণ: অতিরিক্ত লবণ লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ফ্যাটি লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
করণীয়:
একটি সুস্থ লিভারের জন্য, আপনি খেতে পারেন:
সবজি (ব্রোকলি, পালং শাক)
ফল (আপেল, বেরি, পেঁপে)
বাদাম এবং বীজ (আখরোট, চিয়া বীজ)
জলপাই তেল এবং সবুজ চা
একটি সুস্থ লিভারের জন্য, প্রোটিন, ফাইবার এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার খান এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন!
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2025 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.