ইফতারে যেসব খাবার খেলে পেটে গ্যাস ও পেট ফোলা হয়

ইফতারের সময় যেসব খাবার গ্যাস এবং পেট ফাঁপা করে

ইফতারের সময় কিছু খাবার গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চললে হজমের উন্নতি হবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে।

১. চিনি এবং মিষ্টি খাবার

অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে এবং পেট ফাঁপা হতে পারে।

মিষ্টি শরবত বা অত্যন্ত মিষ্টিযুক্ত শরবত (যেমন রুহ আফজা, মিষ্টি দই) হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


২. ভাজা খাবার (ভাজা খাবার)

জনপ্রিয় ইফতারের খাবার যেমন পিয়াজু, বেগুনি, সামোসা, চপ, পরোটা, কাচ্চি ইত্যাদিতে অতিরিক্ত তেল এবং মশলা থাকে, যা গ্যাস্ট্রাইটিস এবং বুকজ্বালার কারণ হয়।

যদি খুব বেশি তেল থাকে, তাহলে হজম হতে সময় লাগে, ফলে পেট ফাঁপা এবং অস্বস্তি হয়।


৩. কার্বনেটেড এবং কোমল পানীয়

ইফতারের সময় অন্যান্য কোমল পানীয় গ্যাস এবং পেট ফাঁপা হতে পারে।

এগুলিতে চিনি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে, যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।


৪. অতিরিক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য

অতিরিক্ত দুধ, মিষ্টি দই, ফালুদা, মালাই, পায়েস ইত্যাদি খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে।

অনেকের শরীরে ল্যাকটোজ হজম হয় না, তাই দুগ্ধজাত খাবার গ্যাসের কারণ হতে পারে।


৫. অতিরিক্ত মশলাদার এবং নোনতা খাবার

ইফতারের সময় অতিরিক্ত মশলাদার এবং নোনতা খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায় এবং পেটে গ্যাস হতে পারে।

বিশেষ করে মশলাদার মাংস, ভাজা খিচুড়ি, তন্দুরি এবং গ্রেভিযুক্ত খাবার হজমের সমস্যা তৈরি করে।


৬. বেশি ডাল জাতীয় খাবার (ছোলা, মসুর ডাল, রাজমা ইত্যাদি)

ছোলা এবং ডাল ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যা হজমে সহায়ক, তবে অতিরিক্ত খেলে গ্যাস এবং পেট ফাঁপা হতে পারে।

ছোলা ভিজিয়ে রাখলে সমস্যা কমে।


৭. কিছু কাঁচা ফল ও সবজি

কিছু ফল ও সবজি (যেমন কাঁচা কলা, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শসা, আপেল) অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে।

অতিরিক্ত তরমুজ খেলে পেট ফুলে যেতে পারে কারণ এতে প্রচুর পানি থাকে।


গ্যাস এড়াতে ইফতারের সময় কী খাবেন?

ইফতার শুরু করুন গরম পানি বা লেবুর পানি দিয়ে।

খেজুর এবং হালকা স্যুপ ইফতারের সময় হজম ভালো রাখে।

তেল কম থাকে এমন খাবার খান (গ্রিল করা, বেক করা বা ভাপে ভাজা খাবার)।

দই এবং ছোলা একসাথে খেলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং গ্যাস কমে।


উপসংহার:

ইফতারের সময় ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত চিনি, দুধ, মশলা এবং কিছু কাঁচা ফল ও সবজি খেলে পেটে গ্যাস এবং ফোলাভাব বাড়তে পারে। সুষম এবং পরিমিত খাবার খেলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে।