শীত আসছে, শরীরের যত্ন কীভাবে নেবেন?-winter skin care tips

শীত আসছে, শরীরের যত্ন  কীভাবে নেবেন?


শীতে সকালে গোসল করলে মেটাবলিজম রেট বাড়ে এবং আপনাকে ফ্রেশ মনে হয়।


যাদের সকালে ওয়ার্কআউট করার অভ্যাস আছে তারা ব্যায়াম করার পর গোসল করে নিন। না হলে ওয়ার্কআউটের পর ঘাম শরীরে বসে যাবে। এই ঘাম থেকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হতে পারে। আপনি যদি সৃজনশীল কাজের সাথে জড়িত থাকেন তবে আপনার মনকে সতেজ করতে সকালে গোসল করা খুব ভাল।


সকালে গোসল করা (সঠিক সময়) এদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবনীর সাথে আবদ্ধ। গোসল সারাদিনের কাজ পরিষ্কার করার একমাত্র উপায়।


যাইহোক, অনেকে সকালে গোসল করার সময় নেই। দিন শেষে তারা বাড়ি ফেরে। আবার সকালে যতই মানুষ গোসল করুক না কেন, রাতে ভালো করে গোসল না করলে তাদের ঘুম আসবে না।


গোসলের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি আপনার পছন্দের যে কোন সময় গোসল করতে পারেন। সকালে বা রাতে গোসলের মধ্যে কোন বিশাল পার্থক্য নেই। উভয় স্নানের নিজস্ব সুবিধা রয়েছে। এখানে জেনে নিন কার কোন সময়ে গোসল করা উচিত।


 আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পর গোসল করা ভালো। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা যখন রাতে ঘুমাই তখন আমাদের ত্বকের উপরের স্তরে অতিরিক্ত তেল জমে যায়। আপনি যদি সকালে উঠে স্নান না করেন, আপনার ব্রণ  সমস্যা হতে পারে।



ঘুমের সমস্যা হলে রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভালো করে গোসল করলে ঘুম ভালো হয়।


আপনার ত্বক শুষ্ক হলে, সকালে নয়, রাতে গোসল করুন। সারাদিন কাজ শেষে বাসায় ফিরে গোসল করলে ত্বক ভালো থাকবে। সকালে গোসল আপনার ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে।


আপনি যদি হাসপাতাল, নার্সিং হোম, ডায়াগনস্টিক ল্যাবে কাজ করেন বা সারাদিন কাজ করতে হয়, তাহলে রাতে বাসায় ফিরে গোসল করুন। কারণ আপনাকে সারাদিন বিভিন্ন মানুষ এবং বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর সাথে অনেক সময় কাটাতে হয়। তাই বাসায় ফিরে ভালো করে গোসল করাটা আপনার জন্য খুবই জরুরি।


বিকেলে ওয়ার্কআউট করার অভ্যাস থাকলে রাতে গোসল করুন। তা না হলে ওয়ার্কআউটের ঘাম আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। ব্যায়াম করে ঘুমাতে গেলে ভালো ঘুম হবে।



শীতে পানির তৃষ্ণা অনেকেই বুঝে না। এমনকি শরীর শুষ্ক থাকে। অনেকেই  খাওয়ার পরও পানি খেতে ভুলে যান। আর খেললেও সেই পরিমাণ খুবই কম। শীতকালে ডিহাইড্রেশন সমস্যা হতে পারে।



বেশি করে পানি পান করার অভ্যাস করুন।  বেশি করে পানি খান, হজম ভালো হবে, মল নরম হবে।



বারবার কুসুম গরম পানি পান করুন। 



মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি এগুলোই পানিশূন্যতার প্রথম লক্ষণ। এর সঙ্গে চোখে ব্যথা ও শরীরে অস্বস্তি হয়। 


গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। আপনি যখন এই সমস্ত লক্ষণগুলি দেখতে পান তখন সাবধান হন। তার মানে আপনার শরীর ডিহাইড্রেটেড।



শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে প্রস্রাবেরও সমস্যা হবে। সেই সময় জ্বালা, পিঠে ব্যথা ও অস্বস্তি হয়। এছাড়াও মূত্রনালী শুষ্ক হয়ে যায়।  বেশি করে পানি খাওয়ার সাথে সাথে ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।



শীতকালে ত্বক শুষ্ক থাকে। কিন্তু সারাদিন নিয়ম করে তেল, সাবান ও ক্রিম লাগানোর পরও যদি ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য ফিরে না পায়, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যাটা ভিতরেই। শরীরের পানিশূন্যতায় হাত-পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



কম পানি পান করলে লালা কম উৎপন্ন হবে, মুখ, জিহ্বা, দাঁত, মাড়িতে ব্যাকটেরিয়া বাড়বে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাই এই সমস্যা এড়াতে দিনে অন্তত দেড় লিটার পানি খান।


পানি শরীরের সমস্ত টক্সিন বের করে দেয়। পানি না খেলে শরীরে টক্সিন জমতে থাকে। ব্রণের সমস্যা বাড়ে। সেই সঙ্গে খাবার হজম হয় না, গ্যাস হয় এসব। 



শীতে আবার ব্যথা, যন্ত্রণা বাড়ে। আর্থ্রাইটিসের কারণে জয়েন্টের ব্যথা ছাড়াও অনেকে ঘাড়, কোমর ও পেশির ব্যথায় ভোগেন।



রাতে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। কম ঘুমালে বা না ঘুমালে শরীরে রোগ বাড়ে। এর বেশিরভাগই ব্যথার দিকে নিয়ে যায়। ফলে শীতকালে যাতে ঘুমের ব্যাঘাত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


বাতের ব্যথার সমস্যা থাকলে শীতের আগেই রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নিতে হবে। যেকোনো ব্যথা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।



আপনার বয়সের সাথে সাথে খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, সয়া, ডিম ইত্যাদি খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সানস্ক্রিন লাগান।



নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এতে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়বে এবং শরীর গরম থাকবে। হাড় এবং পেশীর স্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম যেমন খুব উপকারী, তেমনি এটি জয়েন্টের কঠিনতা কমায়।



হাড় বা মাংসপেশিতে ব্যথা হলে গরম ভাপ দিতে পারেন। একাধিক গরম কাপড় পরলেও কিছুটা উপকার পাবেন। শরীর গরম থাকলে ব্যথা কম হবে।


ব্যায়াম যা হাড় বা জয়েন্টগুলিতে চাপ কমায়। ব্যথা কমাতে হালকা ‘স্ট্রেচিং’ বেশ উপকারী। জয়েন্টগুলোতে চাপ কমায় এমন ব্যায়ামের মধ্যে সাঁতার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে সম্ভব না হলে সাইকেল চালাতে পারেন।





-------

Tags: শীতে ত্বকের যত্ন, শীতে শরীরের যত্ন, শীতে মুখের যত্ন, শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন, শীতকালে ত্বকের যত্ন, ত্বকের যত্ন, শীতের মধ্যে ত্বকের যত্ন, শীতে চুলের যত্ন, শীতে ত্বকের যত্নে, শুষ্ক ত্বকের যত্ন, এই শীতে শরীরের যত্ন নেবেন যেভাবে, শীতে ত্বকের যত্নে মধু, শীতের যত্ন, শীতে ত্বকের বিশেষ যত্ন, শীতে ত্বক, শরীরের যত্ন, শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়, শীতের ত্বকের যত্ন, শীত কালিন শরীরের যত্ন, 5টি শরীরের যত্ন, শীতে শিশুর যত্ন, 

winter skin care, winter skin care routine, winter skin care tips, how to take care of skin in winter, winter skin care products, winter skin care routine in hindi, skin care routine, winter face care routine, winter, winter skincare routine, winter skin care for dry skin, winter skin care for oily skin, dry skin care in winter, winter skincare, winter body care, how to take care of skin in winters, winter hacks, winter body care tips