সূরা আত-তারিক্ব-এর মূল বার্তা এবং ফজিলত

সূরা আত-তারিক্ব-এর মূল বার্তা এবং ফজিলত


সূরা আত-তারিক্ব (سورة الطارق) কুরআনের ৮৬তম সূরা, এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ১৭টি আয়াত রয়েছে। এই সূরার মূল বিষয়বস্তু হলো কিয়ামতের দিন, মানুষের সৃষ্টির প্রক্রিয়া এবং আল্লাহর সর্বশক্তিমান ক্ষমতা।

সূরা আল-তারিক তিলাওয়াত করা কিয়ামতের দিন এর তিলাওয়াতকারীর জন্য অনেক ফজিলত- বর্ধিত আধ্যাত্মিক সচেতনতা, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সুরক্ষা, মানসিক শান্তি আনয়ন।


সূরা আত-তারিক্ব-এর মূল বার্তা:


তারিক বা রাতের আগন্তুক (তারা):

সূরার শুরুতে রাতের তারার শপথ নিয়ে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির গভীরতা এবং নিজের শক্তি সম্পর্কে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।


মানুষের সৃষ্টি:

আল্লাহ মনে করিয়ে দিয়েছেন, মানুষ কীভাবে তুচ্ছ পানির বিন্দু থেকে সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা অসীম এবং মানুষকে এর উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে।


আখিরাতের বিচার:

আখিরাতের দিন প্রত্যেক মানুষের গোপনীয়তা প্রকাশিত হবে এবং আল্লাহর সামনে তাদের কর্মের হিসাব দিতে হবে।


আল্লাহর পরিকল্পনা:

আল্লাহর পরিকল্পনা সবকিছুর ঊর্ধ্বে এবং দুনিয়ার সকল ষড়যন্ত্র আল্লাহর পরিকল্পনার মুখোমুখি হবে।


সূরা আত-তারিক্ব-এর ফজিলত:


আত্মসম্মান ও আল্লাহর শক্তির উপলব্ধি:

এই সূরা তিলাওয়াত করলে আল্লাহর শক্তি এবং কিয়ামতের দিনের হিসাব-নিকাশের গুরুত্ব হৃদয়ে দৃঢ় হয়। এটি মানুষকে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জোরদার করতে সহায়তা করে।


গুনাহ থেকে বিরত রাখে:

যারা নিয়মিত এই সূরা তিলাওয়াত করে, তারা গুনাহ থেকে দূরে থাকে এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুত হয়।


হাদিসে ফজিলত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

"যে ব্যক্তি সূরা আত-তারিক্ব তিলাওয়াত করবে, সে আল্লাহর রহমত লাভ করবে এবং তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"

(তিরমিজি)


আখিরাতের স্মরণ করিয়ে দেয়:

এই সূরা মানুষের মধ্যে আখিরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও জবাবদিহিতার ধারণা শক্তিশালী করে।


উপসংহার:

সূরা আত-তারিক্ব কিয়ামত, মানুষের সৃষ্টি এবং আল্লাহর সর্বোচ্চ শক্তির ওপর গভীর চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানায়। এর নিয়মিত তিলাওয়াত মানুষের জীবনকে শুদ্ধ করে এবং আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়ক হয়।