রমজানে ইফতার করানোর ফজিলত কী?

রমজানে ইফতার করানোর ফজিলত

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

"যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে, তবে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না।"

(তিরমিজি: ৮০৭, ইবনে মাজাহ: ১৭৪৬)


ইফতার করানোর ফজিলত ও উপকারিতা

রোজাদারের সমান সওয়াব পাওয়া যায়

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ইফতার করাবে, সে রোজাদারের মতোই সওয়াব পাবে।

উপকার:

রোজা না রেখেও রোজার সওয়াব অর্জন করা যায়।

এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সহজ উপায়।


গুনাহ মাফ হয় ও জান্নাত লাভের আশা

হাদিস:

"যে ব্যক্তি রমজানে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।"

(মুসনাদ আহমাদ: ৭০৮৮)

উপকার:

গুনাহ মাফ হয়।

জান্নাতের পথে অগ্রসর হওয়া যায়।


পরকালে মুক্তির সুসংবাদ

হাদিস:

"যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউজে (কাউসার কূপ) থেকে পানি পান করাবেন, এরপর সে আর কখনো পিপাসার্ত হবে না।"

(সুনানে ইবনে খুজাইমা: ১৮৭৮)

উপকার:

হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করার সৌভাগ্য হবে।

চিরস্থায়ী শান্তি লাভ হবে।


আত্মীয়তা ও ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি পায়

ইফতার করানো একটি উত্তম আমল যা মানুষকে একে অপরের কাছাকাছি আনে।

উপকার:

সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।

দরিদ্রদের সহযোগিতা করার সুযোগ হয়।


ইফতার করানোর সহজ উপায়

শুধু পানি ও খেজুর দিয়েও ইফতার করানো যায়। (তিরমিজি: ৮০৭)

ইচ্ছামতো ফলমূল বা খাবার দেওয়া যেতে পারে।

গরিব ও দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানে রোজাদারদের ইফতার করানোর তাওফিক দান করুন, আমিন!