লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করার ফজিলত-la hawla wala quwwata illa billahil aliyyil azim

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করার ফজিলত

আরবি:

لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ

উচ্চারণ:

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

La Hawla Wala Quwwata Illa Billah

অর্থ:

"আল্লাহ ছাড়া (পাপ থেকে বাঁচার) কোনো শক্তি নেই এবং (নেক আমল করার) কোনো ক্ষমতাও নেই।"

লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। এর অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।  অর্থাৎ মানুষের ব্যক্তিগত শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ও সাহস যত বেশিই থাকুক না কেন আল্লাহ তায়ালা তাওফিক না দিলে তা কোনো ধরনের উপকারে আসবে না।


ফজিলত ও গুরুত্ব

এটি জান্নাতের গুপ্ত ধন

হাদিস:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

"লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ — এটি জান্নাতের গুপ্তধনের অন্যতম একটি ধন।"

(বুখারি: ৪২০৫, মুসলিম: ২৬৮৮)

উপকার:

এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ জান্নাতের নেক আমলের সওয়াব দান করেন।

এটি এক মহামূল্যবান দোয়া, যা জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভের কারণ।


বিপদ-মুসিবত দূর হয়

হাদিস:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

"লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করো। কেননা, এটি ৯৯টি (রকমের) বিপদ দূর করে দেয়, যার সবচেয়ে হালকা বিপদ হলো দুশ্চিন্তা।"

(মুসনাদ আহমদ: ৫১৩)

উপকার:

দুশ্চিন্তা ও কষ্ট দূর হয়।

বিপদ ও মুসিবত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


শয়তানের কুমন্ত্রণা দূর হয়

হাদিস:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

যখন কোনো ব্যক্তি "লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" বলে, তখন শয়তান বলে: এ ব্যক্তি আমার হাত থেকে বেঁচে গেলো!

(তিরমিজি: ৩৪৬০)

উপকার:

শয়তানের ধোঁকা ও কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ইমান শক্তিশালী হয়।


দোয়া কবুল হয় ও গুনাহ মাফ হয়

হাদিস:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

"লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ — এটি এমন এক দোয়া যা দুনিয়ার ৭০টি বিপদ দূর করে এবং গুনাহ মাফের অন্যতম মাধ্যম।"

(মুসনাদ আহমদ: ৫৭১)

উপকার:

গুনাহ মাফের বড় মাধ্যম।

আল্লাহর রহমত লাভ হয়।


দুঃখ-কষ্ট ও টেনশন দূর হয়

হাদিস:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

"যে ব্যক্তি নিয়মিত এই দোয়া পড়বে, সে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা ও মানসিক কষ্টে থাকবে না।"

(মুসনাদ আহমদ: ৭৭৪১)

উপকার:

দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ দূর হয়।

হৃদয়ে প্রশান্তি আসে।


কখন পড়বেন?

বিপদে পড়লে — আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য।

হতাশা বা দুশ্চিন্তা হলে — মানসিক শান্তির জন্য।

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচতে।

রোগব্যাধি বা দুর্বলতায় পড়লে।

রিজিক বৃদ্ধির জন্য।

আল্লাহ আমাদের এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করার তাওফিক দান করুন, আমিন!