isme azam fazilat bangla-ইসমে আযমের ফযীলত

ইসমে আযমের ফযীলত

ইসমে আযম এবং আসমায়ে হুসনা হচ্ছে সর্বোত্তম যিকির। কেননা আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন।

وَلِلّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنى فادعوه بها .

উচ্চারণ : ওয়া লিল্লাহিল আসমাউল হুসনা ফাদউহু বিহা।

অর্থ : আল্লাহ তাআলার সুন্দরতম নামসমূহ রয়েছে, সুতরাং তোমরা তাঁকে সে সকল সুন্দর নামে আহ্বান কর।


হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন :

উচ্চারণ : ইন্না লিল্লাহি তিসআতুন ওয়া তিসউনা ইসমান, মিয়াতুন ইল্লা ওয়াহিদান, লা-ইয়াহ্ফাযুহা আহাদুন ইল্লা দাখালাল জান্নাতা, ওয়া- হুওয়া বিতরুন ইউহিব্বুল বিৎরা।

অর্থ : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে কারীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন : আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম আছে। যে কেউ ঐ নামগুলোকে পূর্ণরূপে সংরক্ষণ করতে পারবে, সে বেহেশতে প্রবেশাধিকার লাভ করতে পারবে। (মিশকাত শরীফ) 


আল্লাহ তাআলার মহান নাম ইসমে আযম সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তন্মধ্যে হাদীস শরীফে উল্লিখিত মহামতগুলো ওলামায়ে কেরাম প্রাধান্য দান করেছেন।

আমরা এখানে বিভিন্নভাবে প্রাপ্ত মতামতের কতিপয় মতামত তুলে ধরার ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব।

হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ইসমে আযম এমন যে, সে নাম পাঠ করে আল্লাহ তাআলার নিকট যে দোয়া করা হবে তা কবুল করা হবে। সে নামগুলো কালামুল্লাহ শরীফের তিনটি- সূরা-বাক্বারা, আলে ইমরান ও তায়াহার ভিতর নিহিত রয়েছে।

اللهُ لاَ إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي

السَّمَوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِةَ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَوتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَكُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ

الْعَظِيمُ

উচ্চারণ : আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু, লা তাখুযুহু সিনাতুঁও ওয়া লা নাওম, লাহূ মা ফীস্ সামা-ওয়া-তি ওয়ামাফীল্ আরদ্বি, মান যা-ল্লাযী ইয়াশ্ফাউ ইন্দাহু- ইল্লা বিইয্নি-হী, ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়া মা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহীতূনা বিশায়্যিম্মিন্ ইল্মিহী-ইল্লা বিমা শা-আ, ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল্ আরদ্বা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল আলীয়্যুল আযীম।

অর্থ : আল্লাহ্! তিনি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, অনাদি অনন্ত। তাঁকে তন্দ্ৰা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে। কে আছে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে? তাদের অগ্রে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে সবই তিনি অবগত। যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর আসন আসমান ও যমীন ব্যাপী পরিব্যাপ্ত, আর ওদের রক্ষণাবেক্ষণে তিনি দুর্বল হন না, তিনি অতি উচ্চ, মহামহিম। (সূরা বাকারা : ২৫৫)


উচ্চারণ : আলিফ লাম-মীম। আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম ।

অর্থ : আলীফ-লাম-মীম; আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও অনাদি অনন্ত । (সূরা আলে ইমরান : ১-২)


وَعَنَتِ الْوُجُوهُ لِلعَ القَومِ ، وَقَدْ خَابَ مَنْ حَمَلَ ظُلماً 

উচ্চারণ: অ আনাতিল্ উজ্জ্ব,হু লিল্‌হাইয়্যিল ক্বাইয়্যূম্; অক্বদ্ খ-বা মান্ হামালা জুলমান।

অর্থ: সেদিন সকল মুখই চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী আল্লাহর সামনে অবনমিত এবং অনাচারী ব্যক্তিই বঞ্চিত।  (সূরা ত্ব-হা : ১১১)


হাদীস শরীফে আছে ইসমে আযম দ্বারা যে দোয়া করা হয়, তা আল্লাহ তাআলা কবুল করেন এবং যা চাওয়া হয় তা তিনি দিয়ে থাকেন। উক্ত ইসমে আযম হচ্ছে :

لا إله إلا أنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ .

উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নাই, তুমি মহা পবিত্র, আমি পাপীদের অন্তর্ভুক্ত। (তিরমিযী) 


হাদীস শরীফে আছে, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহর মহান নাম ইসমে আযম এমন- যা দ্বারা দোয়া করলে কবুল করা হয়। তা এই আয়াতে-

قُلِ اللَّهُمَّ مُلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ

تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلى كُلِ

شَيْءٍ قَدِيرٌ 

উচ্চারণ : কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তূতিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানযিউল মুলকা মিম্মান তাশাউ ওয়া  তুয়িয্যু মান তাশাউ ওয়া তুজিল্লু মান তাশাউ, বিইয়াদিকাল খাইর, ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইঁয়্যিন ক্বাদীর

অর্থ : বল, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ্! তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর, এবং যার থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নাও, এবং যাকে ইচ্ছা সম্মানী কর, আর যাকে ইচ্ছা বে-ইজ্জতি কর। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয় তুমি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

(সূরা আলে ইমরান ২৬)


হাদীস শরীফে আছে, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা এক ব্যক্তিকে বলতে শুনতে পেলেন:

اَللّهُمَّ اِنّى اَسْتَلكَ بِاَنّى اَشْهَدُ اَنَّكَ اَنْتَ اللهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا انْتَ

لاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِئ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا اَحَدٌ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আশহাদু আন্নাকা আন্তাল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা আন্তাল আহাদুস্ সামাদুল্লাজী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়অলাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ ।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি আল্লাহ তাআলার নিকট এমন নামের দ্বারা প্রার্থনা করেছ যে, তখন উহা দ্বারা তাঁর নিকট কিছু চাওয়া হয়, তিনি তা কবুল করেন।

হাদীস শরীফে আছে, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমরা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম দ্বারা আল্লাহ তাআলার নিকট কাকুতি-মিনতি করে দোয়া কর।


রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন :

يَا الْحَنَّانُ يَا الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوتِ وَالْأَرْضِ يَا ذُو الْجَلَالِ

وَالْإِكْرَامِ يَا حَى يَا قَيُّومُ .

উচ্চারণ: ইয়া হান্নানু ইয়া মান্নানু ইয়া বাদীয়াছ ছামাওয়াতি ওয়ালা আরদি ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।  পাঠ করছে।


তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : নিশ্চয়ই এ ব্যাক্তি আল্লাহ তাআলাকে তার এমন মহান নাম- ইসমে আযম-এর দ্বারা আহ্বান করেছে, যে নামে আহ্বান করলে তিনি কবুল করে থাকেন এবং যে নামে চাইলে তিনি দিয়ে থাকেন।


সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব বলেন, একদা আমি পূর্ণিমা রাতে মসজিদে প্রবেশ করে ভাবলাম, আজ ভোর পর্যন্ত এবাদত করে রাত কাটিয়ে দেব তারপর আমি নামায পড়ে দোয়া করতে লাগলাম। হঠাৎ আমার পেছন থেকে একজন ঘোষণা করে বললো, হে আল্লাহর বান্দা। বল, আমি বললাম

কি বলব ? বললেন, বল-

اللهُمَّ اِنّى اَسْتَلْكَ بِأَنَّكَ مَلِكُ وَانْتَ عَلَى كُلّ شَيْءٍ قَدِيرُ - وَمَا تَشَاءُ مِنْ أَمْرِ يَكُونَ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকা বিআন্নাকা মালিকুন ওয়া আন্তা আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর ওয়া মা তাশায়্যু মিন আমরিন ইয়াকূনু। 

সাঈদ বলেন, যখনই আমি এই দোয়া দ্বারা কোন দোয়া করেছি, তখনই উহার উত্তর পেয়েছি।


নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার নিকট এই বলে দোয়া করতেন :

اللهُمَّ اِنّى اَسْتَلُكَ بِاسْمِكَ الطَّاهِرُ الطَّيبِ الْمُبَارَكَ الْاَحَبُّ إليك

الذي إذا دغيْتُ بِهِ اَجَبْتَ وَإِذَا سُمِّلَتْ بِهِ أَعْطَيْتَ . وَإِذَا اسْتَرَحْمَتُ وَإِذْ

اسْتِفْرَجَتُ بِهِ فَرَّجَتْ .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিইসমিকা তাহিরুত্ তায়্যিবুল মুবারাকুল আহাব্বু ইলাইকা আল্লাজী ইজা দুয়ীতু বিহী আজাবতা, ওয়া ইজা সুয়িলতু বিহী আতাইতা, ওয়া ইজাস তারহামতু বিহী রাহিমতা, ওয়া ইজাস তাফরাজতু বিহী ফাররাজতা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করছি তোমার এমন  নামের সাহায্যে, যে নাম মহা পবিত্র সর্বোত্তম বরকতময় যে নামে আমি কিছু চাইলে তুমি আমাকে তা দান করবে, যে নামে আমি করুণা ভিক্ষা করলে তুমি আমাকে করুণা করবে, যে নামে আমি বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করলে তুমি আমার বিপদ ও মুসীবত দূর করবে।


হযরত ইমাম জয়নুল আবেদার (রহঃ) বলেন, ইসমে আযম হচ্ছে-

اللهُ اللهُ اللهُ الَّذِى إِلهَ إِلَّ وَ رَبُّ العَرُشِ اعظم .

উচ্চারণ : আল্লাহু, আল্লাহু, আল্লাহুল্লাজী লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

হযরত যাবের (রাঃ) বলেন, ইসমে আযম হচ্ছে । (আল্লাহ)।


হযরত ইমাম আয়ায (রাঃ) বলেন ইসমে আযম হচ্ছে কালিমায়ে তাওহীদ :

لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ

بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرُ .

উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মূলক, ওয়া লাহুল হাম্দ, ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু (বিইয়াদিহিল খাইরু) ওয়া হুআ আলা-কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দান করেন। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণ এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।


কারো কারো মতে ইসমে আযম হচ্ছে :

উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নাই, তিনি একক। তাহার কোন শরীক নাই। সমগ্র রাজত্ব এবং সকল প্রশংসা একমাত্র তাহারই জন্য এবং তিনি সর্ব শক্তিমান। পাপ হতে ফিরার সামর্থ ও সৎকাজ করার শক্তি প্রদানকারী একমাত্র আল্লাহ তাআলাই ।


কোন কোন ওলামার মতে ইসমে আযম হচ্ছে :

উচ্চারণ: ইয়া আল্লাহু, ইয়া রাহমানু, ইয়া রাহীমু।

অর্থ : হে আল্লাহ, হে পরম দয়ালু, হে পরম করুণাময়। 


কারো কারো নিকট "ইসমে আযম" হচ্ছে ?

يَا أَرْحَمَ الرَّحِمِينَ .

উচ্চারণ: ইয়া আরহামার রাহেমীন।


কারো কারো নিকট ইসমে আযম হচ্ছে :

الحَلِيمُ الْعَلِيمُ الْعَلَى الْعَظِيمُ 

উচ্চারণ : আল হালীমু আল আলীমু । আল আলীয়্যূল আযীম।


কারো নিকট :- (রাব্বি-রাব্বি)।


কারো নিকট ইস্‌মে আযম হচ্ছে : সামা “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" ।


হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহঃ)-এর নিকট ইসমে আযম হচ্ছে।

يا مَن لَهُ وَجْحْ لَا يَبْل وَنُورٌ لا يُطفى وَاسْمٌ لَا يُنسى وَبَابُ الْايُخْلَقُ ية لا يُهْتَكُ وَمُلْكَ لا يَنفى - اَسْتَلْكَ وَتَوَسَلُ إِلَيْكَ بِجَاهِ مُحَمَّدٍ صَلَّى له عَليهِ وَسَلَّمَ أَن تُقْضِيَ حَاجَتِي وَتُعْطِيَنِي مَسْتَلَتِي .

উচ্চারণ: ইয়া মান লাহু ওয়াযহুন লা-ইয়াবলা ওয়ানূরুন লা-ইউৎফা ওয়া ইসমুন লা-ইউনছা ওয়া বাবুল লা-ইউগলাকু ওয়া সিৎরুন লা ইউহ্তাকু ওয়া মুলকুন লা-ইয়াফনা। আসআলুকা ওয়া আতাওয়াচ্ছালু ইলাইকা বিযাহি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আন তুকজিয়া হাজাতী ওয়া তূতীয়ানী মাসআলাতী।


হযরত ইউশা ইবনে নূন (রহঃ) নিকট ইসমে আযম হচ্ছে :

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্‌আলুকা বিসমিকায যাকীয়্যিত তুহরিত তাহিরিল মুতাহহারিল মুক্কাদাসিল মুবারাকিল মাখযূনিল মাকনূনিল মাকতুবি আলা সুরাদিক্বিল মাযদি ওয়া সুরাদিকিল হামদি ওয়া সুরাদিকিল কুদরাতি ওয়া সুরাদিকিস সুলতানি ওয়া সুরাদিকিস্ সিররি আন্নী আদউকা ইয়া রাব্বী বিআন্না লাকাল হামদু লা-ইলাহা ইল্লা আন্তান নূরুল বাররুর রাহমানুর রাহীমুছ-চাদিকু আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি বাদীউস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া নুরুহুন্না ওয়া কাইয়্যিমুহুন্না ফুল জালালি। ওয়াল ইকরামি, হান্নানুন, মান্নানুন, নূরুন, দা-য়িমুন, কুদ্দুসুন, হাইয়্যূন লা ইয়ামূতু।


শেখ আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) বলেন, ইসমে আযম এক শর্তে ইসমে আযম। যখন তুমি আল্লাহ শব্দ উচ্চারণ করবে তখন তোমার অন্তরে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জালওয়া থাকবে না। তখনই ইসমে আযমের তাছীর লাভ হবে।

এরূপ মর্যাদা আমলিয়াত পড়ে কিংবা মোয়াককেল অনুগত ও তাবে করে হাছিল হয় না। এর জন্য চাই তাওয়া, পরহেজগারী, পবিত্রতা, সততা, আনুগত্য ও সুন্তুষ্টি, আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টা সাধনা, আচার-ব্যবহার, ইবাদত বন্দেগীতে শরীয়তের পূর্ণ পাবন্দী।

কুরআন হাদীসের অনুসরণ করে সালফে ছালেহীন ও আউলিয়া কেরামের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চললেই কেবল এমন মর্যাদা লাভ হতে পারে।