সেহরি খাওয়ার ফজিলত ও গুরুত্ব

সেহরি খাওয়ার ফজিলত

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

সেহরি খাও, কেননা এতে বরকত রয়েছে।

(বুখারি: ১৯২৩, মুসলিম: ১০৯৫)


সেহরির ফজিলত ও উপকারিতা

সেহরি খাওয়া সুন্নত

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

আমাদের ও আহলে কিতাবদের (ইহুদি-খ্রিস্টান) রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া।

(মুসলিম: ১০৯৬)

উপকার:

এটি রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর অনুসরণ।

মুসলিম উম্মাহর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।


সেহরি খাওয়ায় বরকত রয়েছে

হাদিস:

"সেহরি খাও, কেননা এতে বরকত রয়েছে।"

(বুখারি: ১৯২৩, মুসলিম: ১০৯৫)

উপকার:

সেহরি শরীরকে সারাদিন রোজার জন্য শক্তি দেয়।

এটি আল্লাহর রহমত ও বরকতের মাধ্যম।


ফেরেশতারা সেহরি খাওয়া ব্যক্তির জন্য দোয়া করেন

হাদিস:

"আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা সেহরি খাওয়া ব্যক্তির জন্য রহমত প্রেরণ করেন।"

(ইবনে হিব্বান: ৩৪৭৬)

উপকার:

আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভ হয়।

ফেরেশতাদের দোয়া পাওয়া যায়।


সেহরি খেলে রোজা রাখা সহজ হয়

হাদিস:

"সেহরি বরকতময় খাবার, তাই এটি ত্যাগ করো না, যদিও এক ঢোক পানি পান করতে হয়।"

(ইবনে মাজাহ: ১৬৯২)

উপকার:

সারাদিন রোজা রাখা সহজ হয়।

পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা কমে।


সেহরির সময় দোয়া কবুল হয়

আল্লাহ বলেন:

"আমি শেষ রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করি এবং বলি— কে আছো আমার কাছে প্রার্থনা করার? আমি তার প্রার্থনা কবুল করব।"

(বুখারি: ১১৪৫, মুসলিম: ৭৫৮)

উপকার:

দোয়া কবুল হওয়ার সময় পাওয়া যায়।

গুনাহ মাফের সুযোগ হয়।


সেহরির গুরুত্বপূর্ণ আদব ও নিয়ম

শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া উত্তম। (মুসলিম: ১০৯৭)

সেহরিতে খেজুর খাওয়া সুন্নত। (আবু দাউদ: ২৩৪৫)

সেহরির পর বেশি বেশি ইস্তিগফার ও দোয়া করা উচিত। (সূরা আলে ইমরান: ১৭)

যদি সম্ভব না হয়, তাহলে এক ঢোক পানি খেলেও সেহরির সওয়াব পাওয়া যাবে। (ইবনে মাজাহ: ১৬৯২)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেহরির বরকত অর্জন করার তাওফিক দান করুন, আমিন!