surah ar rad mul bisoy-সূরা আর-রাদ মূল বিষয় ও শিক্ষা কি?

সূরা আর-রাদ মূল বিষয় ও শিক্ষা কি?

সূরা আর-রাদ (সূরা ১৩) - মূল বিষয় ও শিক্ষা

সূরার পরিচিতি:

নাম: আর-রাদ (বিদ্যুৎ)

অর্থ: বিদ্যুৎ

আয়াত সংখ্যা: ৪৩

নাজিলের স্থান: মক্কা (কিছু মতে মদিনায় কিছু আয়াত নাজিল হয়েছে)

অধ্যায়: ১৩তম সূরা


সূরা আর-রাদ এর মূল বিষয়বস্তু


তাওহিদ (একত্ববাদ) প্রতিষ্ঠা

আল্লাহর সৃষ্টি ও তাঁর শক্তির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

আকাশ, ভূমি, বৃষ্টি, নদী, পাহাড়, বিদ্যুৎ ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর অসীম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।

প্রকৃত বিশ্বাসীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে প্রতিদান নিশ্চিত করা হয়েছে।


নবুওয়ত ও কুরআনের সত্যতা

রাসুলুল্লাহ ﷺ যে বার্তা নিয়ে এসেছেন, তা যে নির্ভুল ও সত্য, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

অবিশ্বাসীদের জন্য সতর্কবার্তা ও শাস্তির আলোচনা রয়েছে।


কিয়ামত ও আখিরাতের বিবরণ

মানুষের পুনরুত্থান ও বিচার দিবসের বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।

নেককারদের জন্য জান্নাত এবং কাফেরদের জন্য কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আল্লাহর ইচ্ছাই চূড়ান্ত

আল্লাহ যা চান, তাই ঘটে।

মানুষের ইচ্ছা ও কাজের স্বাধীনতা থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আল্লাহর হাতে।


সূরা আর-রাদ থেকে শিক্ষা

১. আল্লাহর শক্তি ও সৃষ্টির নিদর্শন চিন্তা করা উচিত।

২. প্রকৃত জ্ঞানীরা তারাই, যারা আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

৩. নবীগণ সত্যের দাওয়াত দিয়েছেন, তবে হেদায়াত দেওয়া একমাত্র আল্লাহর কাজ।

৪. দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, তাই আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

৫. সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্ট, তবে ঈমানদারদের ধৈর্য ধরতে হবে।

৬. দোয়া ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই শিক্ষাগুলো অনুযায়ী জীবন গঠনের তাওফিক দান করুন, আমিন!