মুক্তাদীর নামায আদায়ের নিয়ম

মুক্তাদীর নামায আদায়ের নিয়ম

মুক্তাদী তিন প্রকার, যথা : (১) মুদরিক, (২) মাসবুক ও (৩) লাহিক ।

১। মুদরিক: বলা হয় যে মুক্তাদী নামাযের প্রথম হতে সমস্ত রাকআত ইমামের সাথে পেয়ে থাকে। মুদরিক মুক্তাদী ইমামের সাথে সূরা কেরাআত ব্যতীত আর সমস্ত কিছু পাঠ করবে। ইমাম যখন শব্দ করে সূরা কেরাআত পাঠ করবে, ইমাম কেরাআত পড়ার সময় কেউ এক্তেদা করলে সে সুবহানা (সানা) পড়বে না। (আলমগিরী) আর যে নামাযে ইমাম চুপে চুপে কেরাআত পাঠ করবে তখন মুক্তাদী এক্তেদা করলে সে সানা (সুবহানাকা) পড়বে। (শাফী)

২। মাসবুক: বলা হয় সে মুক্তাদীকে, যিনি এ নামাযের সঙ্গে প্রথম রাকআত থেকে কতক রাকআত পায়নি। ইমামের বাম দিকে সালাম ফেরানোর পরে এ মুক্তাদী দাঁড়িয়েছে নামায পায়নি তা আদায় করবে। মাসবুকের বিস্তারিত মাসআলা যথাস্থানে উল্লেখ করা হবে।

৩। লাহিক : লাহিক বলা হয় সে মুক্তাদীকে যিনি ইমামের সাথে প্রথম থেকে নামায পেয়েছে কিন্তু অযূ ছুটে যাওয়ার কারণে অযূ করে এসে দেখে, যে ইমামের কিছু নামায হয়ে গেছে তখন সে একাকী বিনা সূরা কেরাআতে সে নামায আদায় করে ইমামের সঙ্গে সামিল হয়ে বাকী নামায পড়বে। আর যদি দেখে যে, ইমামের নামায শেষ হয়ে গেছে, তখন লাহিক ব্যক্তি বিনা নিয়তে ও বিনা সূরা কেরাআতে ছুটে যাওয়া নামায একাকী মুক্তাদি হিসেবে আদায় করবে। যেহেতু মুক্তাদীর অযূ থাকাবস্থায় ইমামের পিছনে চুপ থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে যখন ঠিক থাকে, এ জন্যই লাহিক ব্যক্তিকে ছুটে যাওয়া নামাযে সূরা কেরাআত পাঠ না করে যে সময়টুকু ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে তত পরিমাণ সময় চুপ থেকে দাঁড়িয়ে রুকূ সিজদা করে ছুটে যাওয়া নামায আদায় করে ইমামের পেছনে শরীক হবে।