সূরা ফাতিহার ফযীলত-Surah fatiha fazilat
১. সূরা ফাতিহাকে উম্মুল কুরআন বা কুরআনের মা বলা হয়, এ সূরার ফজীলত অপরিসীম। ওযূর সহিত এ সূরা পাঠ করে যে কোন রোগীর দেহে ফুঁক দিলে, রোগ ভাল হয় ।
২. জ্বরের রোগীকে এ সূরা পড়ে পানিতে ফুঁকিয়ে সে পানি রোগীকে খাওয়ালে জ্বর ছেড়ে যাবে ।
৩. এ সূরা কাগজে লিখে দরজার উপর ঝুলিয়ে রাখলে ঐ ঘর নিরাপদ থাকবে।
৪. দৈনিক শেষ রাতে এ সূরা ৫১ বার পাঠ করলে তার সংসারে উন্নতি হবে এবং প্রশস্ত কাজ সহজভাবে হবে।
৫. এ সূরা ফজর নামাযের পরে ১২৫ বার পাঠ করলে তার অন্তরের আশা পূর্ণ হবে।
৬. ভ্রমণে যাওয়ার সময় এবং ভ্রমণ থেকে ফিরবার সময় এ সূরা ৪১ বার পাঠ করলে, আল্লাহর রহমতে পথে কোন প্রকার বিপদ-আপদ হবে না ।
হাদীস শরীফে আছে:
لاَ صَلوةٌ لِمَنْ لَّمْ بَقَرَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
উচ্চারণ : লা-ছালাতা লিমাল লাম ইয়াক্বরা বিফাতিহাতিল কিতাব।
অর্থঃ যে নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ করল না তার নামাজ সম্পূর্ণ হল না। [বুখারী ও মুসলিম]
৭. নবী করীম (স) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতেহাতুল কিতাব (সূরা ফাতিহা) আল্লাহ আমাকে আরশের নীচ হতে দান করেছেন।
৮. অন্যত্র নবী করীম (স) এ সূরাকে উম্মুল কোরআন বা কোরআন শরীফের মূল বলে আখ্যা দিয়েছেন। হযরত জিব্রাঈল (আ) একদা নবী করীম (স) -কে বলেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দুটি নূর দান করেছেন, যা ইতিপূর্বে অন্য কোন পয়গম্বরকে দান করা হয়নি। এর একটি সূরা ফাতিহা এবং অন্যটি সূরা বাকারা। প্রত্যেক নামাযের প্রতি রাকআতে এ সূরাটি পাঠ করা হয় বলে একে সুরাতুল সালাত অর্থাৎ নামাযের সূরাও বলা হয়ে থাকে।
৯. সূরা ফাতিহা এ সূরা কাগজে লিখে দরজার উপর ঝুলিয়ে রাখলে ঐ ঘর নিরাপদ থাকবে। জ্বরের রোগীকে এ সূরা পড়ে পানিতে ফুঁকিয়ে সে পানি রোগীকে খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ জ্বর ছেড়ে যাবে।
১০. আমাশয়ক্লিষ্ট রোগীর জন্য একটি গ্লাসে পানি নিয়ে বিসমিল্লাহসহ সূরা ফাতিহা কয়েকবার পড়বে এবং প্রতিবার গ্লাসের পানিতে ও রোগীর পেটে দম করবে। শেষে পড়া পানি রোগীকে খাওয়াবে।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2024 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.