সূরা মারইয়াম আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
সূরা মারইয়াম - Surah Maryam (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৯৮)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
1
كٓهيعٓصٓ
কাফ হা-ইয়া-‘আঈূন সোয়াদ
কাফ-হা-ইয়া-আইন-সাদ
2
ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبِّكَ عَبْدَهُۥ زَكَرِيَّآ
যিকরু রাহমাতি রাব্বিকা ‘আবদাহূঝাকারিইইয়া-।
এটা আপনার পালনকর্তার অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি।
3
إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُۥ نِدَآءً خَفِيًّا
ইযনা-দা-রাব্বাহূনিদাআন খাফিইইয়া-।
যখন সে তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করেছিল নিভৃতে।
4
قَالَ رَبِّ إِنِّى وَهَنَ ٱلْعَظْمُ مِنِّى وَٱشْتَعَلَ ٱلرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنۢ بِدُعَآئِكَ رَبِّ شَقِيًّا
কা-লা রাব্বি ইন্নী ওয়াহানাল ‘আজমুমিন্নী ওয়াশতা‘আলার রা’ছুশাইবাওঁ ওয়ালাম আকুম বিদু‘আইকা রাব্বি শাকিইইয়া-।
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা আমার অস্থি বয়স-ভারাবনত হয়েছে; বার্ধক্যে মস্তক সুশুভ্র হয়েছে; হে আমার পালনকর্তা! আপনাকে ডেকে আমি কখনও বিফলমনোরথ হইনি।
5
وَإِنِّى خِفْتُ ٱلْمَوَٰلِىَ مِن وَرَآءِى وَكَانَتِ ٱمْرَأَتِى عَاقِرًا فَهَبْ لِى مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا
ওয়া ইন্নী খিফতুল মাওয়া-লিয়া মিওঁ ওয়ারাঈওয়াকা-নাতিম রাআতী ‘আ-কিরান ফাহাব লী মিল্লা দুনকা ওয়ালিইইয়া-।
আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগোত্রকে এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে এক জন কর্তব্য পালনকারী দান করুন।
6
يَرِثُنِى وَيَرِثُ مِنْ ءَالِ يَعْقُوبَ وَٱجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا
ইয়ারিছু নী ওয়া ইয়ারিছুমিন আ-লি ইয়া‘কূবা ওয়াজ‘আলহু রাব্বি রাদিইইয়া-।
সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।
7
يَٰزَكَرِيَّآ إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَٰمٍ ٱسْمُهُۥ يَحْيَىٰ لَمْ نَجْعَل لَّهُۥ مِن قَبْلُ سَمِيًّا
ইয়া-ঝাকারিইইয়াইন্না-নুবাশশিরুকা বিগুলা-মি নিছমুহূইয়াহইয়া- লাম নাজ‘আল লাহূমিন কাবলুছামিইইয়া-।
হে যাকারিয়া, আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে এই নামে আমি কারও নাম করণ করিনি।
8
قَالَ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِى غُلَٰمٌ وَكَانَتِ ٱمْرَأَتِى عَاقِرًا وَقَدْ بَلَغْتُ مِنَ ٱلْكِبَرِ عِتِيًّا
কা-লা রাব্বি আন্না-ইয়াকূনুলী গুলা-মুওঁ ওয়াকা-নাতিমরাআতী ‘আ-কিরাওঁ ওয়া কাদ বালাগতুমিনাল কিবারি ‘ইতিইইয়া-।
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা কেমন করে আমার পুত্র হবে অথচ আমার স্ত্রী যে বন্ধ্যা, আর আমিও যে বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে উপনীত।
9
قَالَ كَذَٰلِكَ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَىَّ هَيِّنٌ وَقَدْ خَلَقْتُكَ مِن قَبْلُ وَلَمْ تَكُ شَيْـًٔا
কা-লা কাযা-লিকা কা-লা রাব্বুকা হুওয়া ‘আলাইইয়া হাইয়িনুওঁ ওয়াকাদ খালাকতুকা মিন কাবলুওয়া লাম তাকুশাইআ-।
তিনি বললেনঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলে দিয়েছেনঃ এটা আমার পক্ষে সহজ। আমি তো পুর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি এবং তুমি কিছুই ছিলে না।
10
قَالَ رَبِّ ٱجْعَل لِّىٓ ءَايَةً قَالَ ءَايَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ ٱلنَّاسَ ثَلَٰثَ لَيَالٍ سَوِيًّا
কা-লা রাব্বিজ‘আললীআ-য়াতান কা-লা আ-ইয়াতুকা আল্লা-তুকালিলমান্না-ছা ছালা-ছা লাইয়া-লিন ছাবিইইয়া-
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একটি নির্দশন দিন। তিনি বললেন তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ অবস্থায় তিন দিন মানুষের সাথে কথাবার্তা বলবে না।
11
فَخَرَجَ عَلَىٰ قَوْمِهِۦ مِنَ ٱلْمِحْرَابِ فَأَوْحَىٰٓ إِلَيْهِمْ أَن سَبِّحُوا۟ بُكْرَةً وَعَشِيًّا
ফাখারাজা ‘আলা- কাওমিহী মিনাল মিহরা-বি ফাআওহা ইলাইহিম আন ছাব্বিহূবুকরাতাওঁ ওয়া ‘আশিইইয়া-।
অতঃপর সে কক্ষ থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে এল এবং ইঙ্গিতে তাদেরকে সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহকে স্মরণ করতে বললঃ
12
يَٰيَحْيَىٰ خُذِ ٱلْكِتَٰبَ بِقُوَّةٍ وَءَاتَيْنَٰهُ ٱلْحُكْمَ صَبِيًّا
ইয়া-ইয়াহইয়া-খুযিল কিতা-বা বিকুওয়াতিওঁ ওয়াআ-তাইনা-হুল হুকমা সাবিইইয়া-।
হে ইয়াহইয়া দৃঢ়তার সাথে এই গ্রন্থ ধারণ কর। আমি তাকে শৈশবেই বিচারবুদ্ধি দান করেছিলাম।
13
وَحَنَانًا مِّن لَّدُنَّا وَزَكَوٰةً وَكَانَ تَقِيًّا
ওয়াহানা-নাম মিল্লাদুন্না-ওয়াঝাকা-তাও ওয়াকা-না তাকিইইয়া-।
এবং নিজের পক্ষ থেকে আগ্রহ ও পবিত্রতা দিয়েছি। সে ছিল পরহেযগার।
14
وَبَرًّۢا بِوَٰلِدَيْهِ وَلَمْ يَكُن جَبَّارًا عَصِيًّا
ওয়া বাররাম বিওয়া-লিদাইহি ওয়া-লাম ইয়াকুন জাব্বা-রান ‘আসিইইয়া-।
পিতা-মাতার অনুগত এবং সে উদ্ধত, নাফরমান ছিল না।
15
وَسَلَٰمٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا
ওয়া ছালা-মুন ‘আলাইহি ইয়াওমা উলিদা ওয়া ইয়াওমা ইয়ামূতুওয়া ইয়াওমা ইউব‘আছু হাইইয়া-।
তার প্রতি শান্তি-যেদিন সে জন্মগ্রহণ করে এবং যেদিন মৃত্যুবরণ করবে এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।
16
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ مَرْيَمَ إِذِ ٱنتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি মারইয়াম । ইযিন তাবাযাত মিন আহলিহা-মাকা-নান শারকিইইয়া-।
এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
17
فَٱتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَآ إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا
ফাত্তাখাযাত মিন দূ নিহিম হিজা-বান ফাআরছালনাইলাইহা-রূহানাফাতামাছছালা লাহা-বাশারান ছাবিইইয়া-।
অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।
18
قَالَتْ إِنِّىٓ أَعُوذُ بِٱلرَّحْمَٰنِ مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّا
কা-লাত ইন্নীআ‘ঊযুবিররাহমা-নি মিনকা ইন কুনতা তাকিইইয়া-।
মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও।
19
قَالَ إِنَّمَآ أَنَا۠ رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلَٰمًا زَكِيًّا
কা-লা ইন্নামাআনা রাছূলুরাব্বিকি লিআহাবা লাকি গুলা-মান ঝাকিইইয়া-।
সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব।
20
قَالَتْ أَنَّىٰ يَكُونُ لِى غُلَٰمٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِى بَشَرٌ وَلَمْ أَكُ بَغِيًّا
কা-লাত আন্না-ইয়াকূনুলী গুলা-মুওঁ ওয়া লাম ইয়ামছাছনী বাশারুওঁ ওয়া লাম আকু বাগিইইয়া-।
মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ?
21
قَالَ كَذَٰلِكِ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَىَّ هَيِّنٌ وَلِنَجْعَلَهُۥٓ ءَايَةً لِّلنَّاسِ وَرَحْمَةً مِّنَّا وَكَانَ أَمْرًا مَّقْضِيًّا
কা-লা কাযা-লিকি কা-লা রাব্বুকি হুওয়া ‘আলাইইয়া হাইয়িনুওঁ ওয়ালিনাজ‘আলাহূআ-য়াতাল লিন্না-ছি ওয়ারাহমাতাম মিন্না- ওয়াকা-না আমরাম মাকদিইইয়া-।
সে বললঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।
22
فَحَمَلَتْهُ فَٱنتَبَذَتْ بِهِۦ مَكَانًا قَصِيًّا
ফাহামালাতহু ফানতাবাযাত বিহী মাকা-নান কাসিইইয়া-।
অতঃপর তিনি গর্ভে সন্তান ধারণ করলেন এবং তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেলেন।
23
فَأَجَآءَهَا ٱلْمَخَاضُ إِلَىٰ جِذْعِ ٱلنَّخْلَةِ قَالَتْ يَٰلَيْتَنِى مِتُّ قَبْلَ هَٰذَا وَكُنتُ نَسْيًا مَّنسِيًّا
ফাআজাআহাল মাখা-দুইলা-জিয‘ইন নাখলাতি কা-লাত ইয়া-লাইতানী মিত্তু কাবলা হা-যা-ওয়াকুনতুনাছইয়াম মানছিইইয়া-।
প্রসব বেদনা তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষ-মূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। তিনি বললেনঃ হায়, আমি যদি কোনরূপে এর পূর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে, যেতাম!
24
فَنَادَىٰهَا مِن تَحْتِهَآ أَلَّا تَحْزَنِى قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا
ফানা-দা-হা-মিন তাহতিহাআল্লা-তাহঝানী কাদ জা‘আলা রাব্বুকি তাহতাকি ছারিইইয়া-।
অতঃপর ফেরেশতা তাকে নিম্নদিক থেকে আওয়ায দিলেন যে, তুমি দুঃখ করো না। তোমার পালনকর্তা তোমার পায়ের তলায় একটি নহর জারি করেছেন।
25
وَهُزِّىٓ إِلَيْكِ بِجِذْعِ ٱلنَّخْلَةِ تُسَٰقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا
ওয়া হুঝঝীইলাইকি বিজিয‘ইন্নাখলাতি তুছা-কিত‘আলাইকি রুতাবান জানিইইয়া-।
আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।
26
فَكُلِى وَٱشْرَبِى وَقَرِّى عَيْنًا فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ ٱلْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولِىٓ إِنِّى نَذَرْتُ لِلرَّحْمَٰنِ صَوْمًا فَلَنْ أُكَلِّمَ ٱلْيَوْمَ إِنسِيًّا
ফাকুলী ওয়াশরাবী ওয়াকাররী ‘আইনান ফাইম্মা-তারায়িন্না মিনাল বাশারি আহাদান ফাকূলীইন্নী নাযারতুলিররাহমা-নি সাওমান ফালান উকালিলমাল ইয়াওমা ইনছিইইয়া-।
যখন আহার কর, পান কর এবং চক্ষু শীতল কর। যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ, তবে বলে দিওঃ আমি আল্লাহর উদ্দেশে রোযা মানত করছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না।
27
فَأَتَتْ بِهِۦ قَوْمَهَا تَحْمِلُهُۥ قَالُوا۟ يَٰمَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْـًٔا فَرِيًّا
ফাআতাত বিহী কাওমাহা-তাহমিলুহূ কা-লূইয়া-মারইয়ামুলাকাদ জি’তি শাইআন ফারিইইয়া-।
অতঃপর তিনি সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তারা বললঃ হে মারইয়াম, তুমি একটি অঘটন ঘটিয়ে বসেছ।
28
يَٰٓأُخْتَ هَٰرُونَ مَا كَانَ أَبُوكِ ٱمْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا
ইয়াউখতা হা-রূনা মা-কা-না আবূকিম রাআ ছাওইওঁ ওয়ামা-কানাত উম্মুকি বাগিইইয়া-।
হে হারূণ-ভাগিনী, তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিনী।
29
فَأَشَارَتْ إِلَيْهِ قَالُوا۟ كَيْفَ نُكَلِّمُ مَن كَانَ فِى ٱلْمَهْدِ صَبِيًّا
ফাআশা-রাত ইলাইহি কা-লূকাইফা নুকালিলমুমান কা-না ফিল মাহদি সাবিইইয়া-।
অতঃপর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব?
30
قَالَ إِنِّى عَبْدُ ٱللَّهِ ءَاتَىٰنِىَ ٱلْكِتَٰبَ وَجَعَلَنِى نَبِيًّا
কা-লা ইন্নী ‘আবদুল্লা-হি আ-তা-নিয়াল কিতা-বা ওয়া জা‘আলানী নাবিইইয়া-।
সন্তান বললঃ আমি তো আল্লাহর দাস। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
31
وَجَعَلَنِى مُبَارَكًا أَيْنَ مَا كُنتُ وَأَوْصَٰنِى بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱلزَّكَوٰةِ مَا دُمْتُ حَيًّا
ওয়াজা‘আলানী মুবা-রাকান আইনা মা-কুনতু,ওয়াআওসা-নী বিসসালা-তি ওয়াঝঝাকা-তি মা-দুমতুহাইইয়া-।
আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।
32
وَبَرًّۢا بِوَٰلِدَتِى وَلَمْ يَجْعَلْنِى جَبَّارًا شَقِيًّا
ওয়াবাররাম বিওয়া-লিদাতী ওয়ালাম ইয়াজ‘আলনী জাব্বা-রান শাকিইইয়া-।
এবং জননীর অনুগত থাকতে এবং আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি।
33
وَٱلسَّلَٰمُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا
ওয়াছছালা-মূ‘আলাইইয়া ইয়াওমা উলিততুওয়া ইয়াওমা আমূতুওয়া ইয়াওমা উব ‘আছু হাইইয়া-।
আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব।
34
ذَٰلِكَ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ قَوْلَ ٱلْحَقِّ ٱلَّذِى فِيهِ يَمْتَرُونَ
যা-লিকা ‘ঈছাবনুমারইয়ামা কাওলাল হাক্কিল্লাযী ফীহি ইয়ামতারূন।
এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে।
35
مَا كَانَ لِلَّهِ أَن يَتَّخِذَ مِن وَلَدٍ سُبْحَٰنَهُۥٓ إِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ
মা-কা-না লিল্লা-হি আইঁ ইয়াত্তাখিযা মিওঁ ওয়ালাদিন ছুবহা-নাহূ ইযা-কাদা আমরান ফাইন্নামা-ইয়াকূলুলাহূকুন ফাইয়াকূন।
আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়।
36
وَإِنَّ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُ هَٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ
ওয়া ইন্নাল্লা-হা রাববী ওয়ারাব্বুকুম ফা‘বুদূ হু হা-যা-সিরা-তুম মুছতাকীম।
তিনি আরও বললেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তার এবাদত কর। এটা সরল পথ।
37
فَٱخْتَلَفَ ٱلْأَحْزَابُ مِنۢ بَيْنِهِمْ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِن مَّشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيمٍ
ফাখতালাফাল আহঝা-বুমিম বাইনিহিম ফাওয়াইলুল লিল্লাযীনা কাফারূমিম মাশহাদি ইয়াওমিন ‘আজীম।
অতঃপর তাদের মধ্যে দলগুলো পৃথক পৃথক পথ অবলম্বন করল। সুতরাং মহাদিবস আগমনকালে কাফেরদের জন্যে ধবংস।
38
أَسْمِعْ بِهِمْ وَأَبْصِرْ يَوْمَ يَأْتُونَنَا لَٰكِنِ ٱلظَّٰلِمُونَ ٱلْيَوْمَ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ
আছমি‘বিহিম ওয়া আবসির ইয়াওমা ইয়া’তূনানা-লা-কিনিজ্জা-লিমূনাল ইয়াওমা ফী দালা-লিম মুবীন।
সেদিন তারা কি চমৎকার শুনবে এবং দেখবে, যেদিন তারা আমার কাছে আগমন করবে। কিন্তু আজ জালেমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে রয়েছে।
39
وَأَنذِرْهُمْ يَوْمَ ٱلْحَسْرَةِ إِذْ قُضِىَ ٱلْأَمْرُ وَهُمْ فِى غَفْلَةٍ وَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
ওয়া আনযিরহুম ইয়াওমাল হাছরাতি ইযকুদিয়াল আমর । ওয়াহুম ফী গাফলাতিওঁ ওয়াহুম লা-ইউ’মিনূন।
আপনি তাদেরকে পরিতাপের দিবস সম্পর্কে হুশিয়ার করে দিন যখন সব ব্যাপারের মীমাংসা হয়ে যাবে। এখন তারা অনবধানতায় আছে এবং তারা বিশ্বাস স্থাপন করছে না।
40
إِنَّا نَحْنُ نَرِثُ ٱلْأَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا وَإِلَيْنَا يُرْجَعُونَ
ইন্না-নাহনুনারিছুল আরদা ওয়ামান ‘আলাইহা-ওয়া ইলাইনা-ইউরজা‘ঊন।
আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী হব পৃথিবীর এবং তার উপর যারা আছে তাদের এবং আমারই কাছে তারা প্রত্যাবর্তিত হবে।
41
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ إِبْرَٰهِيمَ إِنَّهُۥ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি ইবরা-হীমা ইন্নাহূকা-না সিদ্দীকান নাবিইইয়া-।
আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন। নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী।
42
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ يَٰٓأَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يُغْنِى عَنكَ شَيْـًٔا
ইয কা-লা লিআবীহি ইয়া আবাতি লিমা তা‘বুদুমা-লা-ইয়াছমা‘উ ওয়ালা-ইউবসিরূ ওয়ালা-ইউগনী ‘আনকা শাইআ-।
যখন তিনি তার পিতাকে বললেনঃ হে আমার পিতা, যে শোনে না, দেখে না এবং তোমার কোন উপকারে আসে না, তার এবাদত কেন কর?
43
يَٰٓأَبَتِ إِنِّى قَدْ جَآءَنِى مِنَ ٱلْعِلْمِ مَا لَمْ يَأْتِكَ فَٱتَّبِعْنِىٓ أَهْدِكَ صِرَٰطًا سَوِيًّا
ইয়াআবাতি ইন্নী কাদ জাআনী মিনাল ‘ইলমি মা-লাম ইয়া’তিকা ফাত্তাবি‘নীআহদিকা সিরা-তান ছাবিইইয়া-।
হে আমার পিতা, আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে; যা তোমার কাছে আসেনি, সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সরল পথ দেখাব।
44
يَٰٓأَبَتِ لَا تَعْبُدِ ٱلشَّيْطَٰنَ إِنَّ ٱلشَّيْطَٰنَ كَانَ لِلرَّحْمَٰنِ عَصِيًّا
ইয়াআবাতি লা-তা‘বুদিশশাইতা-না ইন্নাশশাইতা-না কা-না লিররাহমা-নি আ‘সিইইয়া- ।
হে আমার পিতা, শয়তানের এবাদত করো না। নিশ্চয় শয়তান দয়াময়ের অবাধ্য
45
يَٰٓأَبَتِ إِنِّىٓ أَخَافُ أَن يَمَسَّكَ عَذَابٌ مِّنَ ٱلرَّحْمَٰنِ فَتَكُونَ لِلشَّيْطَٰنِ وَلِيًّا
ইয়াআবাতি ইন্নীআখা-ফুআইঁ ইয়ামাছছাকা ‘আযা-বুম মিনার রাহমা-নি ফাতাকূনা লিশশাইতা-নি ওয়ালিইইয়া-।
হে আমার পিতা, আমি আশঙ্কা করি, দয়াময়ের একটি আযাব তোমাকে স্পর্শ করবে, অতঃপর তুমি শয়তানের সঙ্গী হয়ে যাবে।
46
قَالَ أَرَاغِبٌ أَنتَ عَنْ آلِهَتِي يَا إِبْرَاهِيمُ ۖ لَئِن لَّمْ تَنتَهِ لَأَرْجُمَنَّكَ ۖ وَاهْجُرْنِي مَلِيًّا
কা-লা আরা-গিবুন আনতা ‘আন আ-লিহাতী ইয়াইবরা-হীমু লাইল্লাম তানতাহি লাআরজুমান্নাকা ওয়াহজুরনী মালিইইয়া-।
পিতা বললঃ যে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব। তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও।
47
قَالَ سَلَٰمٌ عَلَيْكَ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّىٓ إِنَّهُۥ كَانَ بِى حَفِيًّا
কা-লা ছালা-মুন ‘আলাইকা ছাআছতাগফিরুলাকা রাববী ইন্নাহূকা-না বী হাফিইইয়া-।
ইব্রাহীম বললেনঃ তোমার উপর শান্তি হোক, আমি আমার পালনকর্তার কাছে তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি মেহেরবান।
48
وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَأَدْعُوا۟ رَبِّى عَسَىٰٓ أَلَّآ أَكُونَ بِدُعَآءِ رَبِّى شَقِيًّا
ওয়া আ‘তাঝিলুকুম ওয়ামা-তাদ‘ঊনা মিন দূ নিল্লা-হি ওয়া আদ‘ঊ রাববী ‘আছাআল্লা আকূনা বিদু‘আই রাববী শাকিইইয়া-।
আমি পরিত্যাগ করছি তোমাদেরকে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের এবাদত কর তাদেরকে; আমি আমার পালনকর্তার এবাদত করব। আশা করি, আমার পালনকর্তার এবাদত করে আমি বঞ্চিত হব না।
49
فَلَمَّا ٱعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَهَبْنَا لَهُۥٓ إِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَكُلًّا جَعَلْنَا نَبِيًّا
ফালাম্মা‘ তাঝালাহুম ওয়ামা-ইয়া‘বুদূ না মিন দূ নিল্লা-হি ওয়াহাবনা-লাহূইছহা-কা ওয়া ইয়া‘কূবা ওয়া কুল্লান জা‘আলনা-নাবিইইয়া-।
অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে এবং তার আল্লাহ ব্যতীত যাদের এবাদত করত, তাদের সবাইকে পরিত্যাগ করলেন, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং প্রত্যেককে নবী করলাম
50
وَوَهَبْنَا لَهُم مِّن رَّحْمَتِنَا وَجَعَلْنَا لَهُمْ لِسَانَ صِدْقٍ عَلِيًّا
ওয়া ওয়াহাবনা-লাহুম মির রাহমাতিনা- ওয়া জা‘আলনা- লাহুম লিছা-না সিদকিন ‘আলিইইয়া-।
আমি তাদেরকে দান করলাম আমার অনুগ্রহ এবং তাদেরকে দিলাম সমুচ্চ সুখ্যাতি।আমি তাদেরকে দান করলাম আমার অনুগ্রহ এবং তাদেরকে দিলাম সমুচ্চ সুখ্যাতি।
51
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ مُوسَىٰٓ إِنَّهُۥ كَانَ مُخْلَصًا وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি মূছাইন্নাহূকা-না মুখলাসাও ওয়া কা-না রাছূলান নাবিইইয়া-।
এই কিতাবে মূসার কথা বর্ণনা করুন, তিনি ছিলেন মনোনীত এবং তিনি ছিলেন রাসূল, নবী।
52
وَنَٰدَيْنَٰهُ مِن جَانِبِ ٱلطُّورِ ٱلْأَيْمَنِ وَقَرَّبْنَٰهُ نَجِيًّا
ওয়া না-দাইনা-হু মিন জা-নিবিততূরিল আইমানি ওয়া কাররাবনা-হু নাজিইইয়া-।
আমি তাকে আহবান করলাম তূর পাহাড়ের ডান দিক থেকে এবং গুঢ়তত্ত্ব আলোচনার উদ্দেশে তাকে নিকটবর্তী করলাম।
53
وَوَهَبْنَا لَهُۥ مِن رَّحْمَتِنَآ أَخَاهُ هَٰرُونَ نَبِيًّا
ওয়া ওয়াহাবনা-লাহূমিররাহমাতিনাআখা-হু হা-রূনা নাবিইইয়া-।
আমি নিজ অনুগ্রহে তাঁকে দান করলাম তাঁর ভাই হারুনকে নবীরূপে।
54
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ إِسْمَٰعِيلَ إِنَّهُۥ كَانَ صَادِقَ ٱلْوَعْدِ وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি ইছমা-ঈলা ইন্নাহূকা-না সা-দিকাল ওয়া‘দি ওয়া কা-না রাছূলান নাবিইইয়া-।
এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা বর্ণনা করুন, তিনি প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং তিনি ছিলেন রসূল, নবী।
55
وَكَانَ يَأْمُرُ أَهْلَهُۥ بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱلزَّكَوٰةِ وَكَانَ عِندَ رَبِّهِۦ مَرْضِيًّا
ওয়া কা-না ইয়া’মুরু আহলাহূবিসসালা-তি ওয়াঝঝাকা-তি ওয়া কা-না ‘ইনদা রাব্বিহী মার দিইইয়া-।
তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্দনীয় ছিলেন।
56
وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ إِدْرِيسَ إِنَّهُۥ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا
ওয়াযকুর ফিল কিতা-বি ইদরীছা ইন্নাহূকা-না সিদ্দীকান নাবিইইয়া-।
এই কিতাবে ইদ্রীসের কথা আলোচনা করুন, তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী।
57
وَرَفَعْنَٰهُ مَكَانًا عَلِيًّا
ওয়া রাফা‘না-হু মাকা-নান ‘আলিয়া-।
আমি তাকে উচ্চে উন্নীত করেছিলাম।
58
أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّۦنَ مِن ذُرِّيَّةِ ءَادَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ وَمِن ذُرِّيَّةِ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْرَٰٓءِيلَ وَمِمَّنْ هَدَيْنَا وَٱجْتَبَيْنَآ إِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُ ٱلرَّحْمَٰنِ خَرُّوا۟ سُجَّدًا وَبُكِيًّا ۩
উলাইকাল্লাযীনা আন‘আমাল্লা-হু ‘আলাইহিম মিনান নাবিইয়ীনা মিন যুররিইইয়াতি আ-দামা ওয়া মিম্মান হামালনা-মা‘আ নূহিওঁ ওয়া মিন যুররিইইয়াতি ইবরা-হীমা ওয়া ইছরাঈলা ওয়া মিম্মান হাদাইনা-ওয়াজতাবাইনা- ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আয়া-তুররাহমা-নি খাররূ ছুজ্জাদাওঁ ওয়া বুকিইইয়া-(ছিজদাহ-৫)।
এরাই তারা-নবীগণের মধ্য থেকে যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা নেয়ামত দান করেছেন। এরা আদমের বংশধর এবং যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহন করিয়েছিলাম, তাদের বংশধর, এবং ইব্রাহীম ও ইসরাঈলের বংশধর এবং যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছি ও মনোনীত করেছি, তাদের বংশোদ্ভূত। তাদের কাছে যখন দয়াময় আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হত, তখন তারা সেজদায় লুটিয়ে পড়ত এবং ক্রন্দন করত।
59
فَخَلَفَ مِنۢ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَٱتَّبَعُوا۟ ٱلشَّهَوَٰتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
ফাখালাফা মিম বা‘দিহিম খালফুনআদা-‘উসসালা-তা ওয়াত তাবা‘উশশাহাওয়া-তি ফাছাওফা ইয়ালকাওনা গাইইয়া-।
অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।
60
إِلَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَأُو۟لَٰٓئِكَ يَدْخُلُونَ ٱلْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ شَيْـًٔا
ইল্লা-মান তা-বা ওয়া আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফাউলাইকা ইয়াদখুলূনাল জান্নাতা ওয়ালা-ইউজলামূনা শাইআ-।
কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না।
61
جَنَّٰتِ عَدْنٍ ٱلَّتِى وَعَدَ ٱلرَّحْمَٰنُ عِبَادَهُۥ بِٱلْغَيْبِ إِنَّهُۥ كَانَ وَعْدُهُۥ مَأْتِيًّا
জান্না-তি ‘আদনি নিল্লাতী ওয়া আ‘দার রাহমা-নু‘ইবা-দাহূবিলগাইবি ইন্নাহূকা-না ওয়া‘দুহূমা’তিইইয়া-।
তাদের স্থায়ী বসবাস হবে যার ওয়াদা দয়াময় আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে অদৃশ্যভাবে দিয়েছেন। অবশ্যই তাঁর ওয়াদার তারা পৌঁছাবে।
62
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا إِلَّا سَلَٰمًا وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيهَا بُكْرَةً وَعَشِيًّا
লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়ান ইল্লা-ছালা-মাওঁ ওয়ালাহুম রিঝকুহুম ফীহিাবুকরাতাওঁ ওয়া ‘আশিইইয়া-।
তারা সেখানে সালাম ব্যতীত কোন অসার কথাবার্তা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে রুযী থাকবে।
63
تِلْكَ ٱلْجَنَّةُ ٱلَّتِى نُورِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَن كَانَ تَقِيًّا
তিলকাল জান্নাতুল্লাতী নূরিছুমিন ‘ইবা-দিনা-মান কা-না তাকিইইয়া-।
এটা ঐ জান্নাত যার অধিকারী করব আমার বান্দাদের মধ্যে পরহেযগারদেরকে।
64
وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُۥ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَيْنَ ذَٰلِكَ وَمَا كَانَ رَبُّكَ نَسِيًّا
ওয়ামা-নাতানাঝঝালুইল্লা-বিআমরি রাব্বিকা লাহূমা-বাইনা আইদীনা-ওয়ামাখালফানা ওয়ামা-বাইনা যা-লিকা ওয়ামা-কা-না রাব্বুকা নাছিইইয়া-।
(জিব্রাইল বললঃ) আমি আপনার পালনকর্তার আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না, যা আমাদের সামনে আছে, যা আমাদের পশ্চাতে আছে এবং যা এ দুই-এর মধ্যস্থলে আছে, সবই তাঁর এবং আপনার পালনকর্তা বিস্মৃত হওয়ার নন।
65
رَّبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَٱعْبُدْهُ وَٱصْطَبِرْ لِعِبَٰدَتِهِۦ هَلْ تَعْلَمُ لَهُۥ سَمِيًّا
রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিওয়ামা-বাইনাহুমা-ফা‘বুদ হু ওয়াসতাবির লি‘ইবা-দাতিহী হাল তা‘লামুলাহূছামিইইয়া-।
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডলে এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবার পালনকর্তা। সুতরাং তাঁরই বন্দেগী করুন এবং তাতে দৃঢ় থাকুন আপনি কি তাঁর সমনাম কাউকে জানেন?
66
وَيَقُولُ ٱلْإِنسَٰنُ أَءِذَا مَا مِتُّ لَسَوْفَ أُخْرَجُ حَيًّا
ওয়া ইয়াকূলুল ইনছা-নুআইযা-মা-মিত্তুলাছাওফা উখরাজুহাইইয়া-।
মানুষ বলেঃ আমার মৃত্যু হলে পর আমি কি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব?
67
أَوَلَا يَذْكُرُ ٱلْإِنسَٰنُ أَنَّا خَلَقْنَٰهُ مِن قَبْلُ وَلَمْ يَكُ شَيْـًٔا
আওয়ালা-ইয়াযকুরুল ইনছা-নুআন্না-খালাকনা-হু মিন কাবলুওয়া লাম ইয়াকুশাইআ-
মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না।
68
فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَٱلشَّيَٰطِينَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا
ফাওয়ারাব্বিকা লানাহশুরান্নাহুম ওয়াশশায়া-তীনা ছু ম্মা লানুহদিরান্নাহুম হাওলা জাহান্নামা জিছিইইয়া-।
সুতরাং আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অতঃপর অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে উপস্থিত করব।
69
ثُمَّ لَنَنزِعَنَّ مِن كُلِّ شِيعَةٍ أَيُّهُمْ أَشَدُّ عَلَى ٱلرَّحْمَٰنِ عِتِيًّا
ছু ম্মা লানানঝি‘আন্না মিন কুল্লি শী‘আতিন আইয়ুহুম আশাদ্দু‘আলার রাহমা-নি ‘ইতিইইয়া-
অতঃপর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে দয়াময় আল্লাহর সর্বাধিক অবাধ্য আমি অবশ্যই তাকে পৃথক করে নেব।
70
ثُمَّ لَنَحْنُ أَعْلَمُ بِٱلَّذِينَ هُمْ أَوْلَىٰ بِهَا صِلِيًّا
ছু ম্মা লানাহনুআ‘লামুবিল্লাযীনা হুম আওলা-বিহা-সিলিইইয়া-।
অতঃপর তাদের মধ্যে যারা জাহান্নামে প্রবেশের অধিক যোগ্য, আমি তাদের বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞাত আছি।
71
وَإِن مِّنكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ حَتْمًا مَّقْضِيًّا
ওয়া ইম মিনকুম ইল্লা-ওয়া-রিদুহা- কা-না ‘আলা-রাব্বিকা হাতমাম মাকদিইইয়া-।
তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে তথায় পৌছবে না। এটা আপনার পালনকর্তার অনিবার্য ফায়সালা।
72
ثُمَّ نُنَجِّى ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوا۟ وَّنَذَرُ ٱلظَّٰلِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا
ছু ম্মা নুনাজজিল্লাযীনাততাকাওঁ ওয়া নাযারুজ্জা-লিমীনা ফীহা-জিছিইইয়া-।
অতঃপর আমি পরহেযগারদেরকে উদ্ধার করব এবং জালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় ছেড়ে দেব।
73
وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُنَا بَيِّنَٰتٍ قَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَىُّ ٱلْفَرِيقَيْنِ خَيْرٌ مَّقَامًا وَأَحْسَنُ نَدِيًّا
ওয়া ইযা-তুতলা-আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন কা-লাল্লাযীনা কাফারূলিল্লাযীনা আ-মানূ আইয়ুল ফারীকাইনি খাইরুম মাকা-মাওঁ ওয়া আহছানুনাদিইইয়া-।
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন কাফেররা মুমিনদেরকে বলেঃ দুই দলের মধ্যে কোনটি মর্তবায় শ্রেষ্ঠ এবং কার মজলিস উত্তম?
74
وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هُمْ أَحْسَنُ أَثَٰثًا وَرِءْيًا
ওয়াকাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিন কারনিনহুম আহছানুআছা-ছাওঁ ওয়ারি’য়া-।
তাদের পূর্বে কত মানব গোষ্ঠীকে আমি বিনাশ করেছি, তারা তাদের চাইতে সম্পদে ও জাঁক-জমকে শ্রেষ্ঠ ছিল।
75
قُلْ مَن كَانَ فِى ٱلضَّلَٰلَةِ فَلْيَمْدُدْ لَهُ ٱلرَّحْمَٰنُ مَدًّا حَتَّىٰٓ إِذَا رَأَوْا۟ مَا يُوعَدُونَ إِمَّا ٱلْعَذَابَ وَإِمَّا ٱلسَّاعَةَ فَسَيَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضْعَفُ جُندًا
কুল মান কা-না ফিদ্দালা-লাতি ফালইয়ামদুদ লাহুর রাহমা-নুমাদ্দান হাত্তাইযারাআও মা-ইউ‘আদূ না ইম্মাল ‘আযা-বা ওয়া ইম্মাছছা-‘আতা ফাছাইয়া‘লামূনা মান হুওয়া শাররুম মাকা-নাওঁ ওয়া আদ‘আফুজুনদা-।
বলুন, যারা পথভ্রষ্টতায় আছে, দয়াময় আল্লাহ তাদেরকে যথেষ্ট অবকাশ দেবেন; এমনকি অবশেষে তারা প্রত্যক্ষ করবে যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে, তা আযাব হোক অথবা কেয়ামতই হোক। সুতরাং তখন তারা জানতে পারবে কে মর্তবায় নিকৃষ্ট ও দলবলে দূর্বল।
76
وَيَزِيدُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ٱهْتَدَوْا۟ هُدًى وَٱلْبَٰقِيَٰتُ ٱلصَّٰلِحَٰتُ خَيْرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ مَّرَدًّا
ওয়া ইয়াঝীদুল্লা-হু ল্লাযী নাহতাদাও হুদাওঁ ওয়াল বা-কিয়া-তুসসা-লিহা-তুখাইরুন ‘ইনদা রাব্বিকা ছাওয়া-বাও ওয়াখাইরুম মারাদ্দা-।
যারা সৎপথে চলে আল্লাহ তাদের পথপ্রাপ্তি বৃদ্ধি করেন এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার পালনকর্তার কাছে সওয়াবের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ এবং প্রতিদান হিসেবেও শ্রেষ্ট।
77
أَفَرَءَيْتَ ٱلَّذِى كَفَرَ بِـَٔايَٰتِنَا وَقَالَ لَأُوتَيَنَّ مَالًا وَوَلَدًا
আফারাআইতাল্লাযী কাফারা বিআ-য়া-তিনা-ওয়াকা-লা লাঊতাইয়ান্না মা-লাওঁ ওয়া ওয়ালাদা-।
আপনি কি তাকে লক্ষ্য করেছেন যে, আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে না এবং বলেঃ আমাকে অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অবশ্যই দেয়া হবে।
78
أَطَّلَعَ ٱلْغَيْبَ أَمِ ٱتَّخَذَ عِندَ ٱلرَّحْمَٰنِ عَهْدًا
আততালা‘আল গাইবা আমিত্তাখাযা ‘ইনদার রাহমা-নি ‘আহদা-।
সে কি অদৃশ্য বিষয় জেনে ফেলেছে, অথবা দয়াময় আল্লাহর নিকট থেকে কোন প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত হয়েছে?
79
كَلَّا سَنَكْتُبُ مَا يَقُولُ وَنَمُدُّ لَهُۥ مِنَ ٱلْعَذَابِ مَدًّا
কাল্লা- ছানাকতুবুমা-ইয়াকূলুওয়ানামুদ্দুলাহূমিনাল ‘আযা-বি মাদ্দা-।
না, এটা ঠিক নয়। সে যা বলে আমি তা লিখে রাখব এবং তার শাস্তি দীর্ঘায়িত করতে থাকব।
80
وَنَرِثُهُۥ مَا يَقُولُ وَيَأْتِينَا فَرْدًا
ওয়া নারিছুহূমা-ইয়াকূ লুওয়া ইয়া’তীনা-ফারদা-।
সে যা বলে, মৃত্যুর পর আমি তা নিয়ে নেব এবং সে আমার কাছে আসবে একাকী।
81
وَٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ ءَالِهَةً لِّيَكُونُوا۟ لَهُمْ عِزًّا
ওয়াত্তাখাযূমিন দূনিল্লা-হি আ-লিহাতাল লিইয়াকূনূলাহুম ‘ইঝঝা-।
তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।
82
كَلَّا سَيَكْفُرُونَ بِعِبَادَتِهِمْ وَيَكُونُونَ عَلَيْهِمْ ضِدًّا
কাল্লা- ছাইয়াকফুরূনা বি‘ইবা-দাতিহিম ওয়া ইয়াকূনূনা ‘আলাইহিম দিদ্দা-।
কখনই নয়, তারা তাদের এবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবে।
83
أَلَمْ تَرَ أَنَّآ أَرْسَلْنَا ٱلشَّيَٰطِينَ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ تَؤُزُّهُمْ أَزًّا
আলাম তারা আন্নাআরছালনাশশাইয়া-তীনা ‘আলাল কা-ফিরীনা তাউঝঝুহুম আঝঝা-।
আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমি কাফেরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। তারা তাদেরকে বিশেষভাবে (মন্দকর্মে) উৎসাহিত করে।
84
فَلَا تَعْجَلْ عَلَيْهِمْ إِنَّمَا نَعُدُّ لَهُمْ عَدًّا
ফালা-তা‘জাল ‘আলাইহিম ইন্নামা-না‘উদ্দুলাহুম ‘আদ্দা-।
সুতরাং তাদের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না। আমি তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি মাত্র
85
يَوْمَ نَحْشُرُ ٱلْمُتَّقِينَ إِلَى ٱلرَّحْمَٰنِ وَفْدًا
ইয়াওমা নাহশুরুল মুত্তাকীনা ইলাররাহমা-নি ওয়াফদা-।
সেদিন দয়াময়ের কাছে পরহেযগারদেরকে অতিথিরূপে সমবেত করব,
86
وَنَسُوقُ ٱلْمُجْرِمِينَ إِلَىٰ جَهَنَّمَ وِرْدًا
ওয়া নাছূকুল মুজরিমীনা ইলা-জাহান্নামা বিরদা-।
এবং অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।
87
لَّا يَمْلِكُونَ ٱلشَّفَٰعَةَ إِلَّا مَنِ ٱتَّخَذَ عِندَ ٱلرَّحْمَٰنِ عَهْدًا
লা-ইয়ামলিকূনাশশাফা-‘আতা ইল্লা-মানিত তাখাযা ‘ইনদাররাহমা-নি ‘আহদা-।
যে দয়াময় আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে, সে ব্যতীত আর কেউ সুপারিশ করার অধিকারী হবে না।
88
وَقَالُوا۟ ٱتَّخَذَ ٱلرَّحْمَٰنُ وَلَدًا
ওয়া কা-লুত তাখাযার রাহমা-নুওয়ালাদা-।
তারা বলেঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।
89
لَّقَدْ جِئْتُمْ شَيْـًٔا إِدًّا
লাকাদ জি’তুম শাইআন ইদ্দা-।
নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কান্ড করেছ।
90
تَكَادُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنشَقُّ ٱلْأَرْضُ وَتَخِرُّ ٱلْجِبَالُ هَدًّا
তাকা-দুছছামা-ওয়া-তুইয়াতাফাততারনা মিনহু ওয়া তানশাক্কুলআরদুওয়া তাখিররুল জিবা-লুহাদ্দা-।
হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে।
91
أَن دَعَوْا۟ لِلرَّحْمَٰنِ وَلَدًا
আন দা‘আও লিররাহমা-নি ওয়ালাদা-।
এ কারণে যে, তারা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহবান করে।
92
وَمَا يَنۢبَغِى لِلرَّحْمَٰنِ أَن يَتَّخِذَ وَلَدًا
ওয়ামা-ইয়ামবাগী লির রাহমা-নি আইঁ ইয়াত্তাখিযা ওয়ালাদা-।
অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।
93
إِن كُلُّ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ إِلَّآ ءَاتِى ٱلرَّحْمَٰنِ عَبْدًا
ইন কুল্লুমান ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিইল্লাআ-তির রাহমা-নি ‘আবদা-।
নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।
94
لَّقَدْ أَحْصَىٰهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا
লাকাদ আহসা-হুম ওয়া ‘আদ্দাহুম ‘আদ্দা-।
তাঁর কাছে তাদের পরিসংখ্যান রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে গণনা করে রেখেছেন
95
وَكُلُّهُمْ ءَاتِيهِ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ فَرْدًا
ওয়া কুল্লুহুম আ-তীহি ইয়াওমাল কিয়া-মাতি ফারদা-।
কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে একাকী অবস্থায় আসবে।
96
إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ ٱلرَّحْمَٰنُ وُدًّا
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি ছাইয়াজ‘আলুলাহুমুর রাহমা-নুউদ্দা-।
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দেবেন।
97
فَإِنَّمَا يَسَّرْنَٰهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ ٱلْمُتَّقِينَ وَتُنذِرَ بِهِۦ قَوْمًا لُّدًّا
ফাইন্নামা-ইয়াছছারনা-হুবিলিছা-নিকা লিতুবাশশিরা বিহিল মুত্তাকীনা ওয়া তুনযিরা বিহী কাওমাল লুদ্দা-।
আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
98
وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هَلْ تُحِسُّ مِنْهُم مِّنْ أَحَدٍ أَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِكْزًۢا
ওয়া কাম আহলাকনা-কাবলাহুম মিন কারনিন হাল তুহিছছুমিনহুম মিন আহাদিন আও তাছমা‘ঊ লাহুম রিকঝা-।
তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি। আপনি কি তাদের কাহারও সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীনতম আওয়ায ও শুনতে পান?
------
Tags: surah maryam, surah maryam bangla, surah maryam bangla translation, surah maryam bangla meaning, surah maryam bangla uccharon, surah maryam sudais, surah maryam mishary, surah maryam bangla ucharan, সূরা মারইয়াম বাংলা অনুবাদ, সূরা মারইয়াম, সূরা মারইয়াম, সুরা মারইয়াম বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ, সূরা মারইয়াম বাংলা অর্থ সহ, সূরা মারইয়াম বাংলা অর্থ, সূরা মারইয়াম বাংলা অর্থসহ তেলাওয়াত, সূরা মারইয়াম তেলাওয়াত বাংলা অর্থসহ