আসুন লক্ষণগুলি একবার দেখে নিই যে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন নেই

কোষ গঠন, পেশী গঠনে বা দেহের একাধিক প্রয়োজনে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিত্সকরা বলছেন কম বয়স থেকেই প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।  ডিম, মাংস, বাদাম, বিভিন্ন শস্য বা সয়াবিন প্রোটিনযুক্ত।


কেন শরীরের নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়? অনেকে খাবারের পুষ্টির মূল্য জানেন না, সাধারণ খাবারকে ডায়েটে রাখেন। তবে এক্ষেত্রে যদি ডায়েটে প্রোটিনের অভাব হয় তবে তা শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রোটিনের অভাবে একাধিক শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। শরীরে প্রোটিনের অভাব সারা দিন ক্লান্তি, পেশী ব্যথা এবং কোওশিওরকরের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।


শরীরে প্রোটিনের অভাব কীভাবে বোঝবেন? ডায়েটে যদি পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে তবে সমস্যা নেই। যদি তা না হয় তবে শরীরে লক্ষণ থাকতে পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক শরীরের লক্ষণগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন নেই!


দুর্বল, ক্লান্ত লাগা - প্রোটিন শরীরে শক্তি দেয়। আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে আপনি সারা দিন ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। ঘুমের অনুভূতি হতে পারে। সাধারণত যতটা ক্লান্তি লাগে, এ থেকে আরও ক্লান্তি আসতে পারে।


পেশী শক্তির অভাব - প্রোটিন পেশী গঠনে এবং শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। তাই বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, যাঁরা বডি বিল্ডিং বা মাংসপেশি বিল্ডিং করেন তারা প্রোটিনের রস  খান বা শেক খান। শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে পেশী শক্তিশালী হবে না। 


ক্ষুধা বৃদ্ধি - প্রোটিন দেহের অন্যতম প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। শরীরে যদি কোনও ঘাটতি থাকে তবে শরীর ক্ষুধার পরিমাণ বাড়িয়ে এটি পূরণ করার চেষ্টা করে। এবার ক্ষুধা যদি কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার বা জাঙ্ক ফুড  দিয়ে সন্তুষ্ট হয় তবে ওজন বাড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।



প্রোটিনের ঘাটতি ত্বক, চুল এবং নখ কে প্রভাবিত করতে পারে। ফলস্বরূপ, ত্বকের বলি পরিষ্কার হয়ে যায়।