Olive oil (জলপাই তেল) মুখে দিলে কী হয় (ভালো ও খারাপ দিক)

Olive Oil মুখে দিলে কী হয় (ভালো ও খারাপ দিক)

মুখে জলপাই তেল ব্যবহার করলে ত্বক আর্দ্র থাকে, বলিরেখা কমায় এবং দাগ হালকা হয়, কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ব্রণ এবং ছিদ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে। যদিও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ত্বকের জন্য উপকারী, তবে আপনার ত্বকের ধরণ বুঝে এটি পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।


উপকারিতা:

আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে: জলপাই তেলে থাকা ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে মসৃণ এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে।

বলিরেখা এবং বয়সের দাগ কমায়: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ত্বকের উপর ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতিকারক প্রভাব কমায়, যা বলিরেখা এবং বয়সের দাগ কমাতে সাহায্য করে।

হাইপারপিগমেন্টেশন এবং দাগ হালকা করে: জলপাই তেল ত্বকের কালো দাগ বা দাগ হালকা করতে পারে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।

প্রদাহ কমায়: এতে থাকা প্রদাহ-বিরোধী উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ব্রণ এবং বন্ধ ছিদ্র: জলপাই তেল ত্বক দ্বারা সহজে শোষিত হয় না, যা ত্বকে একটি পুরু স্তর তৈরি করতে পারে যা ছিদ্র বন্ধ করে এবং ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে।

অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: জলপাই তেল কিছু মানুষের ত্বকে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে, তাই প্রথমে অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করা উচিত।


সঠিক ব্যবহারের নিয়ম:

পরিষ্কার ত্বকে ব্যবহার: ঘুমানোর আগে একটি ভালো ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার ত্বকে জলপাই তেল ম্যাসাজ করুন।

পরিমিত ব্যবহার: আপনার ত্বকের ধরণ অনুসারে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন, কারণ অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ভেজা ত্বকে ব্যবহার: গোসলের পর ভেজা ত্বকে জলপাই তেল ম্যাসাজ করলে তেল ত্বকে সহজেই শোষিত হয়।

অন্যান্য উপাদানের সাথে ব্যবহার: এক চা চামচ জলপাই তেলের সাথে আধা চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন, যা ব্রণ এবং ফুসকুড়ি কমাতে সাহায্য করে।


Olive oil (জলপাই তেল) মুখে ব্যবহার নিয়ে অনেকেই কৌতূহলী — কারণ এটি প্রাকৃতিক, সহজলভ্য এবং “ত্বক মসৃণ করবে” এমন কথা প্রচলিত।

তবে বাস্তবে সব ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। নিচে আমি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি।


Olive Oil মুখে দিলে কী হয় (ভালো ও খারাপ দিক)

ভালো দিক (উপকারিতা)

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে:

জলপাই তেলে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড (Oleic acid) ও ভিটামিন E থাকে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি একপ্রকার “প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার”।


অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব:

এতে থাকা ভিটামিন E ও পলিফেনল ত্বকের কোষের বয়স কমায়, সূর্যের আলো বা দূষণের ক্ষতি কিছুটা রোধ করে।


মেকআপ রিমুভার হিসেবে কার্যকর:

ভারী মেকআপ বা ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা তুলতে Olive oil ভালোভাবে কাজ করে — অনেক ক্লিনজিং বামেও এটি ব্যবহার হয়।


ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করে:

নিয়মিত হালকা ব্যবহার করলে ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল ও ইলাস্টিক লাগতে পারে।


খারাপ দিক (সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া)

তৈলাক্ত বা ব্রণপ্রবণ ত্বকে সমস্যা করতে পারে:

Olive oil ঘন (heavy) এবং comedogenic rating 2 — মানে এটি রোমকূপ বন্ধ করতে পারে।

ফলস্বরূপ, মুখে ছোট ছোট ব্রণ বা ফুসকুড়ি উঠতে পারে।


সবাইয়ের ত্বকে মানায় না:

সংবেদনশীল ত্বকে এটি এলার্জি, চুলকানি বা লালচেভাব আনতে পারে।


রাতে রেখে ঘুমানো ঠিক না:

অনেকে ঘুমানোর আগে মুখে লাগিয়ে সারারাত রেখে দেন — এতে ধুলো-ময়লা ত্বকে আটকে ত্বক নিস্তেজ হতে পারে।

ত্বককে সূর্যালোকের প্রতি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে (যদি দিনের বেলায় ব্যবহার করা হয়)

ফলে পিগমেন্টেশন বা ডার্ক স্পট বাড়ার আশঙ্কা থাকে।


সঠিকভাবে ব্যবহার করার উপায়

মুখ ধুয়ে হালকা ভেজা রাখুন।

২–৩ ফোঁটা Olive oil নিয়ে আঙুলে ঘষে উষ্ণ করুন।

মুখে হালকা ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।

নরম টিস্যু বা তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন।

প্রয়োজনে হালকা ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সপ্তাহে ১–২ বার যথেষ্ট।