সুরা বাকারা পাঠের ফজিলত

সুরা বাকারা পাঠের ফজিলত

কোরআনের প্রত্যেক সুরা তেলাওয়াত ও পাঠের আলাদা আলাদা সওয়াব ও ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআনের সর্বাধিক দীর্ঘ সুরা, সুরা বাকারা তেলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

এই সুরা পাঠে মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবনে কল্যাণ বয়ে আনে। 

হজরত আবু মাসউদ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি সূরা বাকারার শেষ আয়াতদ্বয় রাতে পাঠ করবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। 

 সুরা বাকারা নিয়মিত তিলাওয়াত করা ব্যক্তির নিজের ও তার পরিবার পরিজন, ধনসম্পদ ও ঘরবাড়ির জন্য বারাকাহ স্বরূপ।

এই সূরার শেষ দুই আয়াত  বদনজর দূর করে। যাদুর উপকরণ বিনষ্টকারী, এবং যাদু থেকে রক্ষার জন্য এই সূরা দূর্গের ন্যায় কাজ করে।

ইমাম তিরমিযী (রহঃ) একে হাসান সহীহ বলেছেন) আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)-এর উক্তি আছে যে, যে ব্যক্তি রাতে সূরাহ্ আল বাক্বারার দশটি আয়াত তিলাওয়াত করে, সে রাতে উক্ত ঘরে শায়তান প্রবেশ করেনা। আর সে আয়াতগুলো হলো উক্ত সূরার প্রথম চারটি আয়াত, আয়াতুল কুরসী, তার পরবর্তী দু’টি আয়াত এবং সবশেষের তিনটি আয়াত।