পবিত্র আশুরার ইতিহাস ও তাৎপর্য
মহররম মাসের দশ তারিখকে বলা হয় আশুরা। এই দিনে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ) তাঁর অনুসারীদের সাথে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন। এছাড়াও, আশুরার দিনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্বাস করা হয়, যেমন: আল্লাহ্ তাআলা এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁকে জান্নাতে স্থান দিয়েছেন, নূহ (আঃ) এর কিস্তি মহাপ্লাবনের পর এই দিনেই যাত্রা শুরু করেছিল, এবং হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও হযরত মুসা (আঃ) কে আল্লাহ্ তাআলা বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলেন।
আশুরার দিনটি মুসলিম বিশ্বে শোক ও আত্মত্যাগের দিন হিসেবে পালিত হয়। শিয়া মুসলমানরা কারবালার শোক স্মরণে বিভিন্ন শোক মিছিল ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। আবার, সুন্নি মুসলমানরা এই দিনে রোজা রাখে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করে যেন তিনি মুসলিম উম্মাহকে রহমত, বরকত ও কল্যাণ দান করেন।
দশই মহররম, যা আশুরা নামে পরিচিত, ইসলামে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে বলে বর্ণনা করা হয়েছে, যার মধ্যে কারবালার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। কারবালা প্রান্তরে ইমাম হোসেন (রাঃ) এবং তার সঙ্গীদের শাহাদাত বরণের ঘটনাটি এই দিনে ঘটেছিল। এছাড়াও, এই দিনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হয়, যেমন: হযরত মুসা (আঃ) ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি লাভ, হযরত নূহ (আঃ)-এর জাহাজ মহাপ্লাবনের পর জুদী পর্বতে অবতরণ, এবং হযরত ইউনুস (আঃ)-কে মাছের পেট থেকে মুক্তি দান।
আশুরার দিনের তাৎপর্য:
কারবালার ঘটনা:
৬১ হিজরীর এই দিনে ইমাম হোসেন (রাঃ) এবং তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাটি মুসলিম বিশ্বে শোক ও বেদনার এক প্রতীক।
অন্যান্য ঘটনা:
আশুরার দিনে আরও কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে যা মুসলিমদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।
আল্লাহর রহমত:
এই দিনে আল্লাহ বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের উপর তাঁর বিশেষ রহমত নাজিল করেছেন।
ক্ষমা ও মুক্তির দিন:
আশুরার দিনে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি ক্ষমা ও অনুগ্রহ বর্ষণ করেন।
ত্যাগ ও শোকের দিন:
আশুরা মুসলিমদের জন্য ত্যাগ ও শোকের একটি দিন। কারবালার ঘটনা স্মরণ করে মুসলিমরা ইমাম হোসেন (রাঃ) এবং তার সঙ্গীদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানায়।
উপাসনা ও ইবাদতের দিন:
আশুরার দিনে মুসলিমরা নফল রোজা পালন করে এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইবাদত করে থাকে।
সংক্ষেপে, আশুরা মুসলিমদের জন্য একটি শোকাবহ, শিক্ষণীয় এবং তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারবালার ঘটনা ছাড়াও, এই দিনে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে যা মুসলিমদের জন্য শিক্ষণীয় এবং গভীর তাৎপর্য বহন করে।
আশুরার তাৎপর্য সংক্ষেপে:
ঈমান ও ধৈর্যের প্রতীক
ত্যাগ ও সাহসিকতার শিক্ষা
আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ভরসা
জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা
কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
পবিত্র আশুরার ইতিহাস ও তাৎপর্য
আশুরা শব্দটি আরবি “আশারা” (عَشَرَةٌ) থেকে এসেছে, যার অর্থ দশ।
আশুরা হলো হিজরি সনের প্রথম মাস মুহাররম-এর দশম দিন। এটি ইসলাম ধর্মে এক বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন, যাকে বলা হয় “ফজিলতের দিন”, “ইবাদতের দিন”, এবং “ত্যাগের দিন”।
আশুরার ঐতিহাসিক পটভূমি
কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
নবী মূসা (আ.)-এর ফেরাউন থেকে মুক্তি
– এই দিনে আল্লাহ্ মূসা (আ.) ও তাঁর জাতিকে রক্ষা করেন এবং ফেরাউনকে ডুবিয়ে দেন।
– রাসূল ﷺ বলেন:
“এই দিনে মূসা রোজা রেখেছিলেন; আমিও রোজা রাখি।”
— (সহীহ মুসলিম)
কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা (৬১ হিজরি)
– হযরত ইমাম হুসাইন (রা.), রাসূলের প্রিয় নাতি, কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শহীদ হন।
– তাঁর শাহাদাত মুসলিম জাতির জন্য ত্যাগ, ন্যায় ও ইনসাফের এক অনন্য নিদর্শন।
নূহ (আ.)-এর নৌকা পাহাড়ে স্থির হয়
ইব্রাহিম (আ.) আগুন থেকে মুক্ত হন
ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে উদ্ধার পান
ইসা (আ.)-কে আকাশে উত্তোলন
আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়
সুন্নাত আমল
রোজা রাখা ৯-১০ বা ১০-১১ মুহাররম
তওবা ও ইবাদতে মশগুল থাকা
বেশি বেশি ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত
পরিবারে হালাল আনন্দ ভাগাভাগি
গরীবদের খাদ্য বিতরণ
কোনো বিদআত বা মাতম থেকে বিরত থাকা
শরীর আঘাত করা, কান্নাকাটি ইত্যাদি ইসলাম সমর্থন করে না
রাসুল (সা.) বলেন:
“আমি আশাকরি, আশুরার রোজা এক বছর আগের গুনাহ মাফের কারণ হবে।”
— (সহীহ মুসলিম)
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2025 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.