সূরা ইখলাছ-এর ফযীলত

সূরা ইখলাছ-এর ফযীলত

১. হযরত রাসূলে করীম (স) বলেছেন, সূরা ইখলাছ তিনবার পাঠ করলে সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ খতম করার ছওয়াব বা পুণ্য লাভ করা যায়। সকাল ও সন্ধ্যায় বিসমিল্লাহসহ সূরা ইখলাছ নিয়মিত সাতবার করে পাঠ করলে শেরেকের গুনাহ বা পাপ হতে বেঁচে থাকতে পারবে এবং ঈমানের যাবতীয় দুর্বলতা দূর হবে। যাবতীয় বিপদাপদ হতে নিরাপদে থাকতে পারবে। সূরা ইখলাসে মহান আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদ ও সীমাহীন শক্তির ঘোষণা এবং শেরেক বা অংশীবাদিতা বাতিল বা খণ্ডক করা হয়েছে। এই কারণেই সূরা ইখলাছের ফযীলত অপরিসীম।

২. পূর্ণ পবিত্রতার সাথে বিসমিল্লাহসহ সূরা ইখলাছ ৩১৩বার লিখে প্রবাহিত নদী অথবা কূপে ফেলে দিবে। ইনশাআল্লাহ মনে আশা পূর্ন হবে। 

৩. যদি কোন কয়েদী ব্যক্তি কয়েদ অবস্থায় এ সূরাটি গভীর একাগ্রতার সাথে এক হাজারবার পাঠ করে তাহলে সে অচিরেই মুক্তি লাভ করবে।


সূরা ইখলাছ

আয়াত-৪


قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - اللَّهُ الصَّمَدُ - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ - وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ


সুরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ:

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম 


কুল হুওয়াল্লা হু আহাদ

আল্লা হুসসামাদ

লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ

ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ


সুরা ইখলাসের অর্থ:

পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে

অর্থ : (হে রাসুল! আপনি) বলুন, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই। ’ (সুরা ইখলাস)