শরীয়তের বিধান সম্পর্কে আলোচনা ইসলামের বুনিয়াদ

শরীয়তের বিধান সম্পর্কে আলোচনা ইসলামের বুনিয়াদ : 

ইসলামের বুনিয়াদ: ইসলামের বুনিয়াদ (ভিত্তি বা স্তম্ভ) মোট পাঁচটি। যথা (১) ঈমান (কালিমা) (২) নামায (৩) রোযা (৪) হজ্ব (৫) যাকাত।

সুন্নাহ : হযরত মুহাম্মদ (ছঃ) যেসব কথা বলেছেন, যেসব কাজ নিজে করেছেন কিংবা ছাহাবায়ে কেরামকে যেসব কাজ করতে বলতেন এবং যা তিনি পছন্দ করেছেন, তাহা-ই সুন্নাহ বা হাদীস ।

ইজমা : যেসব মাসআলা-মাসায়িল পরিষ্কারভাবে কুরআন-হাদীস দ্বারা উদ্ঘাটন করা যায়নি, তবে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম ঐ সম্পর্কে একটা বিশেষ সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন, এ জাতীয় সিদ্ধান্তকে ইজমা বলা হয় ।

কিয়াস : যেসব মাসআলা পরিষ্কারভাবে কুরআন-হাদীসে পাওয়া যাচ্ছে না, তবে কুরআন- হাদীস সম্বন্ধে গভীর জ্ঞানসম্পন্ন মুজতাহিদগণ কুরআন-হাদীস ও ইজমার সহায়তায় একটি সুস্থির মীমাংসায় উপনীত হয়েছেন, এ জাতীয় মীমাংসাকে কিয়াস বলা হয়।

ফরয : ফরয শব্দের অর্থ অবশ্য কর্তব্য বা যা কিছুতেই ছেড়ে দেয়া যাবে না। এসব আদেশ যারা অস্বীকার করে তাদেরকেই বলা হয় কাফের। আর যারা তা মুখে মুখে মানে কিন্তু ঠিকভাবে পালন করে না, তাদেরকে বলা হয় ফাসেক।

ওয়াজিব : ফরয ও ওয়াজিবের গুরুত্ব একই রকম। তবে ওয়াজিব তরককারীকে কাফির ও ফাসিক বলা যাবে না। ওয়াজিব হচ্ছে, দুই ঈদের নামায পড়া, ফিতরা দেয়া, কুরবানী করা, ওয়াদা রক্ষা করা, বেতেরের নামায পড়া ইত্যাদি ।

সুন্নাত : সুন্নাত দু প্রকার। যথা- সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ও সুন্নাতে যায়েদাহ। যেসব কাজ রাসূলুল্লাহ (ছঃ) কখনই ছেড়ে দিতেন না এবং ছাহাবাগণকে করতে তাগিদ দিতেন সেগুলোই হলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এসব সুন্নাত। অবশ্যই পালনীয়।

নফল : যেসব কাজ রাসূলুল্লাহ (ছঃ) কখনো কখনো করতেন, আবার কখনো ছেড়েও দিতেন, সাধারণত সেগুলোকে নফল বলা হয়।

হারাম : যেসব কাজ করা কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী নিঃসন্দেহভাবে নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয়েছে, সে কাজগুলো করা হারাম।

মাকরূহ তাহরীমী : যেসব কাজ করলে প্রায় হারামের ন্যায় অপরাধ সেগুলোকে মাকরূহ তাহরীমী বলে। মাকরূহ তাহরীমী সব সময় করা শক্ত গুনাহের কাজ। যেমন দাঁড়ি কাটা, গোঁফ বড় করে রাখা ইত্যাদি ।