সূরা সাবা আরবি সহ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
সূরা সাবা - Surah Saba (মক্কায় অবতীর্ণ - আয়াত ৫৪)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
1
ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَلَهُ ٱلْحَمْدُ فِى ٱلْءَاخِرَةِ وَهُوَ ٱلْحَكِيمُ ٱلْخَبِيرُ
আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী লাহূমা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়া লাহুল হামদুফিল আ-খিরাতি ওয়াহুওয়াল হাকীমুল খাবীর।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি নভোমন্ডলে যা আছে এবং ভূমন্ডলে যা আছে সব কিছুর মালিক এবং তাঁরই প্রশংসা পরকালে। তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
2
يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِى ٱلْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنزِلُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ ٱلرَّحِيمُ ٱلْغَفُورُ
ইয়া‘লামুমা-ইয়ালিজুফিল আরদিওয়ামা-ইয়াখরুজুমিনহা-ওয়ামা-ইয়ানঝিলু মিনাছছামাই ওয়ামা-ইয়া‘রুজুফীহা- ওয়া হুওয়ার রাহীমুল গাফূর।
তিনি জানেন যা ভূগর্ভে প্রবেশ করে, যা সেখান থেকে নির্গত হয়, যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় এবং যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি পরম দয়ালু ক্ষমাশীল।
3
وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَا تَأْتِينَا ٱلسَّاعَةُ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّى لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَٰلِمِ ٱلْغَيْبِ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِى ٱلْأَرْضِ وَلَآ أَصْغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَآ أَكْبَرُ إِلَّا فِى كِتَٰبٍ مُّبِينٍ
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূ লা-তা’তীনাছছা-‘আতু কুলবালা-ওয়া রাববী লাতা’তিইয়ান্নাকুম ‘আ-লিমিল গাইবি লা-ইয়া‘ঝুবু‘আনহু মিছকা-লুযাররাতিন ফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ালা-ফিল আরদিওয়ালাআসগারু মিন যা-লিকা ওয়ালাআকবারু ইল্লা-ফী কিতা-বিম মুবীন।
কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।
4
لِّيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
লিইয়াজঝিয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি উলাইকা লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়ারিঝকুন কারীম।
তিনি পরিণামে যারা মুমিন ও সৎকর্ম পরায়ণ, তাদেরকে প্রতিদান দেবেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মান জনক রিযিক।
5
وَٱلَّذِينَ سَعَوْ فِىٓ ءَايَٰتِنَا مُعَٰجِزِينَ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مِّن رِّجْزٍ أَلِيمٌ
ওয়াল্লাযীনা ছা‘আও ফী আয়া-তিনা- মু‘আজিঝীনা উলাইকা লাহুম ‘আযা-বুম্মির রিজঝিন আলীম।
আর যারা আমার আয়াত সমূহকে ব্যর্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
6
وَيَرَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْعِلْمَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ هُوَ ٱلْحَقَّ وَيَهْدِىٓ إِلَىٰ صِرَٰطِ ٱلْعَزِيزِ ٱلْحَمِيدِ
ওয়া ইয়ারাল্লাযীনা ঊতুল ‘ইলমাল্লাযীউনঝিলা ইলাইকা মির রাব্বিকা হুওয়াল হাক্কা ওয়া ইয়াহদীইলা-সিরা-তিল ‘আঝীঝিল হামীদ।
যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, তারা আপনার পালনকর্তার নিকট থেকে অবর্তীর্ণ কোরআনকে সত্য জ্ঞান করে এবং এটা মানুষকে পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ আল্লাহর পথ প্রদর্শন করে।
7
وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ هَلْ نَدُلُّكُمْ عَلَىٰ رَجُلٍ يُنَبِّئُكُمْ إِذَا مُزِّقْتُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ إِنَّكُمْ لَفِى خَلْقٍ جَدِيدٍ
ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূহাল নাদুল্লুকুম ‘আলা-রাজুলিইঁ ইউনাব্বিউকুম ইযা-মুঝঝিকতুম কুল্লা মুমাঝঝাকিন ইন্নাকুম লাফী খালকিন জাদীদ।
কাফেররা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে; তোমরা সম্পুর্ণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও তোমরা নতুন সৃজিত হবে।
8
أَفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَم بِهِۦ جِنَّةٌۢ بَلِ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ فِى ٱلْعَذَابِ وَٱلضَّلَٰلِ ٱلْبَعِيدِ
আফতারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান আম বিহী জিন্নাতুম বালিল্লাযীনা লা-ইউ’মিনূনা বিলআ-খিরাতি ফিল ‘আযা-বি ওয়াদ্দালা-লিল বা‘ঈদ।
সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বলে, না হয় সে উম্মাদ এবং যারা পরকালে অবিশ্বাসী, তারা আযাবে ও ঘোর পথভ্রষ্টতায় পতিত আছে।
9
أَفَلَمْ يَرَوْا۟ إِلَىٰ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلْأَرْضِ إِن نَّشَأْ نَخْسِفْ بِهِمُ ٱلْأَرْضَ أَوْ نُسْقِطْ عَلَيْهِمْ كِسَفًا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
আফালাম ইয়ারাও ইলা-মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা- খালফাহুম মিনাছছামাই ওয়াল আরদি ইন নাশা’ নাখছিফ বিহিমূল আরদা আও নুছকিতআলাইহিম কিছাফাম মিনাছছামাই ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতাল লিকুল্লি ‘আবদিম মুনীব।
তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিলক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
10
وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا دَاوُۥدَ مِنَّا فَضْلًا يَٰجِبَالُ أَوِّبِى مَعَهُۥ وَٱلطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ ٱلْحَدِيدَ
ওয়া লাকাদ আ-তাইনা দা-ঊদা মিন্না-ফাদলাইঁ ইয়া-জিবা-লুআওব্বিী মা‘আহূ ওয়াত্তাইরা ওয়া আলান্না-লাহুল হাদীদ।
আমি দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম এই আদেশ মর্মে যে, হে পর্বতমালা, তোমরা দাউদের সাথে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং হে পক্ষী সকল, তোমরাও। আমি তাঁর জন্য লৌহকে নরম করে ছিলাম।
11
أَنِ ٱعْمَلْ سَٰبِغَٰتٍ وَقَدِّرْ فِى ٱلسَّرْدِ وَٱعْمَلُوا۟ صَٰلِحًا إِنِّى بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
আনি‘মাল ছা-বিগা-তিওঁ ওয়া কাদ্দির ফিছছারদি ওয়া‘মালূসা-লিহান ইন্নী বিমাতা‘মালূনা বাসীর।
এবং তাকে আমি বলে ছিলাম, প্রশস্ত বর্ম তৈরী কর, কড়াসমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কর এবং সৎকর্ম সম্পাদন কর। তোমরা যা কিছু কর, আমি তা দেখি।
12
وَلِسُلَيْمَٰنَ ٱلرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ وَأَسَلْنَا لَهُۥ عَيْنَ ٱلْقِطْرِ وَمِنَ ٱلْجِنِّ مَن يَعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ بِإِذْنِ رَبِّهِۦ وَمَن يَزِغْ مِنْهُمْ عَنْ أَمْرِنَا نُذِقْهُ مِنْ عَذَابِ ٱلسَّعِيرِ
ওয়া লিছুলাইমা-নাররীহা গুদুওউহা-শাহরুওঁ ওয়ারাওয়া-হুহা-শাহরুওঁ ওয়া আছালনালাহু ‘আইনাল কিতরি ওয়ামিনাল জিন্নি মাইঁ ইয়া‘মালুবাইনা ইয়াদাইহি বিইযনি রাব্বিহী ওয়া মাইঁ ইয়াঝিগ মিনহুম ‘আন আমরিনা-নুযিকহু মিন ‘আযা-বিছছা‘ঈর।
আর আমি সোলায়মানের অধীন করেছিলাম বায়ুকে, যা সকালে এক মাসের পথ এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আমি তার জন্যে গলিত তামার এক ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জিন তার সামনে কাজ করত তার পালনকর্তার আদেশে। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করবে, আমি জ্বলন্ত অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন করাব।
13
يَعْمَلُونَ لَهُۥ مَا يَشَآءُ مِن مَّحَٰرِيبَ وَتَمَٰثِيلَ وَجِفَانٍ كَٱلْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَٰتٍ ٱعْمَلُوٓا۟ ءَالَ دَاوُۥدَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِّنْ عِبَادِىَ ٱلشَّكُورُ
ইয়া‘মালূনা লাহু মা-ইয়াশাউ মিম মাহা-রীবা ওয়া তামা-ছীলা ওয়া জিফা-নিন কাল জাওয়া-বি ওয়া কুদূ রির রা-ছিয়া-তিন ই‘মালূআ-লা দা-ঊদা শুকরাওঁ ওয়া কালীলুম মিন ‘ইবা-দিয়াশশাকূর।
তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।
14
فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ ٱلْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَىٰ مَوْتِهِۦٓ إِلَّا دَآبَّةُ ٱلْأَرْضِ تَأْكُلُ مِنسَأَتَهُۥ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ ٱلْجِنُّ أَن لَّوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ ٱلْغَيْبَ مَا لَبِثُوا۟ فِى ٱلْعَذَابِ ٱلْمُهِينِ
ফালাম্মা-কাদাইনা-‘আলাইহিল মাওতা মা-দাল্লাহুম ‘আলা-মাওতিহী-ইল্লা-দাব্বাতুল আরদিতা’কুলুমিন ছাআতাহু ফালাম্মা-খাররা তাবাইয়ানাতিল জিন্নুআল্লাও কা-নূ ইয়া‘লামূনাল গাইবা মা-লাবিছূফিল ‘আযা-বিল মুহীন।
যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না।
15
لَقَدْ كَانَ لِسَبَإٍ فِى مَسْكَنِهِمْ ءَايَةٌ جَنَّتَانِ عَن يَمِينٍ وَشِمَالٍ كُلُوا۟ مِن رِّزْقِ رَبِّكُمْ وَٱشْكُرُوا۟ لَهُۥ بَلْدَةٌ طَيِّبَةٌ وَرَبٌّ غَفُورٌ
লাকাদ কা-না লিছাবাইন ফী মাছকানিহিম আ-য়াতুন জান্নাতা-নি আইঁ ইয়ামীনিওঁ ওয়াশিমা-লিন কুলূমির রিযকিরাব্বিকুম ওয়াশকুরূলাহূ বালদাতুন তাইয়িবাতুওঁ ওয়া রাব্বুন গাফূর।
সাবার অধিবাসীদের জন্যে তাদের বাসভূমিতে ছিল এক নিদর্শন-দুটি উদ্যান, একটি ডানদিকে, একটি বামদিকে। তোমরা তোমাদের পালনকর্তার রিযিক খাও এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। স্বাস্থ্যকর শহর এবং ক্ষমাশীল পালনকর্তা।
16
فَأَعْرَضُوا۟ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ سَيْلَ ٱلْعَرِمِ وَبَدَّلْنَٰهُم بِجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ ذَوَاتَىْ أُكُلٍ خَمْطٍ وَأَثْلٍ وَشَىْءٍ مِّن سِدْرٍ قَلِيلٍ
ফাআ‘রাদূ ফাআরছালনা-‘আলাইহিম ছাইলাল ‘আরিমি ওয়া বাদ্দালনা-হুম বিজান্নাতাইহিম জান্নাতাইনি যাওয়া-তাই উকুলিন খামতিওঁ ওয়া আছলিওঁ ওয়া শাইয়িম মিন ছিদরিন কালীল।
অতঃপর তারা অবাধ্যতা করল ফলে আমি তাদের উপর প্রেরণ করলাম প্রবল বন্যা! আর তাদের উদ্যানদ্বয়কে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দুই উদ্যানে, যাতে উদগত হয় বিস্বাদ ফলমূল, ঝাউ গাছ এবং সামান্য কুলবৃক্ষ।
17
ذَٰلِكَ جَزَيْنَٰهُم بِمَا كَفَرُوا۟ وَهَلْ نُجَٰزِىٓ إِلَّا ٱلْكَفُورَ
যা-লিকা জাঝাইনা-হুম বিমা-কাফারূ ওয়া হাল নুজা-ঝীইল্লাল কাফূর।
এটা ছিল কুফরের কারণে তাদের প্রতি আমার শাস্তি। আমি অকৃতজ্ঞ ব্যতীত কাউকে শাস্তি দেই না।
18
وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ ٱلْقُرَى ٱلَّتِى بَٰرَكْنَا فِيهَا قُرًى ظَٰهِرَةً وَقَدَّرْنَا فِيهَا ٱلسَّيْرَ سِيرُوا۟ فِيهَا لَيَالِىَ وَأَيَّامًا ءَامِنِينَ
ওয়া জা‘আলনা-বাইনাহুম ওয়া বাইনাল কুরাল্লাতী বা-রাকনা-ফীহা-কুরান জা-হিরাতাওঁ ওয়াকাদ্দারনা-ফীহাছছাইরা ছীরূফীহা-লায়া-লিয়া ওয়া আইইয়া-মান আ-মিনীন।
তাদের এবং যেসব জনপদের লোকদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং সেগুলোতে ভ্রমণ নির্ধারিত করেছিলাম। তোমরা এসব জনপদে রাত্রে ও দিনে নিরাপদে ভ্রমণ কর।
19
فَقَالُوا۟ رَبَّنَا بَٰعِدْ بَيْنَ أَسْفَارِنَا وَظَلَمُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ فَجَعَلْنَٰهُمْ أَحَادِيثَ وَمَزَّقْنَٰهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ
ফাকা-লূরাব্বানা-বা-‘ইদ বাইনা আছফা-রিনা-ওয়া জালামূআনফুছাহুম ফাজা‘আলনাহুম আহা-দীছা ওয়া মাঝঝাকনা-হুম কুল্লা মুমাঝঝাকিন ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-য়াতিল লিকুল্লি সাব্বা-রিন শাকূর।
অতঃপর তারা বলল, হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের ভ্রমণের পরিসর বাড়িয়ে দাও। তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল। ফলে আমি তাদেরকে উপাখ্যানে পরিণত করলাম এবং সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিলাম। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
20
وَلَقَدْ صَدَّقَ عَلَيْهِمْ إِبْلِيسُ ظَنَّهُۥ فَٱتَّبَعُوهُ إِلَّا فَرِيقًا مِّنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
ওয়া লাকাদ সাদ্দাকা ‘আলাইহিম ইবলীছূজান্নাহূফাত্তাবা‘ঊহু ইল্লা-ফারীকাম মিনাল মু’মিনীন।
আর তাদের উপর ইবলীস তার অনুমান সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল। ফলে তাদের মধ্যে মুমিনদের একটি দল ব্যতীত সকলেই তার পথ অনুসরণ করল।
21
وَمَا كَانَ لَهُۥ عَلَيْهِم مِّن سُلْطَٰنٍ إِلَّا لِنَعْلَمَ مَن يُؤْمِنُ بِٱلْءَاخِرَةِ مِمَّنْ هُوَ مِنْهَا فِى شَكٍّ وَرَبُّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ حَفِيظٌ
ওয়া মা-কা-না লাহূ‘আলাইহিম মিন ছুলতা-নিন ইল্লা-লিনা‘লামা মাইঁ ইউ’মিনুবিলআখিরাতি মিম্মান হুওয়া মিনহা-ফী শাক্কিওঁ ওয়া রাব্বুকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন হাফীজ।
তাদের উপর শয়তানের কোন ক্ষমতা ছিল না, তবে কে পরকালে বিশ্বাস করে এবং কে তাতে সন্দেহ করে, তা প্রকাশ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আপনার পালনকর্তা সব বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক।
22
قُلِ ٱدْعُوا۟ ٱلَّذِينَ زَعَمْتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِى ٱلْأَرْضِ وَمَا لَهُمْ فِيهِمَا مِن شِرْكٍ وَمَا لَهُۥ مِنْهُم مِّن ظَهِيرٍ
কুলিদ ‘উল্লাযীনা ঝা‘আমতুম মিন দূ নিল্লা-হি লা-ইয়ামলিকূনা মিছকা-লা যাররাতিন ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালা-ফিল আরদিওয়ামা-লাহুম ফীহিমা-মিন শিরকিওঁ ওয়ামা-লাহূ মিনহুম মিন জাহীর।
বলুন, তোমরা তাদেরকে আহবান কর, যাদেরকে উপাস্য মনে করতে আল্লাহ ব্যতীত। তারা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের অনু পরিমাণ কোন কিছুর মালিক নয়, এতে তাদের কোন অংশও নেই এবং তাদের কেউ আল্লাহর সহায়কও নয়।
23
وَلَا تَنفَعُ ٱلشَّفَٰعَةُ عِندَهُۥٓ إِلَّا لِمَنْ أَذِنَ لَهُۥ حَتَّىٰٓ إِذَا فُزِّعَ عَن قُلُوبِهِمْ قَالُوا۟ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا۟ ٱلْحَقَّ وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْكَبِيرُ
ওয়ালা-তানফা‘উশশাফা-‘আতু‘ইনদাহূইল্লা-লিমান আযিনা লাহূ হাত্তাইযাফুঝঝি‘আ ‘আন কুলূবিহিম কা-লূমা-যা- কা-লা রাব্বুকুম কা-লুল হাক্কা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ুল কাবীর।
যার জন্যে অনুমতি দেয়া হয়, তার জন্যে ব্যতীত আল্লাহর কাছে কারও সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না। যখন তাদের মন থেকে ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে, তখন তারা পরস্পরে বলবে, তোমাদের পালনকর্তা কি বললেন? তারা বলবে, তিনি সত্য বলেছেন এবং তিনিই সবার উপরে মহান।
24
قُلْ مَن يَرْزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ قُلِ ٱللَّهُ وَإِنَّآ أَوْ إِيَّاكُمْ لَعَلَىٰ هُدًى أَوْ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ
কুল মাইঁ ইয়ার ঝুকুকুম মিনাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি কুল্লিলা-হু ওয়া ইন্নাআও ইয়্যা-কুম লা‘আলা-হুদান আও ফী দালা-লিম মুবীন।
বলুন, নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল থেকে কে তোমাদের কে রিযিক দেয়। বলুন, আল্লাহ। আমরা অথবা তোমরা সৎপথে অথবা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছি ও আছ?
25
قُل لَّا تُسْـَٔلُونَ عَمَّآ أَجْرَمْنَا وَلَا نُسْـَٔلُ عَمَّا تَعْمَلُون
কুল লা-তুছআলূনা ‘আম্মাআজরামনা-ওয়ালা-নুছআলু‘আম্মা-তা‘মালূন।
বলুন, আমাদের অপরাধের জন্যে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না এবং তোমরা যা কিছু কর, সে সম্পর্কে আমরা জিজ্ঞাসিত হব না।
26
قُلْ يَجْمَعُ بَيْنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفْتَحُ بَيْنَنَا بِٱلْحَقِّ وَهُوَ ٱلْفَتَّاحُ ٱلْعَلِيمُ
কুল ইয়াজমা‘উ বাইনানা-রাব্বুনা-ছু ম্মা ইয়াফতাহূবাইনানা-বিল হাক্কি ওয়া হুওয়াল ফাত্তা-হুল ‘আলীম।
বলুন, আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে সমবেত করবেন, অতঃপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। তিনি ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞ।
27
قُلْ أَرُونِىَ ٱلَّذِينَ أَلْحَقْتُم بِهِۦ شُرَكَآءَ كَلَّا بَلْ هُوَ ٱللَّهُ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ
কুল আরূনিয়াল্লাযীনা আলহাকতুম বিহী শুরাকাআ কাল্লা- বাল হুওয়াল্লা-হুল ‘আঝীঝুল হাকীম।
বলুন, তোমরা যাদেরকে আল্লাহর সাথে অংশীদাররূপে সংযুক্ত করেছ, তাদেরকে এনে আমাকে দেখাও। বরং তিনিই আল্লাহ, পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়।
28
وَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
ওয়ামাআরছালনা-কা ইল্লা-কাফফাতাল লিন্না-ছি বাশীরাওঁ ওয়ানাযীরাওঁ ওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন
আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
29
وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا ٱلْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ
ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা-হা-যাল ওয়া‘দুইন কুনতুম সা-দিকীন।
তারা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে বল, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে?
30
قُل لَّكُم مِّيعَادُ يَوْمٍ لَّا تَسْتَـْٔخِرُونَ عَنْهُ سَاعَةً وَلَا تَسْتَقْدِمُونَ
কুল্লাকুম মী‘আ-দু ইয়াওমিল লা-তাছতা’খিরূনা ‘আনহু ছা-‘আতাওঁ ওয়ালাতাছতাকদিমূন।
বলুন, তোমাদের জন্যে একটি দিনের ওয়াদা রয়েছে যাকে তোমরা এক মহূর্তও বিলম্বিত করতে পারবে না এবং ত্বরান্বিত ও করতে পারবে না।
31
وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَن نُّؤْمِنَ بِهَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ وَلَا بِٱلَّذِى بَيْنَ يَدَيْهِ وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذِ ٱلظَّٰلِمُونَ مَوْقُوفُونَ عِندَ رَبِّهِمْ يَرْجِعُ بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ ٱلْقَوْلَ يَقُولُ ٱلَّذِينَ ٱسْتُضْعِفُوا۟ لِلَّذِينَ ٱسْتَكْبَرُوا۟ لَوْلَآ أَنتُمْ لَكُنَّا مُؤْمِنِينَ
ওয়াকা-লাল্লাযীনা কাফারূ লান নু’মিনা বিহা-যাল কুরআ-নি ওয়ালা-বিল্লাযীবাইনা ইয়াদাইহি ওয়ালাও তারাইযিজ্জা-লিমূনা মাওকূফূনা ‘ইনদা রাব্বিহিম ইয়ারজি‘উ বা‘দুহুম ইলা-বা‘দিনিল কাওলা ইয়াকূলুল্লাযীনাছতুদ‘ইফূলিল্লাযীনাছতাকবারূ লাওলাআনতুম লাকুন্না-মু’মিনীন।
কাফেররা বলে, আমরা কখনও এ কোরআনে বিশ্বাস করব না এবং এর পূর্ববর্তী কিতাবেও নয়। আপনি যদি পাপিষ্ঠদেরকে দেখতেন, যখন তাদেরকে তাদের পালনকর্তার সামনে দাঁড় করানো হবে, , তখন তারা পরস্পর কথা কাটাকাটি করবে। যাদেরকে দুর্বল মনে করা হত, তারা অহংকারীদেরকে বলবে, তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই মুমিন হতাম।
32
قَالَ ٱلَّذِينَ ٱسْتَكْبَرُوا۟ لِلَّذِينَ ٱسْتُضْعِفُوٓا۟ أَنَحْنُ صَدَدْنَٰكُمْ عَنِ ٱلْهُدَىٰ بَعْدَ إِذْ جَآءَكُم بَلْ كُنتُم مُّجْرِمِينَ
কা-লাল্লাযীনাছতাকবারূলিল্লাযীনাছতুদ‘ইফূ আনাহনুসাদাদ না-কুম ‘আনিল হুদা-বা‘দা ইযজাআকুম বাল কুনতুম মুজরিমীন।
অহংকারীরা দুর্বলকে বলবে, তোমাদের কাছে হেদায়েত আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরাই তো ছিলে অপরাধী।
33
وَقَالَ ٱلَّذِينَ ٱسْتُضْعِفُوا۟ لِلَّذِينَ ٱسْتَكْبَرُوا۟ بَلْ مَكْرُ ٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ إِذْ تَأْمُرُونَنَآ أَن نَّكْفُرَ بِٱللَّهِ وَنَجْعَلَ لَهُۥٓ أَندَادًا وَأَسَرُّوا۟ ٱلنَّدَامَةَ لَمَّا رَأَوُا۟ ٱلْعَذَابَ وَجَعَلْنَا ٱلْأَغْلَٰلَ فِىٓ أَعْنَاقِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ هَلْ يُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ
ওয়াকা-লাল্লাযীনাছতুদ‘ইফূলিল্লাযীনাছতাকবারূবাল মাকরুল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি ইয তা’মুরূনানাআন নাকফুরা বিল্লা-হি ওয়ানাজ‘আলা লাহূআনদা-দাওঁ ওয়া আছাররুন্নাদামাতা লাম্মা-রাআউল ‘আযা-বা ওয়াজা‘আলনাল আগলা-লা ফীআ‘নাকিল্লাযীনা কাফারূ হাল ইউজঝাওনা ইল্লা-মা-কা-নূইয়া‘মালূন।
দুর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, বরং তোমরাই তো দিবারাত্রি চক্রান্ত করে আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যেন আমরা আল্লাহকে না মানি এবং তাঁর অংশীদার সাব্যস্ত করি তারা যখন শাস্তি দেখবে, তখন মনের অনুতাপ মনেই রাখবে। বস্তুতঃ আমি কাফেরদের গলায় বেড়ী পরাব। তারা সে প্রতিফলই পেয়ে থাকে যা তারা করত।
34
وَمَآ أَرْسَلْنَا فِى قَرْيَةٍ مِّن نَّذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَآ إِنَّا بِمَآ أُرْسِلْتُم بِهِۦ كَٰفِرُونَ
ওয়ামা আরছালনা-ফী কারইয়াতিম মিন নাযীরিন ইল্লা-কা-লা মুতরাফূহা ইন্না বিমাউরছিলতুম বিহী কা-ফিরূন।
কোন জনপদে সতর্ককারী প্রেরণ করা হলেই তার বিত্তশালী অধিবাসীরা বলতে শুরু করেছে, তোমরা যে বিষয়সহ প্রেরিত হয়েছ, আমরা তা মানি না।
35
وَقَالُوا۟ نَحْنُ أَكْثَرُ أَمْوَٰلًا وَأَوْلَٰدًا وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
ওয়া কা-লূনাহনুআকছারু আমওয়া-লাওঁ ওয়াআওলা-দাওঁ ওয়ামা-নাহনু বিমু‘আযযাবীন।
তারা আরও বলেছে, আমরা ধনে-জনে সমৃদ্ধ, সুতরাং আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না।
36
قُلْ إِنَّ رَبِّى يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
কুল ইন্না রাববী ইয়াবছুতু ররিঝকালিমাইঁ ইয়াশাউওয়াইয়াকদিরু ওয়া লা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইয়া‘লামূন।
বলুন, আমার পালনকর্তা যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং পরিমিত দেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বোঝে না।
37
وَمَآ أَمْوَٰلُكُمْ وَلَآ أَوْلَٰدُكُم بِٱلَّتِى تُقَرِّبُكُمْ عِندَنَا زُلْفَىٰٓ إِلَّا مَنْ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَأُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ جَزَآءُ ٱلضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوا۟ وَهُمْ فِى ٱلْغُرُفَٰتِ ءَامِنُونَ
ওয়ামাআমওয়া-লুকুম ওয়ালাআওলা-দুকুম বিল্লাতী তুকাররিবুকুম ‘ইনদানা-ঝুলফা ইল্লামান আ-মানা ওয়া ‘আমিলা সা-লিহান ফাউলাইকা লাহুম জাঝাউদ দি‘ফি বিমা‘আমিলূওয়াহুম ফিল গুরূফা-তি আ-মিনূন।
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে না। তবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তারা তাদের কর্মের বহুগুণ প্রতিদান পাবে এবং তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।
38
وَٱلَّذِينَ يَسْعَوْنَ فِىٓ ءَايَٰتِنَا مُعَٰجِزِينَ أُو۟لَٰٓئِكَ فِى ٱلْعَذَابِ مُحْضَرُونَ
ওয়াল্লাযীনা ইয়াছ‘আওনা ফীআ-য়া-তিনা-মু‘আ-জিঝীনা উলাইকা ফিল ‘আযা-বি মুহদারূন।
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়, তাদেরকে আযাবে উপস্থিত করা হবে।
39
قُلْ إِنَّ رَبِّى يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦ وَيَقْدِرُ لَهُۥ وَمَآ أَنفَقْتُم مِّن شَىْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُۥ وَهُوَ خَيْرُ ٱلرَّٰزِقِينَ
কুল ইন্না রাববী ইয়াবছুতু র রিঝকালিমাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবা-দিহী ওয়া ইয়াকদিরু লাহূ ওয়ামাআনফাকতুম মিন শাইয়িন ফাহুওয়া ইউখলিফুহূ ওয়াহুওয়া খাইরুর রা-ঝিকীন।
বলুন, আমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং সীমিত পরিমাণে দেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেন। তিনি উত্তম রিযিক দাতা।
40
وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا ثُمَّ يَقُولُ لِلْمَلَٰٓئِكَةِ أَهَٰٓؤُلَآءِ إِيَّاكُمْ كَانُوا۟ يَعْبُدُونَ
ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম জামী‘আন ছু ম্মা ইয়াকূ লুলিলমালাইকাতি আহাউলাই ইয়্যাকুম কা-নূইয়া‘বুদূন।
যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন এবং ফেরেশতাদেরকে বলবেন, এরা কি তোমাদেরই পূজা করত?
41
قَالُوا۟ سُبْحَٰنَكَ أَنتَ وَلِيُّنَا مِن دُونِهِم بَلْ كَانُوا۟ يَعْبُدُونَ ٱلْجِنَّ أَكْثَرُهُم بِهِم مُّؤْمِنُونَ
কা-লূছুবহা-নাকা আনতা ওয়ালিইয়ুনা-মিন দূ নিহিম বাল কা-নূইয়া‘বুদূ নাল জিন্না আকছারুহুম বিহিম মু’মিনূন।
ফেরেশতারা বলবে, আপনি পবিত্র, আমরা আপনার পক্ষে, তাদের পক্ষে নই, বরং তারা জিনদের পূজা করত। তাদের অধিকাংশই শয়তানে বিশ্বাসী।
42
فَٱلْيَوْمَ لَا يَمْلِكُ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ نَّفْعًا وَلَا ضَرًّا وَنَقُولُ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ ذُوقُوا۟ عَذَابَ ٱلنَّارِ ٱلَّتِى كُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ
ফালইয়াওমা লা-ইয়ামলিকুবা‘দুকুম লিবা‘দিন নাফ‘আওঁ ওয়ালা-দাররাওঁ ওয়ানাকূলু লিল্লাযীনা জালামূযূকূ‘আযা-বান্না-রিল্লাতী কুনতুম বিহা-তুকাযযিবূন।
অতএব আজকের দিনে তোমরা একে অপরের কোন উপকার ও অপকার করার অধিকারী হবে না আর আমি জালেমদেরকে বলব, তোমরা আগুনের যে শাস্তিকে মিথ্যা বলতে তা আস্বাদন কর।
43
وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُنَا بَيِّنَٰتٍ قَالُوا۟ مَا هَٰذَآ إِلَّا رَجُلٌ يُرِيدُ أَن يَصُدَّكُمْ عَمَّا كَانَ يَعْبُدُ ءَابَآؤُكُمْ وَقَالُوا۟ مَا هَٰذَآ إِلَّآ إِفْكٌ مُّفْتَرًى وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ إِنْ هَٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ
ওয়া ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-বাইয়িনা-তিন কা-লূ মা-হা-যাইল্লা-রাজূলুইঁ ইউরীদুআইঁ ইয়াসুদ্দাকুম ‘আম্মা-কা-না ইয়া‘বুদুআ-বাউকুম ওয়াকা-লূমা-হাযাইল্লাইফকুম মুফতারাওঁ- ওয়া কা-লাল্লাযীনা কাফারূলিল হাক্কিলাম্মাজাআহুম ইন হা-যাইল্লা-ছিহরুম মুবীন।
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, তোমাদের বাপ-দাদারা যার এবাদত করত এ লোকটি যে তা থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায়। তারা আরও বলে, এটা মনগড়া মিথ্যা বৈ নয়। আর কাফেরদের কাছে যখন সত্য আগমন করে, তখন তারা বলে, এতো এক সুস্পষ্ট যাদু।
44
وَمَآ ءَاتَيْنَٰهُم مِّن كُتُبٍ يَدْرُسُونَهَا وَمَآ أَرْسَلْنَآ إِلَيْهِمْ قَبْلَكَ مِن نَّذِيرٍ
ওয়ামাআ-তাইনা-হুম মিন কুতুবিইঁ ইয়াদরুছূনাহা-ওয়ামাআরছালনাইলাইহিম কাবলাকা মিন নাযীর।
আমি তাদেরকে কোন কিতাব দেইনি, যা তারা অধ্যয়ন করবে এবং আপনার পূর্বে তাদের কাছে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করিনি।
45
وَكَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَمَا بَلَغُوا۟ مِعْشَارَ مَآ ءَاتَيْنَٰهُمْ فَكَذَّبُوا۟ رُسُلِى فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ
ওয়া কাযযাবাল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ওয়ামা-বালাগূমি‘শা-রা মাআ-তাইনা-হুম ফাকাযযাবূরুছুলী ফাকাইফা কা-না নাকীর।
তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যা আরোপ করেছে। আমি তাদেরকে যা দিয়েছিলাম, এরা তার এক দশমাংশও পায়নি। এরপরও তারা আমার রাসূলগনকে মিথ্যা বলেছে। অতএব কেমন হয়েছে আমার শাস্তি।
46
قُلْ إِنَّمَآ أَعِظُكُم بِوَٰحِدَةٍ أَن تَقُومُوا۟ لِلَّهِ مَثْنَىٰ وَفُرَٰدَىٰ ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا۟ مَا بِصَاحِبِكُم مِّن جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَّكُم بَيْنَ يَدَىْ عَذَابٍ شَدِيدٍ
কুল ইন্নামাআ‘ইজুকুম বিওয়া-হিদাতিন আন তাকূমূলিল্লা-হি মাছনা-ওয়া ফুরা-দা-ছু ম্মা তাতাফাক্কারূ মা-বিসা-হিবিকুম মিন জিন্নাতিন ইন হুওয়া ইল্লা-নাযীরুল লাকুম বাইনা ইয়াদাই ‘আযা-বিন শাদীদ।
বলুন, আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছিঃ তোমরা আল্লাহর নামে এক একজন করে ও দু, দু জন করে দাঁড়াও, অতঃপর চিন্তা-ভাবনা কর-তোমাদের সঙ্গীর মধ্যে কোন উম্মাদনা নেই। তিনি তো আসন্ন কাঠোর শাস্তি সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করেন মাত্র।
47
قُلْ مَا سَأَلْتُكُم مِّنْ أَجْرٍ فَهُوَ لَكُمْ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَى ٱللَّهِ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدٌ
কুল মা-ছাআলতুকুম মিন আজরিন ফাহুওয়া লাকুম ইন আজরিয়া ইল্লা-‘আলাল্লা-হি ওয়া হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন শাহীদ।
বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না বরং তা তোমরাই রাখ। আমার পুরস্কার তো আল্লাহর কাছে রয়েছে। প্রত্যেক বস্তুই তাঁর সামনে।
48
قُلْ إِنَّ رَبِّى يَقْذِفُ بِٱلْحَقِّ عَلَّٰمُ ٱلْغُيُوبِ
কুল ইন্না রাববী ইয়াকযিফুবিলহাক্কি‘আল্লা-মুল গুয়ুব।
বলুন, আমার পালনকর্তা সত্য দ্বীন অবতরণ করেছেন। তিনি আলেমুল গায়ব।
49
قُلْ جَآءَ ٱلْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ ٱلْبَٰطِلُ وَمَا يُعِيدُ
কুল জাআল হাক্কুওয়ামা-ইউবদিউল বা-তিলুওয়ামা-ইউ‘ঈদ।
বলুন, সত্য আগমন করেছে এবং অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃজন করতে এবং না পারে পূনঃ প্রত্যাবর্তিত হতে।
50
قُلْ إِن ضَلَلْتُ فَإِنَّمَآ أَضِلُّ عَلَىٰ نَفْسِى وَإِنِ ٱهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوحِىٓ إِلَىَّ رَبِّىٓ إِنَّهُۥ سَمِيعٌ قَرِيبٌ
কুল ইন দালালতুফাইন্নামাআদিল্লু‘আলা-নাফছী ওয়াইনিহতাদাইতুফাবিমা-ইউহী ইলাইয়া রাববী ইন্নাহূছামী‘উন কারীব।
বলুন, আমি পথভ্রষ্ট হলে নিজের ক্ষতির জন্যেই পথভ্রষ্ট হব; আর যদি আমি সৎপথ প্রাপ্ত হই, তবে তা এ জন্যে যে, আমার পালনকর্তা আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী।
51
وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذْ فَزِعُوا۟ فَلَا فَوْتَ وَأُخِذُوا۟ مِن مَّكَانٍ قَرِيبٍ
ওয়া লাও তারাইয ফাঝি‘ঊ ফালা -ফাওতা ওয়া উখিযূমিম মাকা-নিন কারীব।
যদি আপনি দেখতেন, যখন তারা ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, অতঃপর পালিয়েও বাঁচতে পারবে না এবং নিকটবর্তী স্থান থেকে ধরা পড়বে।
52
وَقَالُوٓا۟ ءَامَنَّا بِهِۦ وَأَنَّىٰ لَهُمُ ٱلتَّنَاوُشُ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍ
ওয়া কা-লূআ-মান্না-বিহী ওয়া আন্না-লাহুমুততানা-উশু মিম মাকা-নিম বা‘ঈদ।
তারা বলবে, আমরা সত্যে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। কিন্তু তারা এতদূর থেকে তার নাগাল পাবে কেমন করে?
53
وَقَدْ كَفَرُوا۟ بِهِۦ مِن قَبْلُ وَيَقْذِفُونَ بِٱلْغَيْبِ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍ
ওয়া কাদ কাফারূবিহী মিন কাবলু ওয়া ইয়াকযিফূনা বিলগাইবি মিম মাকা-নিম বা‘ঈদ।
অথচ তারা পূর্ব থেকে সত্যকে অস্বীকার করছিল। আর তারা সত্য হতে দূরে থেকে অজ্ঞাত বিষয়ের উপর মন্তব্য করত।
54
وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ كَمَا فُعِلَ بِأَشْيَاعِهِم مِّن قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ فِى شَكٍّ مُّرِيبٍۭ
ওয়া হীলা বাইনাহুম ওয়া বাইনা মা-ইয়াশতাহূনা কামা-ফু‘ইলা বিআশইয়া-‘ইহিম মিন কাবলু ইন্নাহুম কা-নূফী শাক্কিম মুরীব।
তাদের ও তাদের বাসনার মধ্যে অন্তরাল হয়ে গেছে, যেমন-তাদের সতীর্থদের সাথেও এরূপ করা হয়েছে, যারা তাদের পূর্বে ছিল। তারা ছিল বিভ্রান্তিকর সন্দেহে পতিত।
------
Tags: সূরা সাবা, সূরা সাবা বাংলা অনুবাদ, সূরা সাবা বাংলা অর্থ, বাংলা অনুবাদ সহ সূরা সাবা, surah saba, surah saba bangla, surah saba bangla anubad, surah saba bangla translation