এশার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

এশার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

এশার নামাজ হলো ইসলামের পাঁচটি ফরজ নামাজের শেষ নামাজ এবং এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই নামাজ জামাতে আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে মুনাফিকদের জন্য এটি অত্যন্ত ভারী। টানা ৪০ দিন জামাতে এশা ও ফজর নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এশা ও ফজরের নামাজের জামাতে মানুষের অবহেলা বেশি থাকে, তাই এতে গুরুত্ব দেওয়া ইমানের জন্য জরুরি। 


এশার নামাজ কতটা ফজিলতপূর্ণ, উপরোল্লিখিত হাদিস থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে, সামান্য সময়ের ইবাদত আল্লাহর নিকট কত অসামান্য হয়ে থাকে। তা ছাড়া এই নামাজ যদি জামাতের সঙ্গে আদায় করা হয়, এর ফজিলত আরও বহুগুণে বেড়ে যাবে। মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হলেই এশার ওয়াক্ত শুরু হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত এর সময় বাকি থাকে।


এশা হলো দিনের শেষ ফরজ নামাজ। কুরআন ও হাদীসে এর গুরুত্ব ও ফজিলত বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।


এশার নামাজের গুরুত্ব

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্তর্ভুক্ত – দিনের সমাপ্তি এশা নামাজের মাধ্যমে হয়।

ঈমানদার ও মুনাফিকের পার্থক্য – রাসূল ﷺ বলেছেন:

“মুনাফিকদের কাছে সবচেয়ে ভারী নামাজ হলো এশা ও ফজর।”

(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

এতে বোঝা যায়, এশা নামাজ আদায় করা ঈমানের দৃঢ়তার প্রমাণ।

কিয়ামতের হিসাব থেকে মুক্তির উপায় – নামাজ সঠিকভাবে আদায় করলে আল্লাহর রহমত লাভ হয়।


এশার নামাজের ফজিলত

সারা রাত ইবাদতের সমান সওয়াব

রাসূল ﷺ বলেছেন:

“যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত ইবাদত করলো। আর যে ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করলো, সে যেন পুরো রাত ইবাদত করলো।”

(সহিহ মুসলিম)


গুনাহ মোচনের মাধ্যম

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এক নামাজ থেকে আরেক নামাজ পর্যন্ত গুনাহ মোচন করে দেয়।

(সহিহ মুসলিম)


কবরের অন্ধকার থেকে মুক্তি

আলেমরা বলেন, রাতে এশা নামাজ আদায় করলে কবরের অন্ধকার থেকে নূরের আলো পাওয়া যাবে।


আল্লাহর নিকট প্রিয়তম আমল

এশার সুন্নাত ও নফল আদায় করলে বান্দা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করে।


সংক্ষেপে

এশা নামাজ হলো সারা দিনের ইবাদতের পূর্ণতা।

এটি জামাতে আদায় করলে সারা রাত ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

এশা নামাজ আদায় করা ঈমানের দৃঢ়তার প্রতীক এবং মুনাফিকদের থেকে পার্থক্যকারী বৈশিষ্ট্য।