যোহর নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

যোহর নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

যোহরের নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর গুরুত্ব ও ফজিলত হলো: এটি দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্য এনে দেয়, ফরজ নামাজের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে এবং এটি মেরাজের রাতে ফরজ হওয়া প্রথম নামাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। যোহরের নামাজ আদায় করলে আল্লাহর রহমত ও আশীর্বাদ লাভ হয় এবং বেহেশতের দরজা খোলা থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়। 

গুরুত্ব ও ফজিলত

দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্য:

যে ব্যক্তি যোহরের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে সাফল্য দান করবেন। 

ফরজ নামাজের ঘাটতি পূরণ:

কিয়ামতের দিন যখন নামাজের হিসাব নেওয়া হবে, তখন ফরজ নামাজের ঘাটতি থাকলে, তা নফল নামাজ, বিশেষ করে যোহরের আগে আদায় করা চার রাকাত সুন্নাত ও দুই রাকাত নফল দ্বারা পূরণ করা হবে। 

বেহেশতের দরজা খোলা:

বিশ্বাস করা হয় যে, যখন সূর্য হেলে পড়ে, তখন বেহেশতের দরজা খোলা থাকে এবং এই সময়ে যোহরের নামাজ আদায় করলে ব্যক্তি আশীর্বাদ লাভ করে। 

জাহান্নামের উত্তাপ থেকে মুক্তি:

নবীজি (সাঃ) বলেছেন, যখন গরম বেড়ে যায় তখন তোমরা গরম কমে এলে যোহরের নামাজ আদায় করো, কেননা গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের উত্তাপের একটি অংশ। 

আল্লাহর নৈকট্য লাভ:

নিয়মিত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর অনেক কাছে চলে আসে এবং তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। 

মানসিক ও আত্মিক শান্তি:

নামাজ আদায় করার মাধ্যমে বান্দা মানসিক শান্তি ও প্রশান্তি লাভ করে। 

বিশেষ দিক

মেরাজের প্রথম নামাজ:

মেরাজ থেকে ফিরে নবীজি (সাঃ) সর্বপ্রথম যোহরের নামাজ আদায় করেন, যা এই নামাজের বিশেষ গুরুত্ব নির্দেশ করে। 

সুন্নাত নামাজের গুরুত্ব:

যোহরের ফরজ নামাজের পাশাপাশি এর আগে ও পরে আদায় করা সুন্নাত নামাজও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবীজি (সাঃ) জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত নামাজ কখনোই ছাড়তেন না। 


ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে, আর প্রতিটি নামাজের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত। যোহর নামাজও এর ব্যতিক্রম নয়।

যোহর নামাজের গুরুত্ব

ফরজ ইবাদত – নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। যোহর নামাজ হলো দিনের প্রথম ফরজ নামাজ, যা সূর্য মধ্যগগন অতিক্রম করার পর শুরু হয়।

দুনিয়ার ব্যস্ততার মাঝেও আল্লাহর স্মরণ – দুপুরের সময় মানুষ কাজ ও দায়িত্বে ব্যস্ত থাকে। সেই সময় আল্লাহর জন্য নামাজ আদায় করা প্রমাণ করে একজন মুসলিমের অঙ্গীকার ও আনুগত্য।

কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নামাজ থেকে হবে – রাসূল ﷺ বলেছেন:

"কিয়ামতের দিনে বান্দার প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজ থেকে।"

(তিরমিযি)


যোহর নামাজের ফজিলত

জাহান্নাম থেকে দূরে রাখে

রাসূল ﷺ বলেছেন:

"যে ব্যক্তি চার রাকাত ফরজের আগে এবং চার রাকাত ফরজের পরে নামাজ পড়বে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে হারাম করে দিবেন।"

(তিরমিযি)

আল্লাহর রহমত লাভ

হাদীসে এসেছে, রাসূল ﷺ বলেছেন:

"যে ব্যক্তি যোহরের আগে চার রাকাত ও পরে দুই রাকাত পড়বে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করবেন।"

(আবু দাউদ)


বেহেশতের দ্বার উন্মুক্ত হয়

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:

"যে ব্যক্তি দিনের উষ্ণ সময়ে যোহরের নামাজ আদায় করবে, জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম হবে।"

(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)


পাপ মোচন

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এক নামাজ থেকে অন্য নামাজ পর্যন্ত ছোট ছোট গুনাহ মুছে দেয়।

(সহিহ মুসলিম)


সংক্ষেপে

যোহর নামাজ দিনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার শিক্ষা দেয়।

এর সুন্নাত ও ফরজ উভয়ই বিশেষ ফজিলতের অধিকারী।

এ নামাজ জান্নাতের সুসংবাদ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাধ্যম।