শাবান মাসে পড়ার দোয়া
শাবান মাস ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস, যা রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশেষত, ১৫ শাবান (শবে বরাত) অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি রাত হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মাসে ইবাদত-বন্দেগি এবং দোয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি।
শাবান মাসে পড়ার দোয়া:
১. রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করতেন এবং নিচের দোয়াটি পড়তেন—
اللهم بارك لنا في رجب وشعبان وبلغنا رمضان
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।”
অর্থ:
“হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।” (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৪৬)
২. তওবা ও ইস্তিগফারের দোয়া:
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ:
“রব্বিগফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহীম।”
অর্থ:
“হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি তওবা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বদা তওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু।”
৩. প্রার্থনার দোয়া:
اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।”
অর্থ:
“হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন।”
জলীলুল ক্বদর সাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (ছঃ) বলেছেন : রজব মাস প্রাপ্ত হলে তোমরা এ মাসে বেশী পরিমাণে নফল ইবাদত করবে।
হযরত রাসূলে করীম (ছঃ) নিচের দোয়াটি অনেকবার পাঠ করতেন।
দোয়াটি হল : উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা-ফী রজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা- রমাদ্বোয়া-ন ।
উপদেশ:
শাবান মাসে নফল নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত বেশি বেশি করা।
ইস্তিগফার ও দোয়া দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা।
গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা ও ভবিষ্যতে নেক আমলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
এই দোয়াগুলো পড়ে আমরা আল্লাহর রহমত ও বরকতের জন্য প্রার্থনা করতে পারি।
