সূরা আল-ইনশিরাহ এর মূল বার্তা ও ফজিলত

সূরা আল ইনশিরাহ  এর ফজিলত


সূরা আল-ইনশিরাহ (سورة الشرح), যা সূরা আশ-শারহ নামেও পরিচিত, কুরআনের ৯৪তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ৮টি আয়াত রয়েছে। এই সূরায় নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জন্য আল্লাহর বিশেষ করুণা ও দয়া প্রকাশিত হয়েছে।

সূরা ইনশিরাহর শেষ আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী! যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে অবসর পাবে তখন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করবে। সব সময়ই সাধনায় ব্যস্ত থাকবে এবং সর্ব অবস্থায় আল্লাহর প্রতি মনোযোগী থাকবে তথা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট থাকবে ও তাঁর নৈকট্য অর্জনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবে।

সূরা আলম নাশরাহ, সূরা ইনশিরাহ নামেও পরিচিত, কুরআনের একটি অধ্যায় যা বিশ্বাসীদের জন্য বেশ কিছু মূল্যবান পাঠ ধারণ করে। এই সুন্দর সূরাটি মাত্র আটটি আয়াত নিয়ে গঠিত কিন্তু গভীর অর্থ বহন করে। এর বার্তা প্রতিফলিত করে, আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্দৃষ্টি এবং নির্দেশনা লাভ করতে পারি।


সূরা আল-ইনশিরাহ-এর মূল বার্তা:


নবীজির দুঃখ ও কষ্ট দূর করার বার্তা:

আল্লাহ তাআলা নবীজির বুকে প্রশান্তি দান করেছেন এবং তাঁর দায়িত্বের বোঝা হালকা করেছেন।


প্রতিটি কষ্টের পর সহজি:

এই সূরায় বারবার বলা হয়েছে যে, প্রতিটি কঠিন অবস্থার পরে অবশ্যই সহজি আসবে।


আল্লাহর প্রতি আস্থা ও ধৈর্যের নির্দেশনা:

নবীজিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁর মিশন সফল হবে এবং তিনি আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করবেন।


সূরা আল-ইনশিরাহ-এর ফজিলত:


আত্মিক প্রশান্তি ও ধৈর্য:

এই সূরা তিলাওয়াত করলে মনের কষ্ট ও উদ্বেগ দূর হয়। এটি মানুষকে জীবনের কঠিন মুহূর্তে ধৈর্য ধরতে এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখতে সাহায্য করে।


কষ্টের পর শান্তি:

সূরার বার্তাটি মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, যেকোনো কষ্ট বা পরীক্ষার পরই সহজি ও সুখ আসে। এটি সংকটময় সময়ে আশা যোগায়।


তিলাওয়াতের সওয়াব:

নিয়মিত সূরা আল-ইনশিরাহ তিলাওয়াত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয় এবং ব্যক্তি মানসিক শক্তি অর্জন করে।


বিশেষ হাদিসের ইঙ্গিত:

হাদিসে এসেছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই সূরাটি কষ্ট এবং চিন্তামুক্তির জন্য তিলাওয়াত করতেন। এটি তাঁর বুকে প্রশান্তি এবং আত্মবিশ্বাস এনে দিত।


উপসংহার:

সূরা আল-ইনশিরাহ একজন মুসলিমকে কঠিন পরিস্থিতিতে আল্লাহর প্রতি ধৈর্যশীল এবং কৃতজ্ঞ হতে শেখায়। এটি প্রতিটি সংকটের পর সহজি ও সাফল্যের আশ্বাস দেয়, যা মানসিক ও আত্মিক শান্তি এনে দেয়।