সূরা আল বালাদ এর ফজিলত
সূরা আল-বালাদ (سورة البلد) কুরআনের ৯০তম সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এতে ২০টি আয়াত রয়েছে। সূরাটি মূলত মানুষের জীবন, তার সংগ্রাম এবং কিয়ামতের দিনের হিসাব-নিকাশ নিয়ে আলোচনা করে।
উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা আল-বালাদ পাঠ করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন তার ক্রোধ থেকে রক্ষা করবেন এবং সে কঠিন পথ থেকে বেঁচে যাবে। পরকাল।"
সূরা আল-বালাদ-এর মূল বার্তা:
মক্কা নগরীর শপথ:
সূরার শুরুতে মক্কা নগরীর শপথ করা হয়েছে, যা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নবুয়তের স্থান।
মানুষের সংগ্রামী জীবন:
মানুষের জীবনকে একটি কঠোর সংগ্রাম বলা হয়েছে। আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, মানুষকে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
সৎ কাজের গুরুত্ব:
যারা আল্লাহর পথে দান-খয়রাত করে এবং মানুষকে ধৈর্য ও দয়া প্রদর্শনের প্রতি উৎসাহিত করে, তাদের জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
কিয়ামতের দিন বিচার:
যারা পাপ কাজ করবে এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করবে, তাদের জন্য শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে।
সূরা আল-বালাদ-এর ফজিলত:
মানুষের সংগ্রামী জীবনের উপলব্ধি:
এই সূরা মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে জীবন সহজ নয়; বরং কঠোর পরিশ্রম ও আল্লাহর প্রতি আস্থা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিলাওয়াতের সওয়াব:
হাদিসে এসেছে যে, যারা সূরা আল-বালাদ তিলাওয়াত করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতের ফজিলত লাভ করে। আল্লাহ তাদের পাপ মোচন করেন এবং পরকালের শাস্তি থেকে মুক্তি দেন।
পরিশ্রম ও ধৈর্যের শিক্ষা:
এই সূরা পাঠ করার মাধ্যমে মানুষ ধৈর্যশীল হতে পারে এবং দুনিয়ার জীবনের কঠিন পরীক্ষাগুলো সহ্য করার মনোবল পায়।
বিশেষ ফজিলত:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি এই সূরা পড়বে, সে আল্লাহর কাছে ধৈর্যশীল ও নেককার হিসেবে গণ্য হবে।”
উপসংহার:
সূরা আল-বালাদ তিলাওয়াত মানুষের অন্তরে ধৈর্য ও পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা জাগ্রত করে। এটি আল্লাহর পথে কষ্ট সহ্য করার শিক্ষা দেয় এবং আখিরাতে জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে আসে।
thistimebd Bangladesh Live online newsportal, education, Lifestyle, Health, Photography, gif image etc.
Make your own name or company name website | contact: thistimebd24@gmail.com
Copyright © 2020-2024 News Portal in Bangladesh - THISTIMEBD.COM. ALL Rights Reserved.